ক্রীড়া দপ্তরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শুরু
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্যের স্কুলগুলোতে গত প্রায় চার বছর ধরে খেলাধুলার যে অচল অবস্থা চলছে তাকে সচল ও স্বাভাবিক রাখতে ক্রীড়া দপ্তর তার যে দুই শতাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে সেই সংখ্যাটা কমিয়ে এনে এবার মহকুমা ও জেলা ভিত্তিক একটি করে সেন্টার রাখার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কোচিং সেন্টারগুলো থেকে পিআইদের ফিরিয়ে এনে স্কুলে পুনরায় পোস্টিং দিয়ে স্কুলের খেলাধুলাকে সচল ও স্বাভাবিক রাখতেই এই সিদ্ধান্ত দপ্তরের। আর ক্রীড়া দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ মেনে রাজ্যের জেলা দপ্তরগুলো ইতিমধ্যেই মহকুমা ও জেলায় একটি কোচিং সেন্টারের জায়গা চিহ্নিত করে সেই রিপোর্ট দপ্তরের কাছে জমা দিয়েছে। তবে জানা গেছে,মহকুমা ও জেলায় কোচিং সেন্টারের জায়গা ঠিক করা নিয়ে চলছে রাজনীতির খেলা।অভিযোগ বিভিন্ন মহকুমা ও জেলায় কোন্ জায়গায় কোচিং সেন্টার হবে তা ঠিক করে দিচ্ছে নেতারা।এর মধ্যেও নাকি চলছে টানা হেঁচড়ে। নেতারা নাকি নির্দেশ দিচ্ছেন কোথায় কোচিং সেন্টার চালু থাকবে।নেতারা নাম বলে দিচ্ছেন।এতে জেলা দপ্তরের অফিসার আধিকারিকরা বেজায় সমস্যায় পড়েছেন।শুধু জেলা ও মহকুমা দপ্তরগুলোতেই নয়। অভিযোগ খোদ সদর দপ্তরে নাকি এই রাজনীতির খেলা চলছে।মহকুমা ও জেলা দপ্তরগুলোর তরফে এ নিয়ে যে রিপোর্ট সদর দপ্তরে এসে জমা পড়ছে তাতেও সরাসরি হস্তানে করছে নেতারা। বিভিন্নভাবে দপ্তরকে চাপ দেওয়া হচ্ছে এ নিয়ে। জানা গেছে, যার কারণে ক্রীড়া দপ্তর নাকি এখন মহকুমা ও জেলাগুলোতে কোচিং সেন্টারের ভেন্যু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। একাংশের অভিযোগ কোচিং সেন্টারের ভেন্যুর চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে দপ্তরের তরফে।উল্লেখ্য,গত ২০১৯ সালে ক্রীড়া দপ্তর রাজ্যে কোচিং সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।সব মিলিয়ে ২০৬টি কোচিং সেন্টার গোটা রাজ্যে খোলা হয়।আর স্কুলগুলো থেকে পিআই সরাनরি যুক্ত হয় কোচিং সেন্টারে। স্কুলগুলোকে ফাঁকা করে কোচিং সেন্টারে পিআইদের পোস্টিং দেওয়ার কারণে রাজ্যের স্কুলগুলোতে খেলাধুলার অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে,যে উদ্দেশ্য নিয়ে কোচিং সেন্টারগুলো খোলা হয়েছিল তাও সফল হয়নি।কোচিং সেন্টারগুলোতেও খেলাধুলার অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়।এই অবস্থায় এখন ক্রীড়া দপ্তর কোচিং সেন্টারে সংখ্যা কমিয়ে এনে প্রতি মহকুমা ও জেলার একটি করে কোচিং সেন্টার রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।এতেও নাকি এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে।