বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
কেন্দ্রীয় করের অংশ ও গ্যাপ গ্র্যান্ট দাবি করতে পারে রাজ্য।।

অনলাইন প্রতিনিধি :- পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার রাজ্যে এলো ষোড়শ অর্থ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ টিম। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. অরবিন্দ পানাগরিয়ার নেতৃত্বে বারোজনের টিম বুধবার বিকালে রাজ্যে এসেছে। আগামী ত্রিশ এবং একত্রিশ জানুয়ারী পর্যন্ত ষোড়শ অর্থ কমিশনের টিম রাজ্যে অবস্থান করবেন। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বৈঠক করবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠনগুলোর সাথে। পৃথকভাবে বৈঠক হতে পারে ত্রিপুরা স্বশাসিত জিলা পরিষদের কার্যনির্বাহী এবং এডিসি প্রশাসনের সাথে ভারতীয় সংবিধানের ২৮০ অনুচ্ছেদ মোতাবেক গঠন করা হয়ে থাকে এই অর্থ কমিশন। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারী ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে ষোলটি অর্থ কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রথম কমিশন গঠন করা হয়েছিল ১৯৫১ সালে। কমিশন প্রতি পাঁচ বছর অন্তর গঠন করা হয়। এতে একজন চেয়ারম্যান এবং চারজন সদস্য থাকেন। এছাড়াও কমিশনকে সহায়তা করার জন্য অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা থাকেন।
ষোড়শ অর্থ কমিশন গঠন করা হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং। এই ষোড়শ অর্থ কমিশনের কার্যকাল শুরু হবে আগামী ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে। চলবে ২০৩১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। আগামী এই পাঁচ বছরে (২০২৬-২০৩১) কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে করের (রাজস্ব) কতটা বন্টন হবে? কেন্দ্র থেকে কী পরিমাণ অনুদান রাজ্যের জন্য বরাদ্দ হবে? রাজ্যের উন্নয়নে বিশেষ কোনও অনুদান রাজ্যকে প্রদান করা হবে কি না? আগামী ২০২৬ থেকে ২০৩১ ইং এই পাঁচ বছরে রাজ্যের উন্নয়ন রূপরেখা কী হবে? রাজ্যের পক্ষ থেকে কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে? সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে? ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে অর্থ কমিশনের বৈঠকে আলোচনা হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করে অর্থ কমিশন রিপোর্টের মাধ্যমে তা সুপারিশ করবে। কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক আগামী (২০২৬-৩১) পাঁচ বছরের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
জানা গেছে, রাজ্য সরকার ষোড়শ অর্থ কমিশনের কাছে (২০২৬-৩১) পাঁচ বছরের জন্য রাজস্ব ব্যয় বাবদ (রেভিনিউ এক্সপেনডিচার) বড় অঙ্কের অর্থ দাবি করতে পারে। এছাড়া আয় ও ব্যয়ের মধ্যে যে ফারাক রয়েছে তা পূরণের জন্য ‘গ্যাপ গ্র্যান্ট’ দাবি করতে পারে। কেন্দ্রীয় করের অংশ বৃদ্ধির দাবিও জানাতে পারে বলে খবর। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ চাইতে পারে রাজ্য সরকার।
আগামীকাল সকাল সাড়ে নয়টা থেকে মহাকরণের দুই নং হলে শুরু হবে বৈঠক। জানা গেছে, ষোড়শ অর্থ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ টিমের উপস্থিতিতেই প্রথম কেবিনেট বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রথমে স্বাগত ভাষণ রাখবেন রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব জেকে সিনহা। এরপর বক্তব্য রাখবেন কমিশনের চেয়ারম্যান। তারপর রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরাও বক্তব্য রাখবেন। শেষে বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। জানা গেছে, আগামীকালের বৈঠকেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে এবং যাবতীয় দাবিসনদ পেশ ‘ করা হবে কমিশনের কাছে। দুপুরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বৈঠক। এ দিন বিকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, শাখা সংগঠনের সাথে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা করার কথা রয়েছে অর্থ কমিশনের।