গুঞ্জনে বাতাস ভারী!!

 গুঞ্জনে বাতাস ভারী!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা কোথায়?গত প্রায় এক ধরে তার কোন ও কর্মসূচি এবং গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়নি।সামাজিক মাধ্যমে ও তার ব্যক্তিগত কর্মসূচীর কোন খবর বা পোস্ট নেই।স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই রহস্যজনক নীরবতা নিয়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নীরবতা নিয়ে নানা মহলে নানারকম গুঞ্জন চলছে। বলতে গেলে গুঞ্জনে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।নানা জনে, নানা কথা বলছে।নানা ধরনের সম্ভাবনা নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর এই রহস্যজনক নীরবতা ও অনুপস্থিতি ঘিরে রাজ্য রাজনীতির হাওয়াও গরম হয়ে উঠেছে।খবরে প্রকাশ, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লী গেছেন।দিল্লী সফরকালে তাঁর সরকার ও দলের সাংগঠনিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে আলোচনা ও বৈঠক করার কথা।দলের সাংগঠনিক মহামন্ত্রী বি এল সন্তোষ থেকে
শুরু করে একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে রাজ্যের নানা বিষয়ে আলোচনা করার কথা।শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প
এবং রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সাথেও মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ এবং বৈঠকের কথা ছিলো।খবরে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছিলো।কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লী গেলেও গত প্রায় সাতদিন ধরে দিল্লীতে মুখ্যমন্ত্রীর এমন কোনও কর্মসূচি নজরে আসেনি, এমন কোনও কর্মসূচির খবর পাওয়া যায়নি।কোনও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বা বৈঠক করেছেন বলেও কোনও খবর নেই। অথচ গত প্রায় সাতদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লীতে অবস্থান করছেন। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে রাজ্যের জনমনে ব্যাপক ঔৎসুক্য তৈরি হয়েছে। বিষয়টা তাহলে কী?এমন তো হওয়ার কথা নয়!এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতির অন্দরেও নানা গুঞ্জন চলছে।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী তাহলে দিল্লী গেলেন কেন? তবে দিল্লীর কয়েকটি মহল থেকে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা দিল্লীতে চিকিৎসার জন্য গেছেন। হতেই পারে। মুখ্যমন্ত্রী চোখের চিকিৎসার জন্য দিল্লীতে যেতেই পারেন।এতে দোষের কিছু নেই।মুখ্যমন্ত্রীও রক্ত-মাংসের মানুষ।তিনিও অসুস্থ হতে পারেন।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এত গোপনীয়তা কেন? মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ হলে বা তার পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সেটা রাজ্যবাসীরও চিন্তার এবং উদ্বেগের বিষয়।কেননা, মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি নন।তিনি রাজ্যের চল্লিশ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি।রাজ্যবাসীর অভিভাবক এবং রাজ্যের মাথা।স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর ভালো, মন্দ, সুস্থতা এবং অসুস্থতার সাথে রাজ্যবাসীরও ভালো-মন্দের সম্পর্ক রয়েছে।এখানে গোপনীয়তা বা অন্য কিছুর প্রশ্ন নেই। বরং এই গোপনীয়তার কারণে বিষয়টি রহস্যময় হয়ে উঠেছে।রাজ্য জুড়ে নানা গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে।এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে রাজ্য রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি।বিশেষ করে শাসক দলের অন্দরে যে গোষ্ঠীবিবাদের জন্ম হয়েছে তাতে প্রায়ই নানা গুঞ্জন, গুজব বুদবুদের মতো ভেসে উঠে হাওয়া গরম করছে।গত প্রায় এক বছর ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে এমন একটি অস্থির পরিস্থিতি চলছে।সেই অস্থিরতাকে আরও গতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইঙ্গিতপূর্ণ ভূমিকা।যেমন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে উত্তর পূর্বের রাজ্য মিজোরামেও ভোট হয়েছে। অথচ পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরামে ভোট প্রচারে ত্রিপুরার শাসক দলের কোনও শীর্ষ নেতৃত্বেরই ডাক পড়েনি।দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ত্রিপুরার নেতৃত্বকে একপ্রকার ব্রাত্যই রেখেছে বলা যায়। বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। তবে কি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও কারণে রাজ্য নেতৃত্বের উপর অখুশি?সেই প্রশ্নের জবাব হয়ত এখনই পাওয়া যাবে না।কিন্তু গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন মহলে যে গুঞ্জন চলছে তা কিন্তু অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।সেই গুঞ্জন আরও তেজি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর রহস্যজনক নীরবতার কারণে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.