কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষির উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী।।

 কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষির উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি:-কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি ও কৃষকদের কল্যাণে পানিসাগর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত গোটা উত্তর জেলাজুড়ে পালন করা হবে কৃষি স্বর্ণ সমৃদ্ধি সপ্তাহ। বৃহস্পতিবার কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথের হাত ধরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। একই অনুষ্ঠানে উত্তর জেলার সফলতম কৃষকদের সংবর্ধনার সাথে সাথে কৃষকদের হাতে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী রতনলাল নাথের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিনয়ভূষণ দাস, বিধায়ক যাদবলাল নাথ, বিধায়ক ফিলিপ কুমার রিয়াং, ছিলেন আইসিএআর আটারি ডিরেক্টর ড. অমূল্য কুমার মহান্তি।ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ডিরেক্টর ফণিভূষণ জমাতিয়া,পানিসাগর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের সিনিয়র সাইন্টিস্ট ও হেড ড. সৌমেন্দ্র কুমার সহ উত্তর জেলার আধিকারিকরা।নানান প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত ভাষণ রাখতে গিয়ে আইসিএআর আটারি ডিরেক্টর ড. অমূল্য কুমার মহান্তি কৃষি স্বর্ণ সমৃদ্ধি সপ্তাহে তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রগুলোর ৫০ বছরের সাফল্যের সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনে এক সপ্তাহব্যাপী কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি ও কৃষকদের কল্যাণে নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে কৃষি স্বর্ণসমৃদ্ধি সপ্তাহ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, কৃষকরা হল অন্নদাতা। কৃষকরা আছে বলেই আমরা বেঁচে আছি। তাই কৃষকদের উন্নয়নে রাজ্যের ও কেন্দ্রের সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।
তিনি এক পরিসংখ্যানে বলেন, পানিসাগর ব্লক এলাকার ৪৯ হাজার ৮৪৪ জনের বসবাস। এর মধ্যে ৭হাজার ৩২৮ জন কৃষক রয়েছে। গোটা পানিসাগর ব্লকের বসবাসকারী লোকেদের জন্য বছরে ১০ হাজার ৩৫৯ মেট্রিকটন খাদ্যের প্রয়োজন। অথচ পানিসাগরের বসবাসকৃত কৃষকরা উৎপাদন করছে বার্ষিক ১৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় অধিক খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে পানিসাগর ব্লক এলাকায়।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যিনি কৃষকদের সর্বাধিক সর্বদিকে গুরুত্ব দিয়ে চলেছে। যেমন কৃষকদের আয় বাড়াতে কৃষকদের যন্ত্রপাতি বিতরণে কৃষকদের কৃষি বীজ বিতরণে গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এবারের বাজেটে জিওয়াইএএন অর্থাৎ জ্ঞানে জোর দিয়েছেন। জি ফর গরিব ওয়াই ফর যুবক এ ফর অন্নদাতা এবং এন ফর নারী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সমাজের এই চারটি অংশের উন্নতি হলেই দেশ এগিয়ে যাবে। এছাড়াও তিনি রাজ্যের ও দেশের বর্তমান কৃষি ব্যবস্থার উপর নানা বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ দিন মঞ্চে উত্তর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাঁচজন প্রগতিশীল কৃষক যথাক্রমে পানিসাগরের বিলথৈ এলাকার বাসিন্দা শ্রীমতী লাবলি নাথ কদমতলার বরগুলের বাসিন্দা বিপুল চন্দ্রনাথ পানিসাগর চাঁদপুরের বাসিন্দা আব্দুল বাসিত পানিসাগরের দেওছড়ার বাসিন্দা নন্দিতা নাথ ও দামছড়ার কাছারিছড়ার বাসিন্দা মারশা মগকে তাদের সাফল্যের নিরিখে সংবর্ধিত করা হয়। এছাড়াও বহু কৃষকদের ধানের বীজ বিভিন্ন শাক সবজির বীজ, চারাগাছ করকনাথ মরগ ছানা।সহ নানান কৃষি সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ দিন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ পানিসাগর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয় নির্মাণের একটি শূকর খামারের ভিত্তি প্রস্তর শিলান্যাস করেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.