জি-৭ সম্মেলনে যোগদান করতে মোদীকে আমন্ত্রণ দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী!!
কোহিনূর ফেরাতে মরিয়া ভারত, দেবে না ব্রিটেন, দাবি মিডিয়ার

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকেই ব্রিটেন থেকে কোহিনূর ফেরানোর তৎপরতা শুরু করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।চার্লসের রাজ্যাভিষেকের পর সেই তৎপরতা আরও বাড়ে।এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে,ভারত যতই আদা-জল খেয়ে কোহিনূর ফেরাতে ময়দানে নামুক,বহু যুগ ধরে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গস্বরূপ এই দুর্মূল্য হীরা ভারতকে ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে এই দাবি করা হয়েছে।প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে,নয়াদিল্লি এবং লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ভারত সরকার কোহিনূর ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে বটে,কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তাতে সাড়া দেবে না।শুধু কোহিনূর নয়,বিলেতের নানা সংগ্রহশালায় থাকা একাধিক বহুমূল্য ধনদৌলতকে সরকারিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাইছে ভারত।ব্রিটিশ বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই ট্যাবলয়েডে দাবি করা হয়েছে, কোহিনূর আদৌ হাতছাড়া করবে না ব্রিটেন। কোহিনূর ভারতকে না ফেরালেও ব্রিটেনের সংগ্রহশালায় ভারতের বেশ কিছু প্রত্নসামগ্রী ব্রিটিশ সরকার ভারতকে ফিরিয়ে দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। কী কী সামগ্রী ভারতকে ফেরাবে ব্রিটেন, তার একটি তালিকাও তৈরি হয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই সংবাদে।সেই তালিকায় কোহিনূরের কথা উল্লেখ নেই।ব্রিটিশ ট্যাবলেয়েডে লেখা হয়েছে,গত শনিবার থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বড় অংশ দখল করেছিল কোহিণূর হীরা।ব্রিটেন থেকে যতই ধনদৌলত ভারতে ফিরুক, চর্চার কেন্দ্রে ছিল ১০৫.৬ ক্যারেটের এই হীরকখণ্ড। ভারতীয় মিডিয়ার একটি বড় অংশ দাবি করে, কর্নাটকের ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরে,দেশে জাতীয়তাবাদের নয়া বিষয় হতে চলেছে বিজেপি সরকার কোহিনূর ফেরানোর তৎপরতা। কারণ, কোহিনূর ফেরাতে পারলে আগামী বছর ভারতের সাধারণ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী এটিকে তার সাফল্য বলে প্রচার চালাবেন।