গণপরিবহণ লাটে তুলে স্কুলে চলছে রুট বাস, নির্বাক দপ্তর।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-শুধু পরিবহণ দপ্তরই নয়, বিভিন্ন বাস সিন্ডিকেটকে সম্ভবত ম্যানেজ করেই বিভিন্ন রুটের সরকারী ভাবে নির্ধারিত বাসগুলি এখন বেসরকারী স্কুল- কলেজে ভাড়া খাটছে। শহর আগরতলায় এখন বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছড়াছড়ি।

অধিকাংশ বেসরকারী স্কুল কলেজেই ছাত্রছাত্রী ভর্তির সংখ্যা কতটা নিয়ন্ত্রণে আছে এ নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। আর এই সমস্ত বেসরকারী স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেমনি তাদের যাতায়াতের জন্য বাড়ছে বাসগাড়ির সংখ্যা। আর এই সংখ্যা বৃদ্ধি করতে গিয়ে বিভিন্ন সরকারীভাবে নির্দিষ্ট রুটের বাসগাড়ি কিন্তু তুলে আনা হচ্ছে।যদিও পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার দাবি যে, যদি কোন নির্দিষ্ট রুটের পারমিট নিয়ে কোন বাসগাড়ি রাস্তায় নামে তাহলে তার ওই রুটেই গাড়ি চালাতে হবে। কেননা, নির্দিষ্ট রুটে গাড়ি চালাবে এই শর্তেই ওই বাস গাড়ি পথে থামার অনুমতি,ব্যাঙ্কের ঋণ ইত্যাদি পেয়েছে।কিন্তু দেখা যাচ্ছে পরিবহণ দপ্তরের ওই কর্তা যতই নিয়ম কানুনের কথা বলুন না কেন,বাস্তব চিত্র কিন্তু অন্যরকম।শহরে আগরতলা এবং শহরতলির বিভিন্ন বেসরকারী স্কুল,কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহারে সরকারী নির্দিষ্ট বিভিন্ন রুটের বাস ভাড়া খাটছে। ছাত্রছাত্রীদের অন্যতম পরিবহণ এখন বিভিন্ন রুটের পারমিটের গাড়িগুলি। অভিযোগ, পরিবহন দপ্তর এবং বিভিন্ন বাস সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করেই একটা অংশের বাসমালিক এখন বিভিন্ন বেসরকারী স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের বাসগাড়ি ভাড়া খাটিয়ে চলছেন।পরিবহণ দপ্তরের ওই কর্তা অবশ্য দাবি করেন যে, যদি কোন নাগরিক নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেন যে, তাদের রুটের পারমিট থাকা বাসগুলি তুলে নিয়ে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাড়া খাটছে বা ছাত্রছাত্রীদের পরিবহণ করছে তাহলে ওই বাস মালিকের বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও বাস্তব ঘটনা হচ্ছে, দিনদিন কিন্তু বিভিন্ন দূরপাল্লার রুটের (পারমিট সহ) বাসগাড়ি তাদের রুট ছেড়ে বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাড়া খাটছে।প্রশ্ন হচ্ছে, এ সব কিছু দেখার দায়িত্ব কার? বা পরিবহণ দপ্তর ও বাস সিন্ডিকেটগুলির নজর এড়াচ্ছে কীভাবে? আরও একটা অভিযোগ, পাল্লার ওই সমস্ত বাসগুলি,সরকারীভাবে পারমিট প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রীতিমতো বেপরোয়াভাবে শহরের বুকে ঝড় তুলে চলাচল করে। হয়তো ওই সমস্ত বাসচালকরা জাতীয় সড়কে তাদের গাড়ি চালানোর কথা মনে করেই শহরের ব্যস্ততম রাস্তাতেও ৫০-৬০ কিমি গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে চালান। ইদানীং কিন্তু এ শহরের বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজের বাস তীব্রগতিতে ছুটতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সব মিলিয়ে বলা চলে, পরিবহণ দপ্তর ও বাস সিন্ডিকেটগুলিকে ম্যানেজ করেই শহরে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে দাপাচ্ছে বিভিন্ন রুটের পারমিটের বাসগুলি।

Dainik Digital

Recent Posts

গয়নার ল্যাবে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম রুবি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…

16 hours ago

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচাতে পুলিশ প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…

16 hours ago

কাজের বাজারে মন্দা!!

কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…

17 hours ago

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

2 days ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

2 days ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

3 days ago