অন্টারিও: এককালে কলকাতায় প্রকাশিত গবেষণা। মূলত তার জোরেই ‘গণিতের নোবেল’ পাচ্ছেন শতায়ু ভারতীয়-মার্কিন পরিসংখ্যানবিদ তথা বিজ্ঞানী ক্যালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও। ২০২৩ সালের ‘আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার’ বা ‘গণিতের নোবেল’ পাচ্ছেন তিনি। আগামী জুলাই মাসে কানাডার অন্টারিওতে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট আয়োজিত বিশ্ব পরিসংখ্যান কংগ্রেসে সিআর রাওয়ের হাতে ৮০ হাজার ডলার মূল্যের এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার ফাউন্ডেশনের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা গবেষণা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান এবং প্রয়োগে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে রাওকে। আদতে কর্ণাটকের বাসিন্দারাও যে তিনটি মৌলিক গবেষণার জন্য ভূবনখ্যাত, তা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ওই গবেষণাগুলি প্রকাশিত হয় ‘ক্যালকাটা ম্যাথমেটিকাল সোসাইটি’র বুলেটিনে। আসলে তেলেগু পরিবারে সন্তান রাও অন্ধ্রপ্রদেশে স্কুল শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন উচ্চশিক্ষার জন্যে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএসসি হন। তারপর বিদেশ যাত্রা।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে ডক্টরেট এবং ১৯৬৫ সালে কেমব্রিজ থেকেই ডিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। রাওয়ের তিনটি মৌলিক গবেষণার অন্যতম ‘ক্রেমার-রাও লোয়ার বাউন্ড’। অনুমানের কার্যকারিতাকে প্রতিষ্ঠা দেয় এই তত্ব। দ্বিতীয়টি হল ‘রাও- ব্ল্যাকওয়েল থিওরেম’ এবং তৃতীয় ‘তথ্য জ্যামিতি’ নামে পরিচিত। বিগ ব্যাং তত্ত্ব ব্যাখ্যায় তথা হিগস বোসন কণা পর্যবেক্ষণে ‘তথ্য জ্যামিতি’কে ব্যবহার করা হয়েছিল।আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গাই নেসন বলেছেন, ‘এই পুরস্কারের প্রদানের মাধ্যমে সিআর রাও-এর স্মরণীয় কাজগুলিকে উদযাপন করছি আমরা। যে কাজগুলি শুধুমাত্র তার সময়ের পরিসংখ্যানগত ভাবনার বৈপ্লবিক পরিবর্তনই আনেনি, পাশাপাশি সার্বিক বিজ্ঞান চেতনার উপরেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।’ ভারত-সহ গোটা বিশ্বের একধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন সিআর রাও। কালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও ভারতীয় স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর, জওহরলাল নেহরু অধ্যাপক এবং ভারতের জাতীয় অধ্যাপকের সম্মানে ভূষিত। তিনি পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর মাল্টিভ্যারিয়েট অ্যানালিসিসের এবারলি প্রফেসর, চেয়ার অব স্ট্যাটিস্টিক্স এবং ডিরেক্টর-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও অধিষ্ঠিত থেকেছেন। বর্তমানে তিনি বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পদে রয়েছেন। ১৯৬৮ সালে তিনি পদ্মভূষণ এবং ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণে ভূষিত হয়েছিলেন।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…