কো-অপারেটিভ আরবানের ডিএ বঞ্চনায় বাড়ছে ক্ষোভ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-খুঁড়িয়ে
খুঁড়িয়ে চলা আগরতলা কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অবস্থা যেনো আরও বেহাল হয়ে পড়ছে।স্বাভবিকভাবেই রাজ্য সরকারের শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে তাল মিলিয়ে মহার্ঘভাতা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না কোনও অবস্থাতেই।পরিবর্তে দিনের পর দিন চওড়া হয়ে উঠছে মহার্ঘভাতা বঞ্চনার হার।এই অবস্থায় শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সম্প্রতি।অনেক ক্ষেত্রে এই অসন্তোষের জেরে ব্যাংক কর্মচারীদের মধ্যে গা-হেলামি মনোভাবও যেনো স্পষ্ট ভেসে উঠেছে এখন। অভিযোগে করে কর্মচারীর জানান, দীর্ঘ বঞ্চনার পর গত এপ্রিল মাসে পরিচালন কমিটির এক সিদ্ধান্তমতে ১২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকরি করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান রঞ্জিত দাস তাতে বাদ সাধেন। প্রশ্ন উঠেছে, কেনোই বা বাদ সাধলেন তিনি?
অভিযোগ, রাজ্য সরকারের তুলনায় ২২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বঞ্চিত হচ্ছেন আগরতলা কো-অপারেটিভ আরবান ব্যাঙ্ক লিমিটেডের শ্রমিক কর্মচারীরা। অথচ মূল্য বৃদ্ধির বাজারে রাজ্য মতোই একই বাজার থেকে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ সহ নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রাদি ক্রয় করতে হচ্ছে তাদের।তারা জানান, পরিচালন কমিটি মহার্ঘভাতা প্রদানের পক্ষে সওয়াল করলেও পরিচালক কাম চেয়ারম্যান রঞ্জিত দাস আপাতত ব্যাঙ্কটি ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ায় তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। অথচ চেয়ারম্যান রঞ্জিত আপাতত ব্যাঙ্কটি ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ায় তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। অথচ চেয়ারম্যান রঞ্জিত দাস অমরপুরস্থিত নিজ বাড়ি থেকে আগরতলা প্রধান কার্যালয়ে যাতায়াত বাবদ নিয়মিত মোটা অংকের বিল বাগিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এমনকি তাদের আরও অভিযোগ, সমবায় দপ্তর থেকে নিযুক্ত জেনারেল ম্যানেজারকে সরিয়ে আউটসোর্সিং জেনারেল ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়েছে সম্প্রতি।সুভাষ বণিক নামে এই জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধেও নি একই রকম অভিযোগ এনেছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা।তবে কোনোই বা তাহলে মহার্ঘভাতা বঞ্চনার শিকার হবেন সাধারণ কর্মচারীরা?জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ বণিক বলেন, ব্যাঙ্ক থেকে আইন অনুযায়ী যেসব সুবিধা তার ভোগ করার কথা তার কিঞ্চিত পরিমাণও সুবিধাও তিনি ভোগ করেন না।ব্যাঙ্ক যখন লোকসানের মুখোমুখি তখন এই সুবিধা তিনি নিতে চান না বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আগরতলা কো-অপারেটিভ আরবান ব্যাঙ্কের মোট ২ টি কার্যালয় রয়েছে। বর্তমানে এই দুটি কার্যালয়ে কর্মী রয়েছেন মোট ১৭ জন। লোকসানের মুখ থেকে কিভাবে ব্যাঙ্কটি রক্ষা করা যায়, এ নিয়েই কার্যত ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
চেয়ারম্যান রঞ্জিত দাস বলেন, দীর্ঘ প্রায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যাঙ্কটির কার্যক্রম প্রায় বন্ধ-ই হয়ে পড়েছিলো। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কের ব্যয়ের পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছিলো আয়ের তুলনায়। গেলো বছর চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বিভিন্ন ভার্তা প্রদানের বিষয়গুলি। নিয়ম মেনে এখন ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে ঋণ প্রদানের বিষয়গুলিও। লাভের মুখ না দেখলেও ব্যাঙ্কটি এখন গত এক বছরে তুলনামূলকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছে লোকসানের মুখ থেকে। মহার্ঘভাতা বঞ্চনা নিয়ে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার সাথে শুধুমাত্র মহার্ঘভাতা নয় ব্যাঙ্কের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় বসতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা।