অনলাইন প্রতিনিধি :-শুধু আগরতলায় বসে প্রেস মিট করে অভিযোগ তুললেই হবে না।বাস্তব জানতে হলে যেতে হবে গ্রামেগঞ্জে।তথ্য নিয়ে কথা বলতে হবে।শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য আগরতলায় বসে গ্রামেগঞ্জে কাজ নেই, খাদ্য নেই বললে হবে না।বর্তমান বিরোধী দলগুলি এই কাজই করছে। আগরতলায় বসে প্রেস মিট করে আন্দাজের উপর ভর করে তথ্যহীন অভিযোগ তুলছেন,রাজ্যের জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য।শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধীদের উত্থাপিত অভিযোগের এইভাবেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের কৃষি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ। শুধু তাই নয়,সাংবাদিকের প্রশ্নে অভাবের তাড়নায় মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন বংশীপাড়ায় দেড় দিনের কন্যা শিশু বিক্রির ঘটনারও এদিন জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী। মন্ত্রী এদিন তথ্য উল্লেখ করে বলেন, গত চার বছর ধরে সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও ২৪ লক্ষ ৭৬ হাজার মানুষ প্রতিমাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে বিনামূল্যে রেশন থেকে চাল পাচ্ছে। এমজিএন রেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বর্তমানে সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য।প্রথম স্থানে রয়েছে মিজোরাম।সাফল্যের নিরিখে মিজোরামে ৫৩.৪৪ শতাংশ এবং ত্রিপুরা ৫১.৩৭ শতাংশ।এখানে তথ্য গোপনের কোনও প্রশ্ন নেই। যে কেউই ইচ্ছা করলে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট’ (এমআইএস) ওয়েব পোর্টালে গিয়ে এই তথ্য দেখতে পারে। সেখানে সমতথ্য রয়েছে।মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে মোট জব কার্ডের সংখ্যা হচ্ছে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৪৪টি।এর মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কাজের দাবি করে কাজ পেয়েছে ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৯১ জন। ইতিমধ্যে কাজ হয়েছে ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৩১২ শ্রম দিবস।বর্তমান অর্থ বছরের আরও কয়েক মাস রয়েছে।ফলে আরও ৮০ লক্ষ শ্রম দিবস কাজ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। জানুয়ারীর মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারলে আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে নতুন করে শ্রম দিবস সৃষ্টি করা হবে। ফলে গ্রামে কাজ নেই, খাদ্য নেই এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য।জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপপ্রচার করা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান,বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রেগায় অর্থ পেয়েছিল ৪৪৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বছরেই ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রেগায় অর্থ এসেছে ৮৭৯ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এসেছে ৮১৪ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। ২০২০-২১ অর্থ বছরে এসেছে ১২৪৩ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এসেছে ১০৫১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। ২০২২- ২৩ অর্থ বছরে এসেছে ৯৯৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। বাম আমলের সর্বশেষ রাজ্যের পাহাড় ও সমতলে গড়ে কাজ হয়েছিল (২০১৭-১৮) ৪৬ দিন। ২০১৮- ১৯ অর্থ বছরে কাজ হয়েছিল ৫১ দিন।২০১১-২০ অর্থ বছরে রাজ্যে গড়ে কাজ হয়েছে ৬১ দিন।২০২০-২১ অর্থ বছরে কাজ হয়েছে ৭৫ দিন। ২০২১-২২ অর্থ + বছরে কাজ হয়েছে ৭২ দিন।২০২২-২৩ অর্থ বছরে কাজ হয়েছে ৬০ দিন এবং ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের আজকের দিন পর্যন্ত গড়ে কাজ হয়েছে ৫১ দিন। এই অর্থ বছরে আরও চার মাস বাকি আছে।ধারণা করা হচ্ছে এই অর্থবছরে ৭৫- ৮০ দিন কাজ হবে।মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে শুধু জনজাতি এলাকায় এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ধলাই জেলায় ৭১.৪১ শতাংশ। গোমতী ৫৯.৮৯ শতাংশ, খোয়াই ৫৭.০৮ শতাংশ, উত্তর জেলায় ৫৯.৭৫ শতাংশ, সিপাহিজলায় ৫২.৫৪ শতাংশ, দক্ষিণ জেলায় ৪৮.০৪ শতাংশ, ঊনকোটি জেলায় ৬৪.০৪ শতাংশ এবং পশ্চিম জেলায় ৪৩.৮৭ শতাংশ।২০১৮ থেকে চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত ২২ হাজার ৫৩৩ টি সম্পত্তি তৈরি হয়েছে। পাঁচ বছরে শুধু রেগায় মানুষের কাছে গেছে ৩৯৮১ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। ফলে গ্রামেগঞ্জে মানুষের হাতে কাজ নেই, খাদ্য নেই বললেই হবে না। অভিযোগের সত্যতা থাকতে হবে। এছাড়াও নানাভাবে মানুষের হাতে অর্থ যাচ্ছে।বর্তমানে রেগার মজুরি ২১২ টাকা।গত পাঁচ বছরে চার বার রেগার মজুরি করা হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, আগরতলায় বসে বিরোধীরা সত্যের অপলাপ করছে। অসত্য বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।বর্তমান সরকার ঘরে ঘরে রোজগার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে।এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়,বর্তমান সরকারের এত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে, তারপরেও সন্তান বিক্রির মতো ঘটনা ঘটছে কেন?জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনও রহস্য বা কারণ রয়েছে।অভাবের কারণে হয়েছে,এটা একেবারেই সঠিক নয়। তারপরও প্রশাসন পুরো বিষয় তদন্ত করছে।প্রকৃত ঘটনা কী?সেটা সহসাই জানা যাবে বলে দাবি করেন মন্ত্রী শ্রী নাথ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…