গরম থেকে বাঁচতে চিনাদের নতুন অস্ত্র ‘ফেসকিনি’।
দক্ষিণ ইউরোপের মতোই গরমে পুড়ছে চিন।উত্তর গোলার্ধের গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রেকর্ড ভাঙা ঝলসানো তাপমাত্রায় চিনের রাজধানী বেজিংয়ে এখন নতুন ফ্যাশনের নাম ‘ফেসকিনি’।তীব্র দহনের হাত থেকে শরীরকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে এ এক অভিনব পোশাক।দেশের আবহবিদরা বলছেন, এবারের মতো চিনে গত পঞ্চাশ বছরে গরম পড়েনি। চিনে বাতাসের তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।দেশটির কিছু অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছুঁয়েছে।এ দেশের বাসিন্দা, ভ্রমণার্থীরা ছোট ছোট পোর্টেবল ফ্যান নিয়ে ঘুরছেন।রোদের তীব্রতায় শরীরকে ঝলসে যাওয়া থেকে বাঁচাতে গা ঢেকে চলাফেরা করছেন। কারও কারও হ্যাটেও যুক্ত করা হয়েছে ছোট পোর্টেবল ফ্যান।এছাড়া রোদ থেকে বাঁচতে পুরো শরীর ঢাকা ফেসকিনি নামের এক পোশাক পরছে চিনারা।এই পোশাকে পুরো চেহারা ঢাকা পড়ে— চোখ ও নাকের জায়গায় থাকে শুধু ফুটো। এছাড়া দুই হাত ঢাকার জন্য থাকে আলাদা হাতা।চওড়া হ্যাট ও অতিবেগুনি রশ্মি-নিরোধক কাপড়ে তৈরি জ্যাকেটও ফেসকিনির অংশ। এই গরমে চিনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেসকিনি।ওজনে হালকা পালকের মতো, সিন্থেটিক কাপড়ের তৈরি।কোনও ফেসকিনি আবার চিনের সাবেকি অপেরা শৈলীতে তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। এটি পরে থাকলে, আপনি কে, রাম না শ্যাম কেউ চিনতে পারবে না।ফেসকিনি কিন্তু চিনে মোটেও নতুন পোশাক নয়। বহুদিন ধরে এ দেশের সৈকত এলাকায়, বিশেষত কুইনডাওয়ে রোদের হাত থেকে বাঁচতে পর্যটকেরা ভাড়ায় এই পোশাক পরে সৈকতে ঘুরতেন। ওয়াং নামে একজন ফেসকিনি বিক্রেতা রয়টার্সকে বলেন, ‘দুই-তিন বছর আগের মহামারীর তুলনায় এখন বিক্রি অনেক ভাল। এ বছর বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে।’পূর্ব এশিয়ার অনেক নারী ভোক্তা ফর্সা ত্বক পছন্দ করেন। দক্ষিণ কোরিয়াসহ এ অঞ্চলের অনেক রোদ থেকে সুরক্ষা প্রদানকারী পণ্য ব্যাপক জনপ্রিয়। বেজিংয়ের পর্যটন এলাকায় মায়ের সঙ্গে বেড়াতে এসেছে লি জুয়ান। তাদের দুজনের পরনেই মাস্ক, যাতে চেহারা প্রায় পুরোটাই ঢাকা।