দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি, সাব্রুম।। সমতল থেকে পাহাড়, সর্বত্র কৌশলে প্রচার করা হচ্ছে আগামী ২৩ এর নির্বাচনে বামফ্রন্টের সাথে তিপ্রা মথা এবং কংগ্রেসের জোট হবে। সেটা ভিতরেই হোক আর বাইরে,মোদ্দাকথা জোট হচ্ছেই। সিপিএমের নিচু তলার কর্মী সমর্থকরা বেশ জোরের সাথে তা প্রচার করে চলছে । শহর থেকে গ্রামের চা দোকানে, সর্বত্রই কান পাতলে এমন আলোচনা কানে আসছে। ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের তিন রাজনৈতিক দল এক ছাতার নিচে আসতে চলছে। সমতল থেকে পাহাড়, বাম ক্যাডাররা তাদের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে, এমন কি দলের আই টি সেলের মাধ্যমেও এই ধরণের জোটের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
একইসাথে মুখে মুখেও প্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ করে বামেরা আগে থেকেই এই ধরনের প্রচার করছে কেন? এই নিয়ে জনমনেও বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক পার্টির বিভিন্ন সভা গুলিতে একেবারে স্পষ্ট ভাবে নিদান দিচ্ছেন যে, ১৮ তে বিজেপি ক্ষমতায় এসে যতটা সন্ত্রাস করেছে, ২৩ শে তার চাইতে আরও বেশি হবে। তাই কমরেডরা ঠিক করুন ঘরে বসে থাকবেন, নাকি বাইরে বেরিয়ে এই সরকারের লাগামহীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আন্দোলন করবেন? জিতেন বাবুর এই রাজনৈতিক ফর্মুলা কিন্তু বেশ ভালো ভাবে প্রচারে নেওয়া হচ্ছে।
তাই গত সাড়ে চার বছর ধরে যারা ঘরে বসেছিল, তারা কিন্তু জিতেন বাবুর টনিকে উজ্জীবিত হয়ে এখন খোলস ছেড়ে ময়দানে নেমে পরেছে । সাব্রুম থেকে ধর্মনগর, প্রতিদিনই বিরোধী সি সি এম দল সভা মিছিল করে চলছে। তাছাড়া আভ্যন্তরীন প্রচারে জোটের তত্ত্ব উসকে দিয়ে ক্যডারদের চাঙ্গা করে তোলার কৌশল নিয়েছে সিপিএম।এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে, সাব্রুম বিভাগের তিপ্রামথা দলের এক শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, আগামী ২৩ এর নির্বাচনে তিপ্ৰা মথা একাই লড়াই করবে। তার সূচনা দ্বিতীয় পর্যায়ে ভিলেজ ভোট দিয়ে শুরু হতে চলছে বলে দাবি করেন।
সিপিএমের সাথে জোটের প্রচার সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা সিপিএম দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদের বাড়তি অক্সিজেন দিতেই এই ধরণের প্রচারের কৌশল নিয়েছে। যাতে ঘরে বসে যাওয়া ক্যাডার বাহিনীকে আবার মাঠে নামানো যায়। অপরদিকে, বিজেপির দক্ষিণ জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর রায়কে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দল কার সাথে জোট করবে সেটা তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয় । কিন্তু সি সিআই (এম) দল এখন ঘোলা জলে মাছ ধরতে এই সব অসত্য প্রচার করে দীর্ঘ পঁচিশ বছরের হার্মাদ বাহিনীকে মাঠে নামাতে অক্সিজেনের যোগান দিচ্ছে ।
শ্রী রায় বলেন, কোন রকম রাজনৈতিক গুন্ডামী ও সন্ত্রাস সাব্রুম মহকুমাতে হতে দেবেন না । ১৮ এর নির্বাচনের পরে যে ভাবে এই মহকুমায় শান্তির পরিবেশ ছিলো তা ২৩ শেও বজায় থাকবে বলে দাবি করেন। আসলে জিতেন বাবুরা বুঝে গেছে,এই রাজ্যে সিপিএম আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। তাই জোটের কথা বলে বসে যাওয়া হার্মাদের মাঠে নামাতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস – সি পি এম জোট তো হয়েছিল। ফলাফল কি হয়েছে সবাই দেখেছে। কংগ্রেস- সিপিএম উভয়ই পশ্চিমবঙ্গে শূন্য থালা নিয়ে ঘুরছে। ত্রিপুরাতেও তা দেখার জন্য অপেক্ষায় আছে রাজ্যবাসী, এমনই মন্তব্য করেন দক্ষিণ জেলার বিজেপির সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর রায়।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…