চট্টগ্রাম, মংলা ট্রানজিট রুটে পণ্য পরিবহণে বিশেষ বৈঠক।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- সমুদ্র পথে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরা হয়ে উত্তর পূর্বে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু করার লক্ষ্যে বুধবার আগরতলার একটি হোটেলে এক উচ্চপর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া এবং এসোসেম যৌথভাবে এই বৈঠক ও সেমিনারের আয়োজন করে।সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব স্মিতা পঞ্চ, আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মহম্মদ, আগরতলা আইসিপির ম্যানেজার দেবাশিস নন্দী সহ শীর্ষ আধিকারিকেরা। এছাড়াও সেমিনারে অংশ নিয়েছেন দিল্লী, কলকাতা, গুয়াহাটি এবং আগরতলার একাধিক লজিস্টিক কোম্পানির প্রতিনিধিরা।সমুদ্রপথে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে৷ট্রানজিট চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তি মোতাবেক দ্রুত কাজ শুরু করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এই ট্রানজিট রুটে কী কী করণীয় রয়েছে, কী কী সমস্যা রয়েছে, ইত্যাদি বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সড়ক পথ, জলপথ এবং রেলপথের মাধ্যমে কীভাবে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, পণ্য পরিবহণ ইত্যাদি বাড়ানো যায়, এ বিষয়গুলি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে সাক্রমে মৈত্রী সেতুর মাধ্যমে অবিলম্বে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ শুরু করার বিষয় নিয়েও।জানা গেছে, আজকের এই সেমিনারে ও বৈঠকে বিভিন্ন লজিস্টিক কোম্পানি, বিশেষত যারা পণ্য পরিবহণের সাথে যুক্ত তাদের বলা হয়েছে শীঘ্রই এই রুটে পণ্য পরিবহণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে। কেননা পণ্য পরিবহণ শুরু হলেই স্পষ্ট হবে কোথায় কোথায় কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাছাড়া এই রুটকে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে এ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা এই দুটি বন্দর ব্যবহার করে ভায়া ত্রিপুরা হয়ে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে কম খরচে পণ্য পরিবহণের জন্য দুই দেশের মধ্যে আগেই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, চুক্তি সম্পাদনের পর দুই-একবার ট্রায়াল রানও দেওয়া হয়েছিল। এখন পাকাপাকিভাবে পণ্য পরিবহণ শুরু করতে চাইছে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। এতে শুধু ত্রিপুরা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিই নয়, লাভবান হবে বাংলাদেশও।এদিকে বাংলাদেশ আখাউড়া থেকে ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রেললাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর সেই রেললাইন উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু ভারতে জি ২০ সম্মেলনের জন্য উদ্বোধন আপাতত পিছিয়ে গেছে। ত্রিপুরার অভ্যন্তরে রেললাইন নির্মাণের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। ভারত সরকার ইতিমধ্যে নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশনকে ল্যান্ড কাস্টম রেলস্টেশন হিসাবে ঘোষণা করেছে। আখাউড়া থেকে নিশ্চিন্তপুর রেললাইন উদ্বোধন হয়ে গেলে এই রেলপথের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ করা যাবে। জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব সাক্রম মৈত্রী সেতু দিয়ে পণ্য পরিবহণ শুরু করার উদ্যোগ চলছে।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

ফ্রি-ফ্রি-ফ্রি!

দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…

8 hours ago

এ কে-৪৭ ও প্রচুর কার্তুজ সহ ৬ বৈরী ধৃত মিজোরামে, চাঞ্চল্য!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…

1 day ago

ফাইফরমাশ খাটছেন টিএসআর জওয়ানরা !!

অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…

1 day ago

ইন্ডিগো আরও একটি দিল্লীর বিমান চালু করছে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…

1 day ago

ইন্দ্রপ্রস্থে ভোট!!

দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…

1 day ago

বহিঃরাজ্যে গেল “ধানি লঙ্কা”ওরফে ধান্না মরিচ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…

2 days ago