কৃষকদের আয় বাড়ানোই সরকারের মূল লক্ষ্য: রতন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিজেপি শাসিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে রাজ্যে কৃষকদের গড় আয় ছিল মাথাপিছু ছয় হাজার টাকার কাছাকাছি। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে তেরো হাজার টাকার মতো। নজরুল কলাক্ষেত্রে রবিবার একথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বললেন, সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে কৃষকদের আয় বাড়ানো। একই সাথে আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনাক্রমে দপ্তর বিজ্ঞানসম্মতভাবে চাষাবাদে নজর দিয়েছে। মন্ত্রীর ভাষায়, চাষযোগ্য জমির অপ্রতুলতা থাকায় কী করে সীমিত জমিতেই অতিরিক্ত ফলন ফলানো যায় এবং কৃষকদের উৎপাদন বাড়ানো যায় সেদিক দিয়েও লক্ষ্য রাখছে সরকার।
এ দিন ছিল ত্রিপুরা এগ্রিকালচার গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের ৫৩তম বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে উদ্বোধকের ভাষণে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ এ দিন বলেন, কৃষিসমৃদ্ধ রাজ্য বানানোর লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিনটি জেলা স্বয়ম্ভর হয়ে পড়েছে খাদ্যশস্যে। দুটি জেলা পিছিয়ে থাকলেও অন্য আরও তিনটি জেলা স্বয়ম্ভরের প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করছে। তিনি বলেন, উৎপাদনের হারের কথা বললে দেশের মধ্যে এ রাজ্য এখন ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যও পিছিয়ে রয়েছে এ রাজ্য থেকে। তার কথায়, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে দপ্তরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে বীজ এমনকী চারাগাছ বন্টন করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে গিয়েছে দপ্তর। দুর্যোগপূর্ণ এই পরিস্থিতির শিকার না হলে ফলন যে আরও ভালো হতো তাও এ দিন জানালেন মন্ত্রী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে এখন পাম ওয়েলের ভবিষ্যৎ দেখা যাচ্ছে। আধিকারিকদের সাথে কথা বলে ভবিষ্যতে দপ্তরকে কী কী কাজে আরও বেশি করে নজর দিতে হবে তাও স্থির করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সরকার এখন জৈব চাষেই অধিক গুরুত্ব দিয়ে এগোতে চাইছে। অন্য অতিথিদের মধ্যে এই অনুষ্ঠানে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য সহ অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন পদাধিকারীরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির ভাষণে সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্যও প্রায় একই কথা বলেন। তার তথ্য, ২০১৫-১৬ সালের সার্ভে অনুযায়ী রাজ্য কৃষকদের মাথাপিছু গড় আয় ছিলো মাসিক ছয় হাজার পাঁচশো আশি টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে তেরো হাজার পাঁচশো নবুই টাকা। তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় সত্তর শতাংশ মানুষ এখন কৃষিনির্ভর হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্ষেত্রে কিষান সম্মাননিধি, কিষান ক্রেডিট কার্ড কিংবা সয়েল হেলথ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষকদের। এছাড়াও ভর্তুকিমূল্যে সার, বীজ কিংবা সংশি- লষ্ট যন্ত্রপাতি প্রদানেরও সুযোগ করে দেন তিনি। তিনি বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত সামগ্রী এখন সহায়ক মূল্যে ক্রয় করে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানেই তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রদান করছে সরকার। যা আগে ছিল না বলেও তিনি জানান। তেরো প্রতাপগড় মণ্ডলেও এ দিন মণ্ডল কিষান মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত কৃষক সম্মাননা প্রদানের এক অনুষ্ঠান থেকে একথা বলেন সাংসদ।