কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্বের সন্ধান প্রথম দিয়েছিলেন কার্ল স্কওয়ারৎচিল্ড । ১৯১৬ সালে । এরপর ১৯৫৮ সালে ডেভিড ফিনকেলস্টেইন জানালেন , মহাকাশে এই কৃষ্ণগহ্বরে কিছু পড়লে আর মুক্তি নেই । কিন্তু এ ছিল নিছক গণিততত্ত্ববিদদের কৌতুহল । এরপর ১৯৬০ সালে তাত্ত্বিক আলোচনায় তুলে ধরা হল , এ হল সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের বৈশিষ্ট্য । ১৯৬৭ সালে জোসেলিন বেল বার্নেল নিউট্রন নক্ষত্র আবিষ্কারের পরই এই কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে আগ্রহ আরো বাড়ে ।
মহাকাশে এই কৃষ্ণগহ্বরে কোনো কিছু পড়লে তার আর কোনো অস্তিত্ব যে পাওয়া যায় না । কিন্তু কৃষ্ণগহ্বর কীভাবে তৈরি হয়েছে সেই তথ্য এবার উদ্ঘাটন করল নাসা । আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে , যখন কোনো বিশাল নক্ষত্রের বিস্ফোরণ ঘটে তখন কোনো গর্ত তৈরি হয় না ।
বিস্ফোরণের পর নক্ষত্রটি বিপুল ঘন এক পদার্থে পরিণত হয় । তখন তার ভর হয় মারাত্মক । আর ভর বেশি হওয়ার জন্যই এর মহাকর্ষ শক্তি মারাত্মক বেড়ে যায় । তখন ওই ঘন বস্তুর কাছেপিঠে দিয়ে কোনও ভরযুক্ত বস্তু পেরোতে পারে না । তার ভরকেও সঙ্গে সঙ্গে শুষে খায় ওই কৃষ্ণগহ্বর ।
এমনকী আলোর তীব্র গতির ফোটন কণাকেও ছাড় দেয় না কৃষ্ণগহ্বর । সামান্য আলো কাছে আসতেই তাকে শুষে খেয়ে ফেলে । আলো কোনও বস্তুর ওপরে পড়ে তা প্রতিফলিত হলেই ওই বস্তুকে দৃশ্যগোচর হয় । যদি প্রতিফলিত গতিতে ভরের স্রোত ঘুরতে থাকা ওই ডিস্ককে বলা হয় আলোকবর্তিকা বলয় । পরিভাষায় অ্যাক্রিশন ডিস্ক মহাজগতে এটি সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখতে বস্তু ।
১৯৭৫ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী জন বারডিন ও জ্যোতির্বিদ জ্যাকোবাস পিটারসন কৃষ্ণগহ্বরের অবয়ব অঙ্ক কষে দেখিয়েছিলেন । আর পুরোপুরি তাত্ত্বিক । কিন্তু কিছুতেই ছিল মডেল বানানো যাচ্ছিল না । কৃষ্ণগহ্বর তড়িৎ চৌম্বকীয় প্রভাব তৈরি করে বিশাল ভরের তারা বা মহাজাগতিক বস্তুকে শুষে নেওয়ার পর কৃষ্ণগহ্বর মহাকর্ষ তরঙ্গ ছাড়তে থাকে।
ওই মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করেই কৃষ্ণগহ্বরকে খোঁজাটাই ছিল রীতি । কিন্তু কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরের দিক কেন কাঁপে বা বিপুল ভর মহাজাগিক বস্তু গিলে নেওয়ার পর কেনইবা তা আলোকবর্তিকা তৈরি করে তার সবটা জানা যাচ্ছিল না । দেখানোও যাচ্ছিল না কৃষ্ণ গহ্বরের মহাজাগতিক বস্তুকে খেয়ে নেওয়ার পদ্ধতিটা ।
এ বছর ১০ এপ্রিল ১০৬ বছরের অজানা সেই মডেলকে তুলে ধরলেন ক্যালিফোর্নিয়ার নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় , ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও হল্যান্ডের আমস্টাডার্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এক দল।
তারা একযোগে গবেষণা চালিয়ে কৃষ্ণগহ্বরের ওই গিলে খাওয়ার পরের অবস্থার রেখচিত্র তৈরি করেন । পরে তা কম্পিউটারের মারফত বানিয়ে দেন গ্রাফিক্স । এখন ওই মডেল দেখে কৃষ্ণগহ্বরের যাবতীয় কীর্তিকলাপ সহজে ব্যাখ্যা করা যাবে । কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে পাওয়া সব তথ্যকে এক করে এই প্রথম ব্যাখ্যা করা যাবে । কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে পাওয়া সব তথ্যকে এক করে এই প্রথম ব্যাখ্যা দেওয়া গেল কৃষ্ণগহ্বরের বাইরের আলোকবর্তিকার কথা।
এই মডেল সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দেয় ঠিক কীভাবে ভর শুষে প্রচণ্ড ভারী ওই কৃষ্ণগহ্বর নিজে ঘুরতে ঘুরতে বাইরে আলোকবর্তিকার কথা এই মডেল সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দেয় ঠিক কীভাবে ভর শুষে প্রচণ্ড ভারী ওই কৃষ্ণগহ্বর নিজে ঘুরতে ঘুরতে বাইরে আলোকবর্তিকা বলয় তৈরি করে । হরাইজন দূরবীনে তোলা ওই আলোকবর্তিকা বলয়ের ছবি তোলার সময় দেখা গিয়েছিল , ভেতরের দুসর আলোক প্রভা ।
নর্থওয়েস্টার্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানের সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলেকজন্ডার চেকোভস্কি জানান , যখন একটা বিশাল ভরের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে কোনও বস্তু পড়ে , তখন তার ভেতরে একটা কম্পন তৈরি হয় । কিন্তু তা আসলে এক ঘূর্ণন । ভর গেলা শেষ হওয়ার পরে শুরু হয় বহিঘূর্ণন । দুই ঘূর্ণনের মধ্যে একটির সঙ্গে অপরটির কোনও সম্পর্ক নেই দু’টি ঘূর্ণন একে অপরকে প্রভাবিতও করতে পারে না ।
মেসিয়ার ৮৭’র কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে ২০১৭ সালে ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ যে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে , তা আজও চলছে । চলছে এর উৎপত্তি , স্বায়িত্ব ও কতটা ভয়ঙ্কর , তা নিয়ে গবেষণ । আগামী দিনে মেসিয়ার ৮৭’র মাধ্যমে অনেক অজানা তথ্য উদ্ঘাটিত হবে ।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…