ঘূর্ণিঝড়, রাজ্যেও প্রভাব পড়তে চলেছে, সতর্কতা!

 ঘূর্ণিঝড়, রাজ্যেও প্রভাব পড়তে চলেছে, সতর্কতা!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়।যদিও তা এখনও ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়নি।এখনও তা নিম্নচাপের পর্যায়েই রয়েছে।এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই নিম্নচাপের অবস্থান শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রয়েছে বাংলাদেশের কেদুপাড়া থেকে ৭০০- কিমি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে, পশ্চিমবঙ্গের সাগর উপকূল থেকে ৬৬০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্যানিং থেকে ৭১০ কিমি দক্ষিণে।
আবহাওয়া দপ্তরের মতে, নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তরপূর্বে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে আগামীকাল,শনিবার সকাল নাগাদ।এরপর ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে উত্তর দিকে এগোবে এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে শনিবার রাত নাগাদ।এরপর প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে সাগর এবং কেদুপাড়ার মধ্যবর্তী অক্ষল দিয়ে।২৬ মে মধ্যরাতে তীব্র সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আকারে যা আছড়ে পড়বে। সে সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১১০-১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। তা বাড়তে পারে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়ে উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়া একই সাথে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকেও সতর্কতা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দপ্তরের তরফে। এদিকে, আগরতলা আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ২৬ মে রাজ্যের দক্ষিণ, গোমতী, ধলাই, সিপাহিজলা, পশ্চিম জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সাথে ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।একইভাবে ২৭ মেও ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা রয়েছে।রাজ্যের সব জেলার জন্যই এই সতর্কতা রয়েছে। ভাবি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি এসময় প্রশাসন এবং জনসাধারণকে সতর্কতা বজায় রাখার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া দপ্তর এ দিন জানিয়েছে, শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াল বেশি।সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ দিন ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিসায়। দুয়েকপশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.