বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দুর্নীতি নতুন উপাচার্য নিয়োগে তোড়জোড়!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী আগষ্ট মাসেই ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গঙ্গা প্রসাদ প্রসেইন-এর কার্যকাল সমাপ্ত হচ্ছে। একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির বর্তমানে সর্বক্ষেত্রে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই নিয়োগ দুর্নীতি রোধে, শিক্ষার হাল ফেরাতে কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খোদ শিক্ষা মন্ত্রক। এমনকী প্রয়োজনে আগষ্ট মাসের আগেই নতুন উপাচার্য নিয়োগ হবে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারী মাসেই সার্চ কমিটি গঠিত হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গঙ্গা প্রসাদ প্রসেইন উপাচার্য
পদ থেকে পদত্যাগের তোড়জোড় কি শুরু করেছিলেন। শুধু তাই নয়, অধ্যাপক প্রসেইন তার পদত্যাগ পত্রের প্রতিলিপি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়েছিলেন মঙ্গলবার। এ নিয়ে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও রাতের সংবাদ লেখা পর্যন্ত খবর রেজিস্ট্রার বিভাগ থেকে এখন পর্যন্ত এক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ হয়নি। তবে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এদিনের ঘটনাপ্রবাহ প্রায় ৫ বছর আগে উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করা অধ্যাপক বিজয় কুমার লক্ষ্মীকান্তরাও ধারুরকরের স্মৃতিকে প্রকাশ্যে এনে দিল অভিযোগ, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনৈতিকভাবে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পদে, বিজেন্দর, সনত, উদয় শঙ্কর, মহেন্দ্র এবং রাজবিন্দর বাবু-কে চাকরি প্রদান হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাজ্য ও বহিঃরাজ্যের এই পাঁচ প্রার্থীকে চাকরি প্রদানের জন্যবিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার পদের নিয়োগনীতিও রাতারাতি পরিবর্তন করা হল। যদিও এরপর লোক দেখানোর লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। এমনকী লিখিত পরীক্ষার প্রার্থী ছিলেন ৭৫২ জন। এই লোক দেখানোর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজ্যের বহু বেকার পরীক্ষায় যায়নি। তবে অ্যাসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রশ্নপত্র, নানা দুর্নীতির প্রমাণ সহ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লিপিবদ্ধ করেছিল রাজ্যের বেকার। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ, গত ১৮ জানুয়ারী অ্যাসিস্টেন্ট রেজিস্টার পদে লিখিত পরিক্ষাদিন পরীক্ষা হলে এই পাঁচ প্রার্থীর অপকর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তাই এক প্রকার চাপে পড়ে গিয়েছেন খোদ উপাচার্য। কেননা তার নেতৃত্বেই অ্যাসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া হচ্ছে। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের এই পাঁচ প্রার্থীকে বাঁকা পথে চাকরি প্রদানের জন্য দিন রাত খাটছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান, যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের রোষানলে পড়তে না হয়।এমনকী আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই অ্যাসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হবে। তবে মৌখিক সাক্ষাৎকারের তাদের কীভানে উত্তীর্ণ করা যায়। এরও রূপরেখা স্থির হয়ে গিয়েছে। আর এই সব দুর্নীতির বিষয়গুলি এখন প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। তাই নতুন উপাচার্য নিয়োগের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। একইভাবে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদেও নিয়ম লঙ্ঘন করে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রার্থীদের চাকরি প্রদান হচ্ছে। আর সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত রাজ্যের বেকার। মহাকরণ সূত্রে খবর, রাজ সরকারও ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যে আসছেন বলে খবর।