ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
কৃষক কল্যাণে কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নিলো দপ্তর

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্যে কৃষি ও কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে কৃষকদের স্বাবলম্বী করা। কৃষকরা স্বাবলম্বী হলে কৃষি উৎপাদনেও রাজ্য নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে বর্তমানে প্রাইমারি রুরাল মার্কেট রয়েছে ৪৭০টি,হোলসেল মার্কেট রয়েছে ৬৩টি এবং এগ্রি প্রোডিউস মার্কেট রয়েছে ২১টি।কৃষি দপ্তর ধীরে ধীরে সবগুলি মার্কেটের পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিকীকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যাতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল সহজেই বাজারজাত করতে পারে এবং উপযুক্ত মূল্য পায় ৷জানা গেছে, চলতি মাসে ১৮টি মার্কেটের পরিকাঠামো উন্নয়নে মোট ৪৬ কোটি ২০ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার টেণ্ডার আহ্বান করবে দপ্তর।এই মার্কেটগুলি হলো,দক্ষিণ জেলার রাধানগর,গজারিয়া,বটতলা, গোমতী জেলার নাগরাই, টেপানিয়া, ধ্বজনগর, ফোটামাটি,নতুনবাজার,রামপুর, বদর সাহেব বাড়ি, সোনামুড়া চৌমুহনী এবং রাজারবাগ। পশ্চিম জেলার অভিচরণ, সিপাহিজলা জেলার চড়িলাম, কেমতলি,গুলিরাই বাড়ি এবং শিবনগর।খোয়াই জেলার কল্যাণপুর। প্রথম দফায় এই ১৮টি মার্কেটের উন্নয়ন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।এছাড়াও খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া এগ্রি প্রডিউস মার্কেট এবং উত্তর জেলার পানিসাগর এগ্রি প্রডিউস মার্কেট,এই দুটি মার্কেটের বিশেষ পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এই দুটি মার্কেটে তৈরি হবে ফসল মজুত রাখার গুদাম, শৌচালয়,পানীয় জলের ব্যবস্থা, ড্রেন, আভ্যন্তরীণ রোড, গার্বেজ পয়েন্ট, অফিস রুম,ওয়ে ব্রিজ, ল্যাব, কুড়িটি করে মার্কেট স্টল সহ থাকবে একাধিক সুবিধা।এই দুইটি মার্কেটের আধুনিকীকরণে ব্যয় হবে ৬ কোটি ২০ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। চলতি মাসেই এই কাজের টেণ্ডার আহ্বান করা হবে।একই সাথে রাজ্যে আরও ৬টি সুসংহত উন্নতমানের এবং আধুনিক ব্রীজ প্রক্রিয়াকরণ সেন্টার গড়ে তুলবে কৃষি দপ্তর।বর্তমানে রাজ্যে এই ধরনের সেন্টার আছে ১৬টি।এই ৬টি সেন্টার হবে মোহনপুরে, তেলিয়ামুড়া কৃষি ফার্মে, ফটিকরায়,গকুলনগর কৃষি ফার্ম, পানিসাগর এবং এসএআরএফ এডি নগরে।এই ছয়টি আধুনিক বীজ প্রক্রিয়াকরণ সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হবে ১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা।এই কাজেরও টেণ্ডার আহ্বান করা হবে চলতি মাসে। এই ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য একটাই যে করেই হোক কৃষি ও কৃষকের কল্যাণ।কৃষকদের যদি স্বাবলম্বী করা না যায়,তাহলে শত চেষ্টা করেও রাজ্যকে কৃষি উৎপাদনে আত্মনির্ভর করা যাবে না। এই ক্ষেত্রে কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন করতেই হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই দপ্তর কাজ করছে।