গত ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাহাড় উত্তাল হয়েছে তিপ্রা ল্যান্ডের দাবি ও স্লোগানে। সেই সময় তিপ্রা ল্যান্ডের দাবিদারদের সাথে জোট করে ভোটে লড়াই করে প্রথমবার কমিউনিস্ট শাসিত রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই সময় তিপ্রাল্যাণ্ডের দাবিদারদের সাথে জোট করার মূল শর্ত কী ছিলো তা আজও রাজ্যবাসীর কাছে অস্পষ্ট। তবে এইটুকু স্পষ্ট হয়েছে যে, পৃথক তিপ্রাল্যাণ্ড অর্থাৎ পৃথক রাজ্যের দাবি মেনে বা মানবে এমন শর্ত দিয়ে কেন্দ্রের ও রাজ্যের বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব আইপিএফটির সাথে জোট করেনি। তারপরের ইতিহাস সকলেরই জানা ।
আইপিএফটি মুছে গেছে পাহাড় থেকে। রাজ্য রাজনীতির এই পটপরিবর্তনে মুছে যাওয়া আইপিএফটির স্থান দখল করেছে মূলত এনজিও থেকে গড়ে ওঠা নয়া রাজনৈতিক দল তিপ্রা মথা। দলের মূল কথা ত্রিপুরার রাজাদের উত্তরসূরি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। গত তিন-চার বছর আগেও পাহাড়ে এন সি দেববর্মা, মেবার কুমার জমাতিয়া, মঙ্গল দেববর্মাদের কথাই ছিলো শেষকথা। তারা যেভাবে বলতো, সেভাবে চাইতো গোটা পাহাড় সেইদিকেই উদ্বেলিত হতো। সেই ইতিহাস এখন অতীত। পাহাড় এখন প্রদ্যোত কিশোরের ইশারাতে উঠছে-বসছে।
তিপ্রাল্যাণ্ড শব্দের আগে ‘গ্রেটার’নামক একটি শব্দ বসিয়ে দিয়ে গোটা পাহাড়কেই একপ্রকার হাতের মুঠোয় বন্দি করে নিয়েছে প্রদ্যোত। পাহাড়ের জনজাতিদের মধ্যে ফের একবার উগ্র জাত্যভিমান এবং জাতিগত বিভাজনের আবেগ উসকে দিয়ে জনজাতি ভাবাবেগকে একপ্রকার কবজা করে নিয়েছে প্রদ্যোত। এই পর্যন্ত সবটাই ঠিক আছে। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির হাঁড়ির খবর যারা রাখেন, তাদের মতে প্রদ্যোত কিশোর জনজাতিদের অধিকার আদায়ের কথা বলে, সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছেন। গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের দাবি নিয়ে গত ১২ নভেম্বর রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে বিশাল সমাবেশ করেছেন।
সেই সমাবেশে ভাষণ রাখতে গিয়ে নানা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছেন। শুধু তিনি নিজেই নন, তাঁর দলের অন্য নেতা-নেত্রীরা আরও কয়েক পা এগিয়ে সরাসরি জাতি বিদ্বেষী কথা বলেছেন। সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো, গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড – গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড বলে গত প্রায় দেড়-দুই বছর ধরে চিৎকার করে জনজাতি ভাবাবেগ উসকে দিলেও, গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড কী? তা কিন্তু আজ পর্যন্ত স্পষ্ট করেননি প্রদ্যোত কিশোর। এটা কি পৃথক রাজ্যের দাবি? যদি তাই হয়, তাহলে এই গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের সীমানা কতদূর বিস্তৃত? গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের ম্যাপ কোথায়? গত ১২ নভেম্বরের জনসভাতেও এ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেল।
আস্তাবলে প্রদ্যোতের বক্তব্য, তিনি নিজের জন্য নয়। রাজ্যের জনজাতিদের জন্য তিনি লড়াই করছেন। তিনি ইচ্ছে করলে অনেক কিছুই করতে পারতেন। আরাম-আয়েশে থাকতে পারতেন। তিনি কিছুই চাননি। তার আরও বক্তব্য, এই রাজ্যে তার পূর্বপুরুষেরা একহাজার বছর শাসন করেছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে পঁচাত্তর বছর হয়েছে। এই পঁচাত্তর বছরে কিছুই পায়নি জনজাতিরা । এই প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যের বর্তমান জনজাতি সাংসদকেও কাটাক্ষ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাঁর পূর্বপুরুষেরা জনজাতিদের জন্য কী করেছেন ? তারও কোনও জবাব বা তথ্য তুলে ধরেননি আজও। পিতা কিরীট বিক্রম দীর্ঘ সময় কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। মাতা বিভুকুমারী দেবী দীর্ঘ সময় রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন। তুলনা যদি টানতেই হয়, তাহলে তো তাদের কথাও বলতে হবে। প্রদ্যোত কিশোর এই বিষয়ে নীরব কেন? গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড হলেই কি সব সমস্যার হয়ে যাবে? উত্তর একটাই না’।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…