ক্রীড়া দপ্তরের একাধিক প্রজেক্ট আর্থিক সমস্যার কারণেই শুরু করা যাচ্ছে না।

 ক্রীড়া দপ্তরের একাধিক প্রজেক্ট আর্থিক সমস্যার কারণেই শুরু করা যাচ্ছে না।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || আর্থিক সমস্যাগত কারণে রাজ্যের একের পর এক বিভিন্ন ক্রীড়া পরিকাঠামো নির্মাণ কাজ থমকে পড়েছে।রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে কয়েকটি ক্রীড়া পরিকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল তার মধ্যে অধিকাংশের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।এর মধ্যে রয়েছে বাধারঘাটের দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক,খোয়াই এবং জম্পুইজলা অ্যাস্টো টার্ফ ফুটবল গ্রাউণ্ড।এই সবকটি কাজ এখন বন্ধ হয়ে রয়েছে।এর মধ্যে ক্রীড়া দপ্তরের হাতে একাধিক প্রোজেক্ট রয়েছে যা আর্থিক সমস্যার কারণে শুরু করা যাচ্ছে না। জানা গেছে,মূলত আর্থিক সমস্যাগত কারণেই নাকি বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।ক্রীড়া দপ্তর অর্থ রিলিজ করতে পারছে না বলে এজেন্সি কাজ বন্ধ রেখেছে।এ অবস্থায় রাজ্যের নির্মীয়মাণ বিভিন্ন ক্রীড়া পরিকাঠামোগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এদিকে, বাধারঘাটের দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্স সিস্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণ কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েছে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল ও সাই ট্রেনিং সেন্টার।গত প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই মাঠে খেলাধুলা পুরোপুরি বন্ধ।ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার এক বছরের মধ্যেই বাধারঘাটের দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল।তবে প্রায় দেড় বছর হতে চললো এখনও এর নির্মাণ কাজ অধরা।নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাধারঘাটের সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।সদ্য অনুষ্ঠিত রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই এর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে বলা মুশকিল যে রাজ্যের প্রথম সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে।নির্মাণ সংস্থার বক্তব্য যে এই পরিকাঠামো নির্মাণে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে সেই টাকা সঠিক সময়ে না মেলার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। যার ফলে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নির্মাণ সংস্থার দাবি যে অর্থ রিলিজ করা হলে কাজ শেষ করতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে না।তবে ঘটনা যাই হোক এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাধারঘাটের সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণ কাজ আগামী এক বছরের মধ্যেও শেষ হবে কি না তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।তবে বিস্ময়কর ঘটনা হলো যে এই ক্রীড়া পরিকাঠামো সিন্থেটিক আথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করতে ক্রীড়া দপ্তরের তরফে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।এমনকি এই পরিকাঠামো নির্মাণ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না বা কাজের গুণমান বজায় কতটা বা রাখা হচ্ছে এ নিয়ে কোনও তদারকি নেই রাজ্য সরকারের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের তরফে।গত প্রায় দু’মাসের বেশি সময় ধরে কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে,কিন্তু এ নিয়ে ক্রীড়া দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই।ক্রীড়া মহলের বক্তব্য যে ক্রীড়া দপ্তরের খামখেয়ালিপনার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে না।কেন্দ্রের খেলো ইণ্ডিআ প্রকল্পে আনুমানিক সাত কোটি টাকা ব্যয়ে শহর দক্ষিণের বাধারঘাটে সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত ২০২১ সালের শেষদিকে। নির্মাণ সংস্থা দাবি করেছিল এক বছরের মধ্যেই আট লেনযুক্ত অত্যাধুনিক এই সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণের কাজ শেষ করে নেওয়া হবে। তবে কোথায় কী?এই পরিকাঠমোর অর্ধেক কাজও শেষ হয়নি গত প্রায় দেড় বছরে। সামনে বর্ষা মরশুম।এই সময়ে কাজ ঠিকভাবে করা সম্ভব হবে না। কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা সৃষ্টি হবে। সব মিলিয়ে এই সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক পরিকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হতে আরও বহু সময় লাগবে তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত,যে গত ২০২১ সালের তেসরা সেপ্টেম্বর দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণ কাজের শিলান্যাস হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের খেলো ইণ্ডিয়া প্রকল্পে ছয় কোটি নিরানব্বই লক্ষ সাতানব্বই হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এই সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক।মণিপুরের ইণ্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (মেনিডকো)এর পরিকাঠামো নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে। উল্লেখ্য,এতে আট লেনযুক্ত সিন্থেটিক ট্র্যাক সহ অ্যাথলেটিক্সের সমস্ত খেলাধুলার সুযোগ সুবিধা থাকছে। অ্যাথলেটিক্সের পাশাপাশি মাঝমাঠে একটি অত্যাধুনিক ফুটবল গ্রাউণ্ড করার সংস্থান রাখা হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.