ক্রিকেটমুখী কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি টিসিএর নবগঠিত কমিটির

 ক্রিকেটমুখী কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি টিসিএর নবগঠিত কমিটির
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দেরিতে হলেও বিসিসিআইর অনূর্ধ্ব পনেরো মেয়েদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রাজ্যদল গঠনের ওপেন ট্রায়াল ক্যাম্প দিয়েই টিসিএর নতুন কমিটি তাদের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। আগামী ছাব্বিশ অক্টোবর সদর সহ সবকয়টি মহকুমায় এর জন্য ছয়দিনের এক ওপেন ট্রায়াল ক্যাম্প করা হবে। সেই ট্রায়াল ক্যাম্প থেকেই প্রতিভাবান প্লেয়ার তুলে এনে আগরতলায় মূল দল গঠনের কোচিং ক্যাম্প শুরু করা হবে। আজ বিকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে টিসিএর নবগঠিত কমিটির সহ সভাপতি তিমির চন্দ এমনই জানালেন। তবে দেরিতে হলেও টিসিএর উদ্যোগে অনূর্ধ্ব পনেরো ক্যাম্প শুরু হবে। আগরতলায় সদর, জিরানীয়া ও মোহনপুরের অনূর্ধ্ব পনেরো ভাবি মহিলা ক্রিকেটারদের নিয়ে ওপেন ট্রায়াল হবে। বাকি মহকুমায় নিজ নিজ উদ্যোগে হবে ওপেন ট্রায়াল। ছাব্বিশ অক্টোবর সকাল দশটায় এমবিবি স্টেডিয়ামে শুরু হবে। আজ টিসিএর সভাকক্ষে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে অফিস বেয়ারার ও অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে সাংবাদিকদের পরিচয় করিয়ে দেন টিসিএ সচিব তাপস ঘোষ। শুরুতে কোষাধ্যক্ষ জয়লাল দাস সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান এবং ঘোষণা দেন টিসিএর সমস্ত বেতনভুক্ত কর্মচারীকে দীপাবলি উপলক্ষে ফেস্টিভেল গ্র্যান্ট হিসাবে এককালীন এক হাজার টাকা দেওয়া হবে। যা টিসিএতে প্রথম। টিসিএর নতুন কমিটির এই ঘোষণায় কর্মচারীরা স্বাভাবিকভাবেই খুশি। তবে এখনও টিসিএর অনেক কর্মীর বেতন নিয়ে যে বৈষম্য রয়েছে তা দূর করার জন্য উদ্যোগী হতে হবে কমিটিকে। শ্রীদাস বলেন, রাজ্য ক্রিকেটকে তারা নতুনভাবে ঢেলে সাজাবেন। একই সঙ্গে ক্রীড়ামোদি মানুষ, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সংবাদ মাধ্যম সহ সবাইকে নিয়েই রাজ্য ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাবারও তাদের লক্ষ্য। মহকুমাগুলির মাঠ সংস্কার সহ ক্রিকেটারদের মাঠমুখো করাও লক্ষ্য থাকবে তাদের। সচিব তাপস ঘোষ বলেন, সবাইকে নিয়েই আমরা রাজ্য ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। জাতীয় ক্রিকেট মঞ্চে ত্রিপুরার মান ও মুখ উজ্জ্বল করাও তাদের লক্ষ্য থাকবে। একই সাথে ভারতীয় ক্রিকেট মানচিত্রে রাজ্যের নাম একটা বিশেষ জায়গায় তোলারও লক্ষ্য থাকছে। খুব শীঘ্রই ধর্মনগর ক্রিকেট স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হবে। একই সঙ্গে রাজ্য ক্রিকেটে ভালো রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি করাও তাদের কমিটির বিশেষ টার্গেট থাকবে। সহ সভাপতি তিমির চন্দ জাতীয় ও রাজ্যভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিমির মনে করছেন মহকুমা ক্রিকেট চালু হলেও রিজার্ভ প্লেয়ার সংখ্যা বাড়বে। যারা আগরতলায় এসে ক্লাব ক্রিকেট খেলে রাজ্যদলে ঢোকার সুযোগ পাবে। এ বছর আগরতলায় জাতীয়স্তরের মোট নয়টি ম্যাচের আয়োজনের যে দায়িত্ব তারা পাচ্ছে সেগুলি অতীতের মতোই সাফল্যের সঙ্গে শেষ করাও তাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে। মহকুমা ও সদরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলিকে ক্রীড়া সরঞ্জাম দেবারও তাদের লক্ষ্য থাকছে। কোচিং সেন্টারগুলিতে ক্রীড়া পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকলে সেগুলি পূরণ করাও তাদের কাজ হবে। পুরুষ, মহিলা সব ক্রিকেটের জন্য রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি করাও লক্ষ্য তাদের রয়েছে বলে জানান তিমির চন্দ। সবশেষে সভাপতি তপন কুমার লোধ ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন। তিনিও সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। এদিকে, সচিব তাপস ঘোষ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, খুব শীঘ্রই নতুন টুর্নামেন্ট ও তিনস্তরেরই (পুরুষ ও মহিলা) সিলেকশন কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়াও আরও কিছু সিদ্ধান্ত তারা গ্রহণ করবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে যুগ্ম সচিব জয়ন্ত দে এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিলার অলক ঘোষ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.