গণনার পর শান্তি বজায় রাখতে আহবান জিতেনের!
রাজ্যে ২ মার্চ ভোটের ফল প্রকাশের পর শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের, পুলিশ প্রশাসনের না। এই সত্যটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। যদিও শাসক দলের পাঁচ বছরের অপশাসনে বিরোধী দলের উপর সর্বোচ্চ পর্যায়ে বর্বর হামলা চলছে। যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। তবে দুই মার্চ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বাম কর্মী সমর্থকদের নির্দেশ দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। রবিবারও রাজ্যে ভোটের পরবর্তী হিংসা বন্ধ করা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নে দলের কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, জিতেন চৌধুরী, মানিক দে, পবিত্র কর, রতন দাশ, রাধাচরণ দেববর্মা, নরেশ জমাতিয়া
প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সদর মহকুমা সহ শান্তিরবাজার, জোলাইবাড়ি, সাব্রুমের বৈষ্ণবপুর, লুধুয়া, চাতকছড়ি, সোনাইছড়ি, হরিণা, গন্ডাছড়া, মান্দাই এবং আরও বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক চলে।
এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে জিতেনবাবু বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শাসক দলের সমস্ত প্ররোচনার মধ্যে দাঁড়িয়েও নব্বই শতাংশ ভোট দিতে পারা। এটা রাজ্যবাসীর বিরাট সাফল্য। কারণ শাসক দলের সমস্ত চক্রান্ত ভেদ করে এবং সমস্ত বাধা গুঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিতে গিয়েছেন। মানুষ গণতন্ত্র ও সংবিধানের পক্ষে রায়ও দিয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জয়ের পর তিনি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।তার অভিযোগ, শাসক দল পূর্বের মতো এ দফায়ও প্রহসনের নির্বাচন করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি। এই কৃতিত্ব রাজ্যের মানুষের। এখন রাজ্যের মানুষের গণতন্ত্রের পক্ষে রায়ের চূড়ান্ত সাফল্য আসবে দুই মার্চ । জনগণের রায় যাতে সঠিক ভাবে প্রকাশিত হয় এই দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। কারণ চক্রান্তকারীরা ভুয়ো এগ্জিট পোল ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে এবং করবে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শাসকের রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতারা গুজব ছড়াবে। তবে এতে কর্ণপাত করার প্রয়োজন নেই। কারণ শাসক দল এদের কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে এসব করছে। কোন কিছুতেই কাজ হবে না। শাসকের বিদায় নিশ্চিত। জিতেন চৌধুরী বলেন, চারিদিকের সমস্ত আভাস বলছে মানুষ গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন, সন্ত্রাস বন্ধ করা এবং সংবিধান রক্ষায় রায় দিয়েছেন। তার মানে আগামী দিনে বামফ্রন্ট জোটকে সব দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাঁচ বছরে আমাদের যাদের মাথা ফেটেছে,বাড়ি ভেঙেছে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ,জীবিকা নষ্ট করা সহ লুটপাট হয়েছে। তবেআমরা শাসক দলের মতো সন্ত্রাস করব না। আমরা আইনগত ভাবে সবকিছুর মোকাবিলা করব। কোন ঘটনা হলে পাঁচ বছরের মধ্যে মামলা করা যায়। প্রয়োজনে ওই সময়ের থানার বড়বাবুদের দিয়ে তদন্ত করব। তবে হবে, শাস্তিও পাবে। তবে কেউ আইন হাতে নেবেন না।কারণ মানুষ শুধুমাত্র আমাদের ইস্তাহার দেখে ভোট দেননি। তবে আমাদের ইস্তাহার ভালো হয়েছে। মনে রাখতে হবে, মানুষ ভোট দিয়েছে এই অশান্তি আমরা আর চাই না। এই অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা আমরা চাই না। বিজয় মিছিল আমরা করব। সাথে আগামী দিনের আমাদের দায়িত্বের কথাও মনে রাখতে হবে। শান্তি বজায় রাখব। অন্যদের যাতে কোন অসুবিধা না হয়। এদিকে জানা গেছে, সোমবার নির্বাচন কমিশনের কাছে যাচ্ছে সিপিএম।