খালি চোখেই দেখা যাবে ‘ব্রহ্মাণ্ডের শয়তান’!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগামী ৮ এপ্রিলের সূর্যগ্রহণ নিয়ে বিশ্বজুড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একেবারে বুঁদ হয়ে রয়েছেন। নাসা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ৮ এপ্রিল হতে চলেছে চলতি বছরের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মহাজাগতিক ঘটনা।সেদিন শুধু প্রায় আট মিনিট ধরে সূর্যের পূর্ণগ্রাস দীর্ঘস্থায়ী হবে তাই নয়,পাশাপাশি দেখা যাবে ‘ব্রহ্মাণ্ডের শয়তান’ (ডেভিল কমেট)-কে!
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বিবৃতি দিয়ে বলেছে,এই সূর্যগ্রহণ নানা দিক থেকে বিশেষ হতে চলেছে। চাঁদের সবচেয়ে কাছাকাছি হওয়ায়,এটি ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে যখন দিনের আকাশ প্রায় ৮ মিনিটের জন্য অন্ধকার থাকবে।এই সময়ে, গ্রহণ এলাকায় উপস্থিত লোকেরা পৃথিবীর কাছাকাছি উপস্থিত বৃহস্পতি এবং শুক্র গ্রহগুলিকে সরাসরি দেখতে পাবে।তবে বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী শয়তান ধূমকেতু নিয়ে, যা দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণের সময়। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৮ এপ্রিল আগুনের বলের মতো ধাবমান ওই ধূমকেতুকেও খালি চোখে দেখা যাবে।কিন্তু এই ধূমকেতুকে ‘শয়তান’ বলা হয় কেন? কারণ, এই ধূমকেতু দেখতে নাকি শয়তানের মতো।এই ধূমকেতুর আনুষ্ঠানিক নাম হল ‘পি১২’। উদ্ভট আকৃতির কারণে এর নামকরণ করা হয়েছে ডেভিল ধূমকেতু।গত বছর এই ধূমকেতুতে একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল, যার পরে ওই ধূমকেতুতে গ্যাস এবং বরফের দুটি চিহ্ন তৈরি হয়েছিল, যা দেখতে শয়তানের শিংয়ের মতো।


মাউন্ট এভারেস্টের তিনগুণ বড় এই ধূমকেতু পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। বর্তমানে উত্তর গোলার্ধ থেকে একটি টেলিস্কোপের সাহায্যে এই শয়তান ধূমকেতুটি দেখা যায়।বিজ্ঞানীরা আশা করছেন সূর্যগ্রহণে পৃথিবী সূর্যের কাছাকাছি চলে আসায় মানুষ খালি চোখেও সেটি দেখতে পারবে। মহাকাশে সৌরজগতের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই ধূমকেতুটি এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সূর্যের নিকটতম বিন্দুতে আসবে।
প্রশ্ন হল ধূমকেতু কী? সাধারণত ধুলো, গ্যাস এবং বরফের বিশাল বল যা গ্যাসের উজ্জ্বল মেঘে ঘেরা। এই মেঘগুলিকে বলা হয় কোমা।নাসার মতে,এই মহাকাশীয় বস্তগুলি হল সৌরজগৎ গঠনের সময় জমা হওয়া অবশেষ।এই পিণ্ডগুলি খুব বড় হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ পি১২ ধূমকেতু মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে তিনগুণ বড়।সূর্যালোক এবং সৌর বিকিরণ ধূমকেতুর কেন্দ্রকে উত্তপ্ত করে চলেছে। কখনও এতে বিস্ফোরণ হতে পারে। পি১২ ধূমকেতুতেও একবার বিস্ফোরণ হয়েছিল।’ব্রহ্মাণ্ডের শয়তান’-কে সন্ধ্যায় উত্তর গোলার্ধ থেকে পশ্চিম-উত্তর দিগন্তের দিকে দূরবীণের সাহায্যে দেখা যায়।এপ্রিলের শেষ নাগাদ এটি দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।তবে আকাশ পরিষ্কার থাকলে এবং অন্ধকার থাকলে মে মাস পর্যন্ত দেখা যাবে।তবে ৮ এপ্রিল সূর্যগ্রহণের সময় এই ধূমকেতু সরাসরি দৃশ্যমান হবে।প্রসঙ্গত,ভারত থেকে ৮ এপ্রিলের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

হৃদরোগে হঠাৎ মৃত্যু: কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…

19 hours ago

প্রশ্নের মুখে বৈধ সীমান্ত বাণিজ্য, আমদানির তুলনায় রপ্তানি নামমাত্র, পরিস্থিতি চিন্তাজনক!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…

19 hours ago

আঠাশের বিধানসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা প্রদ্যোতের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…

19 hours ago

হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…

19 hours ago

সতর্কতাই বাঞ্ছনীয়!!

নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…

19 hours ago

খুশির ঈদ উদযাপন

অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…

2 days ago