অনলাইন প্রতিনিধি :-আগে সভা বা সম্মেলনের সূচনা লগ্নেই দাবিসনদ প্রস্তুত করে সেটা দপ্তরের মন্ত্রীদের কাছে পেশ করা হতো। সম্মেলনের আসল উদ্দেশ্যই থাকতো দাবি দাওয়া পূরণ।বর্তমান রাজ্য সরকার এই ধারায় অনেকটাই বদল আনতে পেরেছে। দাবিদাওয়া পেশ করার আগেই তা পূরণ করে দেয় জোট সরকার। রবিবার সুকান্ত একাডেমি অডিটোরিয়ামে অ্যাসোসিয়েশন অব সার্ভিস ইঞ্জিনীয়ার্স অব ত্রিপুরার ৫ম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন এবং রক্তদান শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এমনটাই বলেন । মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পথ নির্দেশে এই সরকার সবার উন্নয়নে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্স ইস্ট পলিসির মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি খুব দ্রুত বিকাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনীয়ারদের ভূমিকা অগ্রণীয়। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের সবক্ষেত্রেই ইঞ্জিনীয়ারিংয়ের
ছোঁয়া রয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ইঞ্জিনীয়ারদের ছাড়া দেশ কখনো এগোবে না রাজ্যও এগোতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ইঞ্জিনীয়ারিংকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৌশলীরা আছেন বলেই রাজ্য সরকার এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা স্বপ্ন বাস্তবায়নে কথা ভাবে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার এর ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন না হলে কোনও রাজ্য বা দেশের উন্নয়ন হয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেই দিশায় কাজ করে যাচ্ছেন। রাজ্য সরকারও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে কাজ করছে। গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সচেতন কেন্দ্রীয় সরকার।কৃষকদের আর্থিক মানোন্নয়ন সহ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের ইঞ্জিনীয়ারদের একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। ইঞ্জিনীয়ারদের বিশ্বকর্মাও বলা হয়।এ দিন কর্মসূচির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সময়ের সাথে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রেও অনেক নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে। আগে শুধু সিভিল ইঞ্জিনীয়ার, মেকানিকেল ইঞ্জিনীয়ার, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারদের কথা জানতো মানুষ। আর এখন আইটি ইঞ্জিনীয়ার, কম্পিউটার ইঞ্জিনীয়ার সহ অজস্র ক্ষেত্র রয়েছে ইঞ্জিনীয়ারিংয়ে মাইক্রোফোন থেকে শুরু করে বিল্ডিং তৈরি সর্বত্র প্রকৌশলী যুক্ত রয়েছে। মানুষের কল্যাণে, সমাজের কল্যাণে এবং দেশের কল্যাণে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন ইঞ্জিনীয়ার।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,দীর্ঘ সময় পর সরকার ইঞ্জিনীয়ারদের প্রমোশন দিয়েছে। আগামীতেও ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া জারি থাকবে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেট প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের খাতে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের জন্যও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ রাজ্যের প্রায় চার ভাগের তিনভাগই গ্রামীণ এলাকায় পড়ে।অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছা রক্তদানের প্রাসঙ্গিকতাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রক্তদান একটি মহৎ দান।এই দানের বিকল্প হয় না। তাই মুমুর্ষু জীবন রক্ষার জন্য আরও বেশি করে স্বেচ্ছা রক্তদান করার আহ্বান জানান তিনি।এ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, আয়োজক ইঞ্জিনীয়ার সংগঠনের সভাপতি মিহির কান্তি গোপ, সাধারণ সম্পাদক সনু রঞ্জন দেববর্মা সহ সংগঠনের অন্যান্য পদাধিকারীগণ। উপস্থিত ছিলেন গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার স্বপন কুমার দাস প্রমুখ।এ দিন অ্যাসোসিয়েশন অব সার্ভিস ইঞ্জিনীয়ার্স অব ত্রিপুরার পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী রক্তদাতাদের সাথে মত বিনিময় করেন ও তাদের উৎসাহিত করেন।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…