৪ কোটি টাকা দিলেই মন্ত্রিপদ, অমিত শাহের ছেলে সেজে বিধায়কদের ফোন!!
কোন পথে বাংলাদেশ!!

কোন পথে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ? খবরে প্রকাশ গত দুই মাসে ৯৬টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু এবং নাবালিকা। গত ফেব্রুয়ারী মাসেই ধর্ষিত হয়েছে ৫৭ জন। এর মধ্যে ১৬ জন শিশু, ১৭ জন কিশোরী। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৭ জন। বাংলাদেশে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী মার্চ মাসে এসে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ পুলিশের রিপোর্ট উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যম গুলি যে সংবাদ প্রকাশিত করেছে, তাতে বলা হয়েছে এখন দিনে গড়ে ১২ টি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ আসছে না, এমন ঘটনার সংখ্যাও প্রচুর বলে দাবি করা হয়েছে।
সংবাদে আরও প্রকাশ বাংলাদেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে যে কারণে ধর্ষণের ঘটনা একপ্রকার উৎসবের আকার নিয়েছে। দুষ্কৃতীর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা মনে করছে, কেউ বাধা দেওয়ার নেই ফলে ধর্ষণের পাশাপাশি বেড়েছে সীমাহীন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এবা রাহাজানির ঘটনা। প্রকাশ্যে রাজপথেই দিন দুপুরে ছিনতাই হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এখন বাড়ি ঘর থেকে বের হতেই ভয় পাচ্ছেন। বিশো করে মহিলারা। গত জানুয়ারী মাসে পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী ধর্ষণে শিকার ৩৯ জন। তাদের মধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। জে তাই নয়, গণধর্ষণের পর দুই মহিলাকে নৃশংসভাবে হত্যাও করা হয়েছে এখানেই শেষ নয়, মেয়েদের উপর নানা ধরনের ফতোয়া জারি করা হচ্ছে মেয়েদের হাটে-বাজারে, স্কুল কলেজে যেতে মানা করা হচ্ছে। খেলাধুল নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ এখন একটি আজ দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। নৈরাজ্যের দেশ বলা হলেও কম বলা হবে। ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ এই জাতীয় স্লোগান অনেক আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ যদি ভুল করেও এই স্লোগান তোলে, তাঁর উপরে নেমে আসবে আক্রমণ। হাসিনাকে উৎখাত করার পর থেকে গোটা বাংলার জুড়ে একটা অরাজক পরিস্থিতি কায়েম হয়েছে। পূর্বতন শাসকদল আওয় লিগের ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লিগ দলটিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়াস চলছে। কিন্তু তা এখনো সম্ভব হয়নি অপর বড় দল বিএনপির জন্য। কেননা, বিএনপির একটা বড়। চায় আওয়ামীলিগ থাকুক। তাঁরা আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়।বাংলাদেশের জেলগুলিতে এখন আর দুষ্কৃতীরা নেই। জেলগুলিতে এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অনেকে বলছেন, জেলে গিয়ে স্বস্তি অন্তত পাওয়া গেছে। নিশ্চিত মৃত্যু থেকে প্রাণে বেঁচে আছেন।এর মধ্যে খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যেও বিদ্রোহে শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। খবরে প্রকাশ বাস সেনা দু’ভাগে বিভক্ত হওয়ার পথে। একভাগ পাকিস্তানপন্থী, অনল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাপন্থী। ফলে যে কোনও সময় বড় কোনও অঘটন বা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে বাংলাদেশে।
তবে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে কিছুটা আশার আলো লক্ষ্য কর বাংলাদেশের আপামর জনগণ ফের প্রতিবাদে পথে নামছে। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও প্রশ্ন অ সরাসরি নিশানা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে বলেছেন, বাংলাদেশ যেন ধর্ষণের উৎসব শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ তো এমন ছিলো না। হাসিনা মেয়েদের উপর চাপানো বিভিন্ন ফতোয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। শুধু হাসিনাই নয়, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে শুরু করেছে সে দেশের অভিনেতা-অভিনেত্রী, বুদ্ধিজীবী, লেখক থেকে শুরু করে মুখ খুলছেন অনেকেই। মুখ খুলছেন সাধারণ মানুষ। এতদিন ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। এখন তারা প্রকাশ্যেই ভয়কে তুচ্ছ করে প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন। অনেকে বলেছেন, এ কেমন স্বাধীনতা? এমন স্বাধীনতা চাইনি। বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করার আগষ্টে রক্ত দিয়ে, জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমে হাসিনা বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। তাদেরও এখন মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে। তাঁরাও এখন বুঝতে পারছেন, আবেগের বশে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছেন। তাঁরা বিভ্রান্ত হয়েছেন। পাকিস্তানপন্থী, উগ্র মৌলবাদী ও জামাত ইসলাম পন্থীরা যে পথে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চাইছে, তা আটকাতে না পারলে অচিরেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আরেকটি সিরিয়া।