কোটি কোটি টাকা লুঠ বাণিজ্যে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সংস্থা!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি:- সড়ক নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকা লুঠ বাণিজ্যের ধারাবাহিক তথ্যভিত্তিক খবরের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক নির্মাণ দপ্তর। উত্তর জেলার ভাংমুন-সিংলুম প্যাকেজ ট্যুর সড়ক নির্মাণ সংস্থা জেএসআর কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং কৈলাসহর-কুর্তি প্যাকেজ থ্রির নির্মাণ সংস্থা এ কে এন্টারপ্রাইজ নির্মাণ সংস্থাকে টার্মিনেট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক নির্মাণ সংস্থা এন এইচ আই ডি সি এল। ভাংমুন-সিংলুম সড়কে বরাদ্দ ছিল ৩৫৪ কোটি টাকা এবং কৈলাশহর-কুর্তি জাতীয় সড়ক নির্মাণে বরাদ্দ ১৭৪ কোটি টাকা। এই দুইটি নির্মাণ সংস্থাকে টার্মিনেট করে দিলেও ভাংমুন-সিংলুম জাতীয় সড়ক নিয়ে কোনও বিকল্প সিদ্ধান্ত না নিলেও কৈলাসহর-কুর্তি কদমতলা প্যাকেজ থ্রির সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব ব্রহ্মপুত্র কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি নতুন নির্মাণ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের গুণগত মান যথাযথ রক্ষা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ কে এন্টারপ্রাইজকে টার্মিনেট করে যদি কৈলাসহর-কুর্তি কদমতলা জাতীয় সড়কের কাজ ব্রহ্মপুত্র কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডকে দেওয়া যা তাহলে ভাংমুন-সিংলুম সড়ক নিয়ে কোনও বিকল্প সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো না কেন – এই প্রশ্ন উঠেছে। ভাংমুন-সিংলুম এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেহাল রাস্তার কারণে। এদিকে লালছড়া-কাঞ্চনপুর জাতীয় সড়কের নির্মাণ সংস্থা জে কে এমের কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই সড়কে দেও নদীর উপর নির্মিত পাঁকা সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে এতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক নির্মাণ সংস্থা এন এইচ আই ডি সি এলের উত্তরের জি এম বিদ্যাসাগর মিলের দায়িত্বহীনতার কারণে উত্তর জেলার অধিকাংশ জাতীয় সড়কের কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। এদিকে পিডাব্লিও ডির (এন এইচ) দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য বাস্তুকার পরমানিক জমাতিয়া জানান, এন এইচ ডি সি এলের সড়ক নির্মাণের কাজ নিয়ে রাজ্য সরকার খুশি নয়। এন এইচ আই ডি সি এলকে নোটিশ জারি করা হয়েছে কিন্তু তার এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্টীকরণ বা জবাব দিতে পারেনি বলে এন এইচ এর মুখ্য বাস্তুকার পরমানিক জমাতিয়া জানান এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের বরাদ্দ অর্থে রাজ্যের ৩০টি সড়ক নির্মাণের কাজ করছে কেন্দ্রীয় সড়ক নির্মাণ দপ্তরের আয়তাধীন এন এইচ আই ডি সি এল। সব মিলিয়ে এগারো হাজার নয়শ বিরাশি কোটি তিন লক্ষ টাকার প্রজেক্ট কস্ট। রাজ্যের বুকে জাতীয় সড়ক নির্মাণ কাজের গুণগতমান যথাযথভাবে রক্ষিত হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কিন্তু রাজ সরকারের তরফে এই ব্যাপারে কোনও নজরদারি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সব চেয়ে বেশি অভিযোগ উত্তরের জিএম বিদ্যাসাগর মিলের বিরুদ্ধে।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

শুরু হলো পর্ষদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল এপ্রিল মাসের শেষে…

2 hours ago

টিএমসি কাণ্ড, ঋণ নিয়েছিলেন অধ্যাপিকা!তদন্ত চলছে, কাউকে ছাড়া হবে না বিধানসভায় কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পাস করিয়ে দেবার নাম করে ডা. সোমা চৌধুরী নামে…

3 hours ago

নিজেদের অধিকার রক্ষায় বৈঠকে যাচ্ছে টিএফএর আজীবন সদস্যরা।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা টিএফএর সংবিধান সংশোধন করার নামে নিজেদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার…

3 hours ago

এডিসির ৩০২ স্কুলে ১ জন করে শিক্ষক, ছাত্র সমস্যা নিরসনে সরকার আন্তরিক, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-এডিসির ৩০২ টি স্কুলে শিক্ষক ১ রয়েছে।জাতীয় স্তরে প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র- শিক্ষকের অনুপাত…

4 hours ago

কাজ করেনি,ফেরত গেছে ২২.৯১ কোটি টাকা,বাম আমলে অন্ধকারে ডুবে ছিল রাজ্যের পর্যটন: সুশান্ত।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-বামফ্রন্টের টানা ২৫ বছরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের কোনও উন্নয়নই হয়নি। সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে…

4 hours ago

জাল ওষুধের রমরমা।

একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর। কথাটা বোধহয় এক্ষেত্রে একেবারে যথার্থভাবে ধ্বনিত হয়।গত কয়দিন ধরেই…

4 hours ago