গয়নার ল্যাবে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম রুবি!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম নির্ভর করে।এই রত্নের মূল্য নির্ধারক হচ্ছে ক্যাট ও ক্যারেট।জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাসীরা মনে করেন, চুনি সঠিক ভাবে ধারণ করতে পারলে মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।চুনি ধারণ করলে নাকি শরীরে পজিটিভ এনার্জি কাজ করে।আমরা যে কথায় হিরে-মানিক শব্দ ব্যবহার করি, সেই মানিকই হলো চুনি।বাজারের অন্যতম মূল্যবান রত্ন এটি।
এবার সেই চুনি গয়নার ল্যাবে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করে ফেলেছেন ইউনির্ভাসিটি অফ ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের সিনিয়র লেকচারার (অধ্যাপকের অধস্তন পদ) পদে কর্মরত বছর বত্রিশের সোফি বুনস।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে প্রকাশ,এটিই বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম রুবি। সোফি বুনস সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুয়েলারি ডিজাইন’বিভাগের সিনিয়র লেকচারার।তিনি
সেখানকার গয়নার ল্যাবে একটি পূর্ণ আকারের রুবি তৈরি করেছেন।বিবিসি সূত্রে খবর, এই প্রথম কোনও প্লাটিনাম গহনার ভিতর বসিয়ে রুবি তৈরি করা হয়েছে, যা এর আগে কখনও সম্ভব হয়নি।সোফি বুনস একটি ছোট রুবির টুকরো নিয়ে সেটিকে প্লাটিনামের গহনার মধ্যে বসিয়ে ‘ফ্লাক্স’ নামক একটি রাসায়নিক ব্যবহার করেন, যা তাপমাত্রা কমিয়ে রুবিটিকে বড় হতে সাহায্য করেছে।এই পদ্ধতিতে রুবি ল্যাবে খুব কম শক্তি খরচ করে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের এই ‘ইন সিচু প্রসেস’ বিশ্বে প্রথম, যা আগে কোনও গবেষক সফলভাবে করতে পারেননি।শ্রীমতী বুনস জানান, রুবি তৈরির এই প্রক্রিয়াটি একটি ছোট ‘রুবি বীজ’ থেকে শুরু করেছিলেন তিনি, যেটি ফেলে দেওয়া ওই রত্নের অংশ থেকে নেওয়া হয়েছিল।
এই পদ্ধতিতে রুবির ক্ষুদ্র টুকরোগুলিকে নতুন করে তৈরি করে বড় করেন তিনি, যা এতদিন সাধারণত অপচয় হিসেবেই ফেলে দেওয়া হতো। ব্রিটেনের রত্ন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আবিষ্কার রত্নের ধারণাকে নতুন ভাবে ভাবতে বাধ্য করবে। কারণ এতে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় রত্নের বৃদ্ধি নকল করা হয়েছে, যা পরিবেশবান্ধব ও কম শক্তি ব্যবহার করে করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে ব্রিস্টলের ‘কনটেমপোরারি’ গহনা ডিজাইনার রেবেকা এন্ডারবি বলেন, ল্যাবে তৈরি রত্ন মানে এটি কৃত্রিম নয়।এটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ারই একটি বিকল্প, যা কম খরচে এবং কম সময়ে তৈরি করা সম্ভব। সঙ্গের ছবিটি প্রকাশ করেছে ইউনির্ভাসিটি অফ দ্য ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড।