গুণগত শিক্ষা প্রদানে সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেঃ রতন

 গুণগত শিক্ষা প্রদানে সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেঃ রতন
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে । শিক্ষাক্ষেত্রে অনেককিছু সংস্কার এবং নতুন নতুন সিদ্ধান্ত ও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে । এই সব কিছুই করা হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়া এবং ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে । ইতিমধ্যে এর সুফল আসতে শুরু করেছে । শুক্রবার মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারের গুণগত শিক্ষার উন্নতির জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলি তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ । মন্ত্রীর দাবি , এই গৃহীত পদক্ষেপগুলি আগামীদিনে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যকে আরও অনেক উপরে নিয়ে যাবে ।

IMG-20220902-WA0013

সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন , গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের মধ্যে অন্যতম সুপার -৩০ প্রকল্পে রাজস্থানের কোটায় একটি বেসরকারী কোচিং সেন্টারে মেডিকেল এবং ইঞ্জিনীয়ারিংয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পাঠরত রাজ্যের ৩০ জন ছাত্রছাত্রীর সাথে শিক্ষামন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথাবার্তা বলেন । তিনি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা , থাকা খাওয়া ও পঠনপাঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন । সেই সময় ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণও উপস্থিত ছিলেন । তাছাড়া এই বছরে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীরাও ভিডিও কনফারেন্সের সময় উপস্থিত ছিলেন । উল্লেখ্য , এই প্রকল্পে গত তিন বছরে ৯০ জন ছাত্রছাত্রী বহি : রাজ্যে গেছে ।

শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ সাংবাদিকদের জানান , এই সরকার গঠিত হওয়ার পর গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এনসিআরটি সিলেবাস চালু করেছে , ৩,১২৬ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে । আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে ২০৫ টি বিদ্যালয়ে বৃত্তিমূলক পাঠক্রম চালু করা হয়েছে । এছাড়াও তিনি জানান , ২০২০-২১ সাল থেকে সুপার -৩০ প্রকল্পে গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের মেডিকেল এবং ইঞ্জিনীয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য বিশেষ কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে । রাজ্য সরকার বহির্রাজ্যের নামি কোচিং সেন্টারে ৩০ জন ছাত্রছাত্রীর ভর্তি এবং থাকা খাওয়ার খরচ বহন করছে । এরজন্য প্রতি ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হচ্ছে ১.৫০ কোটি টাকা । সুপার -৩০ সিলেকশন টেস্টের মাধ্যমে দু:স্থ পরিবারের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এই প্রকল্পে সুযোগ পাচ্ছে ।

শিক্ষামন্ত্রী জানান , রাজ্যে নতুন দিশা প্রকল্প চালু হয়েছে । এরফলে ৮৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বর্তমানে শ্রেণী উপযুক্ত হয়েছে । যা আগে ছিল ৪৩ শতাংশ । বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে মেধাবৃত্তি চালু করা হয়েছে । ১০০ টি স্কুলকে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে । এই প্রকল্পে পরিকাঠামোগত উন্নতিতে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে । দিব্যাঙ্গজন ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৪০০ টি স্কুলে সক্ষম ত্রিপুরা প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি চারটি মাদ্রাসাকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়েছে । ৮১২ টি বিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্লাস চালু রয়েছে এবং ৩০৫ টি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লাইব্রেরি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন । উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক পদক্ষেপ গৃহী এবং কার্যকর হয়েছে । এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ট্রিপল আইটি চাল / I না সায়েন্স ইউনিভার্সিটি চালু এবং ‘ লক্ষ্য ’ স্কিম চালু ইত্যাদি । ১১ টি কলেজে বৃত্তিমূল কোর্স চালু করা হচ্ছে , কলেজে প্লেসমেন্ট সেল চালু করা হয়েছে । এ বছর থেকেই জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ জানিয়েছেন ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.