গত দু’মাসে নয়বার সাপের ছোবল খেল১৫ বছরের কিশোর
অনলাইন প্রতিনিধি :- ১৫ বছরের ছেলেটির উপরে যেন নেমে এসেছে সাপের অভিশাপ। গত দুই মাসে ৯ বার সাপ কামড়েছে তাকে, এমনটাই দাবি তার পরিবারের। সাপের কামড় থেকে বাঁচতে বাসস্থান পর্যন্ত বদলেছে তারা। কিন্তু, নতুন জায়গায় গিয়েও সাপের দংশন থেকে মুক্তি পায়নি কিশোরটি। অবাকএমনটাই শুনতে লাগলেও, এমনটাই ঘটেছে কর্নাটকের কালবুর্গি জেলার বাসিন্দা প্রজ্বলের জীবনে।বিজয়কুমার এবং ঊষাদেবীর ছেলে পড়ে নবম শ্রেণিতে। কিন্তু, গত দুই মাস ধরে সাপের উপদ্রবে পড়াশোনা করা তো দূর, স্বাভাবিক জীবনযাপনই প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে প্রজ্বলের পক্ষে। সাপ কামড়ানোর এই অদ্ভুত ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত ৩ জুলাই থেকে। সেই সময় কালবুর্গি জেলার চিত্তপুর মহকুমার হালকাটি গ্রামে থাকত তারা। বাড়ির উঠোনে খেলতে গিয়ে সাপের কামড় খেয়েছিল প্রজ্বল। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিমপাতা এবং নুন খাইয়েছিলেন। প্রজ্বল জানিয়েছিল, মুখে কোনও গন্ধ স্বাদ পাচ্ছে না। অবিলম্বে তাকে কালবুর্গির জিমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় প্রজ্বল রক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু, চার-পাঁচ দিনের মন মধ্যেই তাকে ফের সাপ কামড়েছিল। বারবার সাপের কামড়ের প্রেক্ষিতে, লন, হালকাটি গ্রাম ছেড়ে চিত্তপুর মহকুমারই ওয়াড়ি এলাকায় উঠে গিয়েছিল তারা।কিন্তু, নতুন বাড়িতেও প্রজ্বলকে তাড়া করে সাপ। সব মিলিয়ে গত দুই মাসে পর ন’বার সাপ কামড়েছে প্রজ্জ্বলকে। তার পায়ে নয় জায়গায় সাপের কামড়ের ত চিহ্নও রয়েছে। প্রথম ছয়বার তাকে জিমস হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন তার বাবা-মা। কিন্তু, পরে অর্থাভাবে আর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি, স্থানীয় এক ওঝাই চিকিৎসা করেছেন। সবথেকে অদ্ভুত বিষয় হল, প্রজ্জ্বল এতবার সাপের কামড় খেলেও, একবারও অন্য কোন ব্যাক্তি সাপটিকে দেখতে পায় নি। এমনকি তার বাবা মাও কখনও কোন সাপটিকে দেখেনি। শুধু একবার অন্ধকারে আলো ফেলে সাপের জ্বলজ্বলে দুটো চোখ দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের। প্রতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের সাপ কামড়ায় প্রজ্বলকে। তার এই ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা কালবুর্গিতে।
এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, যশরাজ মিশ্র নামে উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলার এক কিশোর দাবি করেছিল, একমাসের মধ্যে সে আটবার সাপে একটি কামড় খেয়েছে। সে আরও দাবি করেছিল, একটি নির্দিষ্ট সাপই তাকে বারবার কামড়েছে। কিশোরটির বাবা দাবি করেছিলেন, পরপর তিনবার সাপের কামড় খাওয়ার পর, যশরাজকে তিনি বদরপুর গ্রামে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কয়েকদিন পর, সেই স্থানেও নাকি সেই একই সাপ হাজির হয়েছিল। কামড়ে ছিল যশরাজকে, আর শেষবার সেই সাপের কামড়ে মৃত্য হয়েছিল যশরাজের।