‘খেপে’ গিয়ে পরীক্ষককেই ‘খুন’ করল এআই-চালিত ড্রোন।

 ‘খেপে’ গিয়ে পরীক্ষককেই ‘খুন’ করল এআই-চালিত ড্রোন।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহলে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।এই প্রযুক্তি পারে না হেন কাজ নেই।আবার অন্যদিকে আশঙ্কা,এই প্রযুক্তি ফ্রাঙ্কেস্টাইন দানব হয়ে উঠবে না তো!এআই প্রযুক্তির অন্যতম উদ্ভাবক, গুগলের প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী এরিক স্মিডটে নিজেই এই প্রযুক্তির কুফল নিয়ে চিন্তিত। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এরিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তার দুশ্চিন্তার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন,এই প্রযুক্তি মানবসভ্যতার শুধু ক্ষতি করতে পারে তাই নয়,তার ধ্বংসেরও কারণ হয়ে উঠতে পারে। এরিকের আশঙ্কা যে অমুলক নয়, বাস্তবে তার প্রমাণ মিলল এই ঘটনায়।সিমুলেশন পরীক্ষার সময় তার মানব-অপারেটরকেই ‘হত্যা’ করেছে এআই প্রযুক্তি-চালিত ড্রোন।এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল একটি সিমুলেটেড মিশনে এআই- র
কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করা।এই বিশেষ পরিস্থিতিতে,ড্রোনটিকে শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং যদি কেউ তার মিশনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রোগ্রামিং করা হয়েছিল।
বাস্তবে দেখা গেছে,এআই ড্রোন তার মানব পরীক্ষকের নির্দেশ উপেক্ষা করে,মানুষের হস্তক্ষেপকে ‘অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ’ বলে মনে করে সেই পরীক্ষককেই ‘হত্যা’ করে।‘বিজনেস ইনসাইডার’ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন বায়ুসেনার মুখপাত্র অ্যান স্টেফানেক যদিও বলেছেন, ‘আমাদের বিমান বাহিনী এ ধরনের কোনও এআই-ড্রোন সিমুলেশন পরিচালনা করেনি। বরং আমরা এআই প্রযুক্তির নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।সম্ভবত সংশ্লিষ্ট কর্নেলের মন্তব্যের থেকে আপনাদের মনে হচ্ছে, ভুল প্রোগ্রামের জন্য খেপে গিয়ে ওই ড্রোন অপারেটককে হত্যা করেছে।বিষয়টা এত সরল নয়।’
বায়ুসেনার কর্তা যাই বলুন, মার্কিন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে এই খবর।অ্যারোসোসাইটির তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে,এটি নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে অপারেটরকে হত্যা করেছে। এমন ভাবে ড্রোনটিকে শেখানো হয়েছিল যাতে তার কাজে কেউ বাধা দিলে সে তাকে হত্যা করবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.