বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড দাবিই নেই!! ২০১৮ এর চাইতে বেশি আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপিঃ অমিত শাহ।

গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড দাবই নেই!!
——————————————– ২০১৮ এর চাইতে বেশি আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপিঃ অমিত শাহ।
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে একমাসের মধ্যে দুবার প্রচারে এসেছেন বিজেপির সেকেণ্ড- ইন-কমাণ্ড গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ। ১৬ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের আগে আরও দুবার ত্রিপুরা আসবেন। ৬ ফেব্রুয়ারী রাজ্যে এসে যাবতীয় ব্যস্ততার মাঝেও একান্ত সাক্ষাৎকারে সময় দিলেন দৈনিক সংবাদকে। রাজ্য রাজনীতির বর্তমান হাল হকিকৎ, দলের অভ্যন্তরীণ স্থিতি, সাংগঠনিক অবস্থা থেকে শুরু করে গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড, বাম-কংগ্রেস জোট, ভিশন ডকুমেন্ট, সিএএ-এনআরসি, মাদক পাচার, রাজ্যের উন্নয়ন, বিরোধীদের অভিযোগ-যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন খোলাখুলি। অমিত শাহের মুখোমুখি সঞ্জয় পাল, দীপন্ত মজুমদার।

প্রশ্নঃ – ২০১৮ বিজেপির পক্ষে হাওয়া ছিলো। বিপ্লব কুমার দেব নামক রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন যুব মুখের উপর আস্থা রেখেছিল রাজ্যবাসী। পাঁচ বছরে সেই হাওয়া এখন অনেকটাই স্থিমিত। ১৮ থেকে ২৩, ফারাক কতটা ?
অমিত :- ফারাক খুব একটা নেই। ২০১৮তে হাওয়া ছিলো পরিবর্তনের। ত্রিপুরার মানুষ কমিউনিস্ট শাসনের শোষণ, বঞ্চনা থেকে মুক্তি চাইছিলেন। কংগ্রেস তখনও কমিউনিস্টের হয়ে কাজ করে গেছে। মানুষ বিকল্প পাচ্ছিল না। ২০১৮তে বিজেপি বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর নেতৃত্বে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছে বিপ্লব কুমার দেব সহ অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্ব । মানুষ বিশ্বাস করেছে। ভাজপাকে আশীর্বাদ করেছে। ২০২৩ সালে নির্বাচনেও হাওয়া আছে। সেই হাওয়া হচ্ছে উন্নয়নের। ডবল ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরাবাসীকে সেই সুযোগ দিয়েছে। ২০২৩ এর নির্বাচন হবে ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তর পূর্বের ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য। কেননা, ত্রিপুরার উন্নয়ন হলে উত্তর পূর্বের উন্নয়নও হবে। পূব ফলে তেমন কোনও ফারাক নেই।

প্রশ্ন :- ২০১৮ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদি রাজ্যকে ‘হিরা মডেল’ উপহার দেবে বলেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ হয়েছে?
অমিত :- রেজাল্ট ত্রিপুরাবাসীর সামনেই আছে। ত্রিপুরা আজ উত্তর পূর্বের অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি। এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরায় আধুনিক বিমানবন্দর,একাধিক বিমান পরিষেবা,রেল পরিষেবার নজিরবিহীন উন্নতি হয়েছে। ডবল রেল লাইন করার পরিকল্পনা চলছে। সাথে বাংলাদেশের সাথে রেল যোগাযোগ গড়ে উঠছে। সড়ক ও সড়ক পরিবহণেও অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে। রাজ্যে একসাথে একাধিক জাতীয় সড়কের কাজ চলছে। মৈত্রী সেতু তৈরি হয়ে গেছে। শীঘ্রই চালু হবে। তথ্য প্রযুক্তিতে ত্রিপুরা এখন দেশের তিন নম্বর ইন্টারনেট গেটওয়ে। ফলে হিরা মডেল পূরণ হচ্ছে কি হচ্ছে না?

প্রশ্ন :- গত পাঁচ বছরে এমন অনেক প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়নের সময়সীমা পার হয়ে গেছে – অথচ এখনও কাজ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে, কেন? অমিত ঃ- এই জন্যই তো রাজ্যবাসীর কাছে আরও পাঁচ বছর ডবল ইঞ্জিন সরকার চাইছি। পাঁচ বছরে সব কাজ একসাথে করাও যায় না,শেষও করা যায় না।
প্রশ্ন :- বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, ২০১৮ সালে ২৯৯টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর একটিও প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। এই বিষয়ে কি বলবেন?
অমিত :- বিরোধীদের কাজই হলো সমালোচনা করা। এটা তারা করবেই। কারণ, এছাড়া তাদের কাছে আর কোনও বলার মতো ইস্যু নেই। তাই বিরোধীরা কি বললো এতে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই।

রাজ্যের আপামর জনগণ কি বলছে, কি ভাবছে সেটাই হলো আসল কথা। ত্রিপুরার প্রতিটি মানুষ জানে গত পাঁচ বছরে সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করেছে কিনা। রাজ্যের জনগণ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যাবতীয় সুযোগ সুবিধাগুলি পেয়েছে কিনা।গত পাঁচ বছরে সরকার যা যা কাজ করেছে, তার তথ্য তুলে ধরতে হলে ইতিহাস রচনা করতে হবে। ভাজপার মূল মন্ত্রই হলো ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ রাজনৈতিক রং বিচার করে প্রতিটি গরিবের কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই ভাজপার মূল উদ্দেশ্য। আবাস যোজনার ঘর, বিনামূল্যে পানীয় জল, বিনামূল্যে রেশন,শৌচালয়, কিষান সম্মাননিধি, আয়ুষ্মান কার্ড, সামাজিক ভাতা, ফসল ক্রয় আরও অনেক কিছু রয়েছে। জনগণই বিচার করবে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজ হয়েছে, নাকি হয়নি।

প্রশ্ন :- স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে যে সমীকরণ ছিলো, এবার সেই সমীকরণ পুরোটাই পাল্টে গেছে। কংগ্রেস-কমিউনিস্ট দুই চিরশত্রু এইবার একসাথে হয়েছে বিজেপিকে হঠাতে। কি বলবেন? অমিত :- এতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে,ত্রিপুরাতে গত পাঁচ বছরে ভাজপার শক্তি অনেকটাই বেড়ে গেছে। কংগ্রেস-সিপিএম একা ভাজপার সাথে লড়াই করার মতো শক্তি এদের কারোর কাছেই নেই। এই বাস্তবতা তারা নিজেরাই উপলব্ধি করতে পারছে। তাই তো নীতি-আদর্শ ভুলে শুধু ক্ষমতা দখলের জন্য কংগ্রেস -কমিউনিস্ট একজোট হয়েছে।এতে ভাজপার কোনও মাথাব্যাথা নেই।বরং বলবো,এরা নিজেরাই নিজেদের কবর খুঁড়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাই না। প্রশ্ন: ২০১৮ থেকে ২০২৩ এবার লড়াই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং, মানবেন ?

অমিত :- প্রতিটি নির্বাচন সেই বড়ই হোক, ছোটই হোক- প্রত্যেকটি নির্বাচনকে ভাজপা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। ফলে সব নির্বাচনই ভাজপার কাছে চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে আলাদা কিছু নেই। ২০১৮ সালে একরকম স্থিতি ছিলো, ২০২৩ আরেকরকম স্থিতি। পরিস্থিতি মোতাবেক রণকৌশল তৈরি করে আমরা ময়দানে নামি লড়াইয়ের জন্য।
প্রশ্ন ঃ- ২০১৮তে ছিলো তিপ্রাল্যাণ্ড, ২০২৩ এলো গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড। ২০১৮তে ম্যানেজ করা গেলেও এবার ম্যানেজ করা গেলো না কেন?
অমিত ঃ- কোথায় গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের দাবি? মুখে অনেকেই অনেক কথা বলে। তবে একটা বিষয় শুরুতেই স্পষ্ট করে দিতে চাই – ত্রিপুরা ভাগের পক্ষে নয় ভাজপা।

তিপ্ৰামথাও যে ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছে। তার মধ্যেও তো ত্রিপুরাকে ভাগ করে পৃথক রাজ্যের কথা উল্লেখ নেই। তিপ্রা মথা মুখে মুখে গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড নামে পৃথক রাজ্যের দাবি করছে এবং লিখিত প্রতিশ্রুতি চাইছে। সবার আগে তো স্পষ্ট হতে হবে গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড আসলে কি?
প্রশ্ন :- ২০২৩ নির্বাচনে তিপ্ৰা মথা কোনও বড় ফ্যাক্টর হবে? অমিত :- দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে গত ৭০ বছর ধরে দেশের এবং উত্তর পূর্বের জনজাতি ভাই-বোনদের সার্বিক উন্নয়নে কেউ ফিরেও তাকায়নি। মোদিজীর নেতৃত্বে জনজাতিদের বিকাশের কাজ শুরু হয়েছে। মোদিজীর নেতৃত্বে গত নয় বছরে সবথেকে বেশি উন্নয়ন হয়েছে জনজাতিদের ৷ জনজাতিদের সম্মান-মর্যাদা দেওয়া, তাদের অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ধারাবাহিক কাজ চলছে।এটা আজ অস্বীকার করার উপায় নেই।

২০১৪ সালের আগে উত্তর পূর্বের পরিস্থিতি কি ছিলো? নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই।প্রধানমন্ত্রী মোদি উত্তর পূর্ব এবং উত্তর পূর্বে বসবাসকারী জনজাতিদের উন্নয়নের সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে জনজাতিদের মধ্যেও সেই বিশ্বাস ও আস্থা ফিরে এসেছে। তারাও জানে উন্নয়ন যদি কেউ করতে পারে সেটা ভাজপা সরকার। ফলে তিপ্ৰা মথা কোনও ফ্যাক্টর হবে বলে মনে করি না।
প্রশ্ন ঃ – ভোট পূর্বে তো তিপ্রা মথার সাথে জোট হলো না ৷ ভোটের পর ফলাফল প্রকাশের পর জোট হবে?
অমিত :- আশা করি এমন পরিস্থিতিই তৈরি হবে না।
প্রশ্ন :- এবার নির্বাচনে দলের ফলাফল কতটা স্বাস্থ্যকর হবে বলে মনে করেন? ভাজপা কি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরবে?

অমিত ঃ- এই নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। ২০১৮ থেকে আরও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে ভাজপা। প্রশ্ন ঃ- কত আসন পেতে পারে বিজেপি-আইপিএফটি জোট?
অমিত :- আমি জ্যোতিষি নই। তবে এইটুকু বলতে পারি ২০১৮ থেকে বেশি আসন নিয়ে বিজেপি একাই ক্ষমতায় আসবে।
প্রশ্ন :- এতটা আত্মবিশ্বাস কি করে?
অমিত :- ত্রিপুরার জনগণের উপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। কেননা, রাজ্যবাসী গত ২৫ বছর সিপিএমের রাজ, তার আগে পাঁচ বছর কংগ্রেসের জোট জমানা, তার আগে সিপিএমের আরও দশ বছর দেখেছে। সেই সাথে ভাজপার পাঁচ বছরও দেখেছে। মানুষ তুল্যমূল্য বিচার করে। গত পাঁচ বছরে রাজ্যের কতটা বিকাশ হয়েছে, রাজ্যের জনগণের কতটা আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে, সেটা মানুষের চোখে-মুখে দেখা যাচ্ছে।

তারই প্রতিফলন ঘটবে ইভিএমে। সবথেকে বড় কথা মহিলারা খুব খুশি। সরকারী চাকরিতে মহিলা সংরক্ষণ, বিধানসভায় ১২ জন মহিলা প্রার্থী রয়েছে।
প্রশ্ন ঃ – প্রধানমন্ত্রী আরও দুইবার রাজ্যে আসবেন । আপনিও আরও দুইবার রাজ্যে আসবেন। এছাড়াও প্রতিদিন তাবড়- তাবড় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন প্রচারে। কোথাও কি দু:শ্চিন্তা কাজ করছে?
অমিত :- শুরুতেই বলেছি ভাজপা প্রতিটি নির্বাচন গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রণকৌশল নিয়ে কাজ করে। এটাই দলের বৈশিষ্ট্য। সবাই একসাথে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপাই।প্রতিপক্ষ যেমনই হোক -ভাজপা লড়াই করে – ঐক্যবদ্যভাবে। দু:শ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।

প্রশ্ন :- বিরোধীরা বলছে গত পাঁচ বছরে বিজেপি শাসনে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কি বলবেন আপনি?
অমিত :- গণতন্ত্র আছে বলেই তো অভিযোগ তুলতে পারছে।গণতন্ত্রই যদি না থাকতো তাহলে এই অভিযোগ তোলা যেত কি? আসলে সাধারণ মানুষকে বলার মতো বিরোধীদের কাছে খাস কোনও ইস্যু নেই। মানুষের কাছে কি নিয়ে যাবে? মানুষকে কি বলবে? তাই গণতন্ত্র নেই বলে চিৎকার করছে। তবে এটা ঠিক, কংগ্রেস-কমিউনিস্ট নেতাদের অক্সিজেন কমে গেছে। তাদের নি:শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।এই জন্যই এইসব আবোল-তাবোল বলছে।

প্রশ্ন ঃ- এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই। ‘সিএএ’ চালু নিয়ে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোতে বসবাসকারী জনজাতিদের প্রবল আপত্তি রয়েছে। এই বিষয়ে কি বলবেন ? অমিত ঃ- ‘সিএএ’ একটি আইন। এটি যথাসময়ে চালু করা হবে। কিছু কিছু রাজ্য নিজেদের মতো করে করছে।তবে এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আর এনআরসি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রশ্ন :- ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোর্ট’ বিজেপির অন্যতম এজেণ্ডা। এই নিয়ে কি বলবেন?
অমিত ঃ- আমাদের এজেণ্ডা ছিলো রাম মন্দির। রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া আমাদের এজেণ্ডা ছিলো। আমরা সেটা করেছি। ‘ত্রিপল তালাক’ প্রত্যাহার আমাদের এজেণ্ডা ছিলো। আমরা করেছি। আমরা চাই দেশে ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোর্ট’ চালু করতে। সেটাও হবে।

প্রশ্ন ঃ- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়ন নিয়ে বর্তমান কেন্দ্ৰীয় সরকার আন্তরিক।এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এতে যে নিরাপত্তা বিস্মিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে ?
অমিত :- এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ব্যবসা সহ যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে অনেক সমস্যাই তৈরি হয়। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমঝোতা হবে না।
প্রশ্ন ঃ- ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্ব এখন ড্রাগস করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর থেকে ত্রিপুরাও বাদ নেই। এর জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে? শুধু তাই নয়, এর সাথে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও জড়িত।
অমিত :- ড্রাগসের বিরুদ্ধে কোনও আপোষ নয়। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একাধিক কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করেছে। ড্রাগসের বিরুদ্ধে সরকার কোনও আপোষ করবে না। যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

প্রশ্ন ঃ- রোহিঙ্গারাও অন্যতম সমস্যা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর স্লিপার সেল এবং ড্রাগস ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কি বলবেন ?
অমিত :- এই বিষয়টিও সরকারের নজরে রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই এই ব্যাপারে কাজ করছে বিভিন্ন এজেন্সিগুলি।
প্রশ্ন ঃ- নির্বাচনের এই ব্যস্ত সময়ে দৈনিক সংবাদকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । অমিত :- ধন্যবাদ ৷