ক্রীড়া দপ্তরের ক্রীড়া উন্নয়নের তালিকায় ক্রিকেট না থাকায় প্রশ্ন।

 ক্রীড়া দপ্তরের ক্রীড়া উন্নয়নের তালিকায় ক্রিকেট না থাকায় প্রশ্ন।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || ফুটবল, ভলিবল, খো খো, কাবাডি, হ্যান্ডবল,যোগা, অ্যাথলেটিক্স, জুডো, হকি ও সুইমিং সহ বিভিন্ন ইভেন্টে রাজ্যে একচল্লিশ কোচিং সেন্টারকে ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হলেও রাজ্যের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সফল ইভেন্ট ক্রিকেটকে ব্রাত্য রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ক্রীড়া দপ্তরের অধীনে রাজ্যে যে ২০৬টি কোচিং সেন্টার ছিল সেখান থেকেই একচল্লিশটি কোচিং সেন্টারকে বাছাই করা হয়। তবে বিস্ময়কর ঘটনা হলো ক্রীড়া দপ্তরের বাছাই করা একচল্লিশটি কোচিং সেন্টারে বিভিন্ন ইভেন্ট থাকলেও নেই ক্রিকেট। ক্রীড়া দপ্তরের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র ক্ষোভ রাজ্যের ক্রিকেট মহলে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন তাহলে কি রাজ্যের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত ও সফল ইভেন্ট ক্রিকেটকে নিয়ে সরকার ও তার ক্রীড়া দপ্তরের কোন দায়দায়িত্ব ও মাথাব্যথা নেই? তাহলে কি ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাঁধেই রাজ্য ক্রিকেটের যাবতীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে রাজ্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তর? অন্য আরও পাঁচটি ইভেন্টের মতো এই রাজ্যের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার ও তার ক্রীড়া দপ্তরের কোন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা নেই। যদিও ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের স্বীকৃত ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।তা সত্ত্বেও সরকারী কোন সাহায্য ও সহযোগিতা নেই।এমনকী সরকার ও তার ক্রীড়া দপ্তরের তরফে এই রাজ্যের ক্রিকেটের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে কোন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা নেই। রাজ্যে অন্যান্য ইভেন্টে সরকারী উদ্যোগে সর্বত্র পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলতে থাকলেও সেই ক্ষেত্রে ক্রিকেট ইভেন্টটি ব্রাত্য। এর মধ্যে ক্রীড়া দপ্তরের বাছাই করা বিভিন্ন ইভেন্টে একচল্লিশটি বিশেষ কোচিং সেন্টারের মধ্যেও ঠাই হলো না ক্রিকেট ইভেন্টটির। সব মিলিয়ে এই রাজ্যের ক্রিকেট সরকারী বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই রাজ্যের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব দায়িত্বই যেন একা ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের। টিসিএর কাঁধে এই রাজ্যের ক্রিকেট উন্নয়নের সমস্ত দায়দায়িত্ব ছেড়ে সরকার ও তার ক্রীড়া দপ্তর নিজের দায়িত্ব। এড়িয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে যেহেতু এই রাজ্যের ক্রিকেট সরকারী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাহলে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্যদের স্বীকৃতি দেওয়ার মানেই বা কী? অযথা কেন ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের স্বশাসিত বত্রিশটি ক্রীড়া সংস্থার তালিকায় ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে রাখা হয়েছে?
ক্রিকেট মহলের বক্তব্য অন্য পাঁচটি ইভেন্টের মতো ক্রিকেটও কি কিছুটা সরকারী সাহায্য সহযোগিতা পেতে পারে না?এই রাজ্যে ক্রিকেটে অনেক প্রতিভাবান ছেলে-মেয়ে রয়েছে। রাজ্যের মহকুমাগুলোতে বহু প্রতিভাবান ক্রিকেটার পড়ে রয়েছে। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও ছেলে-মেয়েরা উঠে আসার সুযোগ পাচ্ছে না। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তার সাধ্যমতো মহকুমাগুলো থেকে ক্রিকেটে প্রতিভাবান ছেলে-মেয়ে তুলে আনার নিয়মিত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও সীমিত পরিকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টাও করছে। তবে সরকারী সহযোগিতা ছাড়া একা টিসিএ-র পক্ষে তা কতটাই বা সম্ভব? রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমাগুলোতে এখনও ক্রিকেটের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। কোথাও নেই ক্রিকেটের আদর্শ মাঠ। নেই ক্রিকেটের সাথে যুক্ত অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। ফলে মহকুমাগুলোতে আজও ক্রিকেট খেলাটাকে চালিয়ে যাওয়া। সমস্যা ও বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের ক্রিকেট মহলের বক্তব্য যে সরকারী উদ্যোগে যদি রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা ও জেলাগুলোতে ক্রিকেটের পরিকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গড়ে তোলা যেতো তাহলে এই রাজ্যের ক্রিকেট আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতো। এ ক্ষেত্রে সরকার ও তার ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগ ও আন্তরিকতার প্রয়োজন বলে বক্তব্য একাংশের।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.