গরুর পেট থেকে বেরোল ৬৫ কেজি প্লাস্টিক

 গরুর পেট থেকে বেরোল ৬৫ কেজি প্লাস্টিক
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অসুস্থ গরুটিকে পরীক্ষা করে দেখে চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল চিকিৎসকদের। সিটি
স্ক্যান করে দেখা যায়, গোমাতার পাকস্থলীতে জমে আছে থরে থরে প্লাস্টিক এবং সঙ্গে ধাতব পদার্থ। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, অবিলম্বে অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে বাইরের বস্তুগুলি বের করতে হবে। না হলে
যে কোনও সময় মৃত্যু হতে পারে গরুটির। পোষ্যর মনিব রাজি হলে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের পর গরুটির পেট থেকে বেরিয়েছে ৬৫ কেজি প্লাস্টিক এবং ধাতব বর্জ্য। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাডুর
মাদুরাইতে। গতমাসে নিজের পোষা গরুকে নিয়ে মহা চিন্তায় পড়েছিলেন পেশায় দুগ্ধ ব্যবসায়ী পরমেশ্বরন। কারণ গরুটি কয়েক দিন ধরে খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। জলও খাচ্ছিল না। পরমেশ্বরন জানান, সদ্যই মা
হয়েছে তার গরু। তিনি গরুকে নিয়ে পশু চিকিৎসালয়ে যান। সেখানে গরুটির শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার পাকস্থলীতে জমে রয়েছে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক এবং ধাতব বর্জ্য পদার্থ, যার জেরেই তার ক্ষুধা-তৃষ্ণা গায়েব হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, প্রাণসংশয় শুরু হয়েছিল তার। ধুঁকতে শুরু করেছিল। এরপরেই পেটে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পুরো অস্ত্রোপচারটি করতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। এরপর আরও ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয় গরুটিকে। তারপর থেকে প্রাণীটি আবার ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছে বলে তারা জানিয়েছেন। সরকারি পশু চিকিৎসালয় থেকে মঙ্গলবার গরুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধান চিকিৎসক ডাঃ কে
বৈরাভাসামি বলেন, ‘আমরা কল্পনা করিনি যে এই গরুর পেট থেকে লোহার পেরেক, বোতাম, বোল্ট এবং কয়েন-সহ এত প্লাস্টিক এবং বাইরের সামগ্রী বের করে আনব।’ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা যে গরুটির পেট কেটে ৬৫ কিলো প্লাস্টিক বের করেছেন সেটি গির প্রজাতির গরু। এই প্রজাতির গরুদের এমনিতেই পেট মোটা হয়।
তার উপর প্রসবের পরে গরুটির পেট আরও মোটা দেখাচ্ছিল। এই ঘটনায় শহরের রাস্তায়
পশুদের ঘুরে বেড়ানো, খাওয়া এবং থাকার বিষয়ে পুরসভাকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে পশুর
মালিকদেরও তারা অনুরোধ করেছেন
পশুগুলিকে নিশ্চিন্তে রাস্তায় ছেড়ে না দিয়ে তাদের উপর যেন নজর রাখা হয়। তা না হলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.