খোয়াই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বড় প্রশ্ন !!!

 খোয়াই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বড় প্রশ্ন !!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

খোয়াই জেলা হাসপাতালে সিজার করতে গিয়ে চিকিৎসকের হাতে অকালে প্রাণ গেল এক প্রসূতি মায়ের। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত রোগীকে অক্সিজেন লাগিয়ে রেফার করে দেয় জিবি হাসপাতালে।
যে প্রসূতি মায়ের অকালে মৃত্যু হলো তার নাম সম্পৃকা দেববর্মা (২৩), স্বামী বিশ্বজিত দেববর্মা। বাড়ি প্রেম সিং উরাং এডিসি ভিলেজের গোবিন্দ সেনাপতি পাড়ায়। অভিযোগ, খোয়াই জেলা হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অমূল্য দেববর্মা মহিলা গর্ভধারণের পর চিকিৎসা করে আসছিলেন। গত ১৭ জুলাই তিনি সন্তান প্রসবের জন্য মহিলাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। ২১ জুলাই সন্ধ্যে ৬ টায় ওই চিকিৎসক মহিলার সিজার পদ্ধতির মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করান। প্রসবের পর থেকেই প্রসূতি মায়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। এ বিষয়টি চিকিৎসকরা চেপে যান। সময় যত গড়াতে থাকে ততই প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। ২২ জুলাই ভোরে ওই প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা স্বামী বিশ্বজিত দেববর্মাকে ডেকে এনে জানিয়ে দেন স্ত্রীকে বাঁচাতে হলে এক্ষুনি জিবিতে নিয়ে যেতে হবে। ওই কথা শোনার পর স্বামী বিশ্বজিত দেববর্মা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। স্ত্রীকে দেখার জন্য অনুমতি চাইলে কর্মরত নার্সরা উনাকে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেননি বলে অভিযোগ। বিশ্বজিৎ দেববর্মা জানান ২২ জুলাই ভোর ছয়টায় ১০২ নং অ্যাম্বুলেন্স করে উনার মৃত স্ত্রী সহ শিশুকন্যাটিকে জিবি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। গাড়িতে তোলার পর তিনি দেখতে পান স্ত্রীর মুখ দিয়ে রক্তসহ ফেনা বেরিয়ে শুকিয়ে আছে। ওইদিন সকাল সাড়ে সাতটায় জিবি হাসপাতালে পৌঁছার পর চিকিৎসকরা উনাকে জানিয়ে দেন উনার স্ত্রী আর বেঁচে নেই। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে এবং কেন ওই প্রসূতি মায়ের অকাল মৃত্যু হলো?

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.