কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: সুশান্ত!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বন্যার
অজুহাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি করলে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার। শাস্তি হিসেবে লাইসেন্স বাতিল ও আর্থিক জরিমানা করা হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানবিকতা না দেখিয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল, আর্থিক জরিমানা সহ অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের নামধাম ছবি সহ প্রচার, মাধ্যমে প্রকাশ করে সমাজের সামনে তুলে ধরতে বাধ্য হবে সরকার।শুক্রবার মহাকরণে বন্যা পরিস্থিতি ও নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখার ইস্যুতে রাজ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এভাবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।মন্ত্রী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বলেন, যেহেতু বর্তমানে মজুত থাকা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বন্যার আগেই ব্যবসায়ীরা মজুত করেছেন – কাজেই রাজ্যবাসীর অসহায়ত্বের সময়ে মূল্যবৃদ্ধি করে বিক্রি করা অমানবিকতার কাজ হবে।ঈশ্বরও এ ধরনের অপরাধকে ক্ষমা করবেন না। রাজ্যবাসীও ব্যবসায়ীদের কোনও না কোনওভাবে আত্মীয়- পরিজন।মানুষের বিপদের সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার নিদর্শন সৃষ্টি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বানও জানান মন্ত্রী। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ব্যবসায়ী-প্রতিনিধিও তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করবেন না।মন্ত্রী রাজ্যবাসীর প্রতিও আহ্বান জানান তারাও যেন নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে জিনিসপত্র ক্রয় না করেন।ব্যবসায়ীরা বেশি মূল্য চাইলে মানুষ যেন দোকানের পাকা রসিদ চেয়ে নেয় এবং বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনেন।এক্ষেত্রে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখবে।তাছাড়াও মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকরাও গোটা রাজ্যে পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের দোকানে দোকানে হানাদারি চালাচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী আরও জানান, গত কয়েকদিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠার কোনও কারণ নেই।বর্তমানে রাজ্যে চাল, ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং জ্বালানির পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।খাদ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে বর্তমানে গণবন্টন ব্যবস্থায় ও খোলা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। গণবন্টন ব্যবস্থায় চাল ৭৬ দিনের, আটা ৯৯ দিনের, লবণ ৩১ দিনের, মশুর ডাল ১৬ দিনের এবং চিনি ৫ দিনের মজুত রয়েছে।এছাড়াও খোলা বাজারে চাল ২৭ দিনের, ডাল ১১ দিনের, ভোজ্য তেল ৮৩ দিনের, আলু ৭ দিনের, পেঁয়াজ ৫ দিনের, আটা ৪২ দিনের, চিনি ২৫ দিনের এবং লবণ ৩৮ দিনের মজুত রয়েছে।তিনি জানান, পেট্রোল ও ডিজেলের মজুত নিয়েও উৎকণ্ঠার কোনও কারণ নেই।রাজ্যে পেট্রোল ও ডিজেল ৯ দিনের মজুত রয়েছে।

Dainik Digital

Recent Posts

হার্ভের বিরুদ্ধে ৮ জনে খেলে, এক ম্যাচ আগেই নকআউটে ব্লাডমাউথ।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-হার্ভেকে গত ম্যাচে হারানোর পরই এ গ্রুপ থেকে সমীরণ চক্রবর্তী স্মৃতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের…

24 hours ago

জলের দরে বিকোচ্ছে সবজি, মাথায় হাত কৃষকের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শীতকালীন সবজির মতো দ্রুত দাম পড়ছে গ্রীষ্মকালীন সবজিরও।জলের দরে বিকোচ্ছে নতুন উঠে আসা…

1 day ago

কৃত্রিম ধাতব হৃদপিণ্ড নিয়ে একশো দিন বেঁচে রেকর্ড সৃষ্টি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিশ্বের প্রথম মানুষ হিসেবে টাইটানিয়াম ধাতুর তৈরি কৃত্রিম হৃদ্যন্ত্র নিয়ে ১০৫ দিন বেঁচে…

1 day ago

শুদ্ধিকরণ ও রাজনীতি!!

এই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থায় অনিয়ম ও এ গড়মিল নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই।স্বৈরাচারী কিংবা…

1 day ago

মধ্যপ্রদেশের সরকারি হাসপাতালে আগুন!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের একটি হাসপাতালে রবিবার সকালে অগিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় হতাহতের খবর নেই…

2 days ago

ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী হামলায় ছিন্ন ভিন্ন ৯০ সেনার দেহ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রবিবার বেলুচিস্তানে একটি সেনা কনভয়ে হামলা চালানো হয়। বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এই হামলার…

2 days ago