গনধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রী!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন, ধর্মনগর।। পনেরো বছরের স্কুলপড়ুয়া নাবালিকা গনধর্ষনের শিকার হলো। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে উত্তর জেলার ত্রিপুরা- অসম সীমান্তের কদমতলা থানা এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায়। নাবালিকার বয়ান অনুসারে অভিযুক্ত চার যুবক । উভয়ের বাড়ি কালাগাঙ্গের পাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ।তাদের মধ্যে দুইজন পলাতক দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া পনেরো বছরের ওই নাবালিকা প্রাইভেট টিউশন ছেড়ে বাড়ি ফেরার পথে একটি অটো গাড়ি নিয়ে অভিযুক্ত চার যুবক পিছু নেয়। পরবর্তীতে গাড়িতে করে চার যুবক তাকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে বিস্তর বাড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে একাধিকবার গনধর্ষন চালায় বলে ধর্ষিতা নাবালিকার অভিযোগ।
এদিকে,প্রায় দশটা বেজে গেলেও নাবালিকা মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রফিক উদ্দিন নামে জনৈক ব্যাক্তি ওই নাবালিকা মেয়েটিকে রাতে একটি কৃষি জমির পাশে বসে কাঁদতে দেখে পরিবারের লোকজনদের খবর দেয়।
পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে একপ্রকার সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে কদমতলা সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। একইসাথে খবর দেয় কদমতলা থানায়। সঙ্গে সঙ্গে থানার পুলিশ কদমতলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে ধর্ষিতা নাবালিকার বয়ান লিপিবদ্ধ করে । নাবালিকার তরফ থেকে বয়ান পেয়ে চার অভিযুক্ত যুবককের নামে 366(A)/376D/506 IPC & 06 of pocso Act ধারায় একটি গনধর্ষনের মামলা রুজু করে। যার কেইস নম্বর 22/51 । এই ঘটনার খবর পেয়ে এদিন রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেববর্মা। ঘটনার পর ইতিমধ্যে দুই অভিযুক্তকে আটক করতে পেরেছে কদমতলা থানার পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে একজন ১৫ বছরের নাবলক,রয়েছে। অন্যজন সালিমুল হক (২০) পিতা আব্দুল হক। তবে স্হানীয় থানার পুলিশ জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই বাকী অভিযুক্তদের জালে তোলা হবে।