প্রশ্নের মুখে বৈধ সীমান্ত বাণিজ্য, আমদানির তুলনায় রপ্তানি নামমাত্র, পরিস্থিতি চিন্তাজনক!!
ক্রাইম ব্রাঞ্চের শক্তিবৃদ্ধিতে গুচ্ছ পদক্ষেপ : মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিগত ছয় মাসে ত্রিপুরা পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ২২টি মামলা হস্তান্তর করা হয়েছে।২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত এই মামলাগুলি হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরিত মামলাগুলো এন্টি নারকোটিক্স, সাইবার অপরাধ, আর্থিক অপরাধ এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত। রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি এই মর্মে জানান মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।
সাইবার ক্রাইম রোধে রাজ্য পুলিশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অফিসার ও কর্মীর সংখ্যা বর্তমানে কতজন। বিধায়ক শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথের এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সাইবার ক্রাইম রোধে রাজ্য পুলিশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অফিসারের সংখ্যা ১৫১ জন।রাজ্য পুলিশের অন্যান্য কর্মী সংখ্যা ১১৩ জন। বিগত ২০২২ সাল থেকে চলতি বছরের ১৫/০৩/২০২৫ইং তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের ৫৩ জন পুলিশ অফিসার এবং ৩ জন অন্যান্য কর্মী রাজ্যের বাইরে সাইবার ক্রাইম বিষয়ক কোর্সের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ক্রাইম ব্রাঞ্চে বর্তমানে বিভিন্ন পদে ৮৪ জন পুলিশ কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। এরমধ্যে ১ জন করে আইজিপি (ক্রাইম),ডিআইজিপি (ক্রাইম)। ৪ জন এসপি,২ জন এএসপি, ১০ জন ডিএসপি,৭জন ইনস্পেক্টর এবং ২ জন ইনস্পেক্টর ইনচার্জ রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চ অর্থনৈতিক অপরাধ, সাইবার অপরাধ, এনডিপিএস মামলা এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধের বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করে থাকে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এক্তিয়ারাধীন অপরাধগুলি নির্মূল বা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য সরকারীভাবে বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এইগুলি হলো- CBI (Central Bureau of Investigation), NIA (National In-vestigation Agency), ED (En-forcement Directorate), RBI (Reserve Bank of India), FIU-IND (Financial Intelligence Unit-India)-এর সহযোগিতায় ক্রাইম ব্রাঞ্চে কর্মরত অফিসার ও কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো। রাজ্য পুলিশের তদন্তের দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন তদন্তকারী এজেন্সিকে নিয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চ কর্তৃক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত করা।
টেকনোলজি এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গেজেট ব্যবহারের মাধ্যমে তদন্তের গতি বৃদ্ধি করা। ক্রাইম ব্রাঞ্চের মামলাগুলিতে Convication Rate বাড়ানোর উদ্দেশে PAIRAVI Officer-দের সাহায্য নেওয়া। বিশেষ করে সাইবার সংক্রান্ত অর্থনৈতিক অপরাধ মামলা তদন্তের উদ্দেশে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা। প্রশিক্ষিত লোকবল নিয়োগ করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের শক্তি বৃদ্ধি করা, সচেতনতামূলক কর্মসূচি বৃদ্ধি করা।