চণ্ডীগড় পক্ষী উদ্যানকে রঙিন করে তুলবে ৭০ টি বিদেশি পাখি
চণ্ডীগড় পক্ষী উদ্যানে ১২ টি প্রজাতির মোট ৭০ টি বিদেশি পাখি নিয়ে আসতে চলেছে রাজ্যের বন ও বন্যপ্রাণী দপ্তর। বিদেশি পাখি নিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে দপ্তরের তরফে। আশা করা যাচ্ছে, এই পাখি আনতে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই নতুন অতিথিরা চলে আসবে উদ্যানে। রোধী !! আর তখন উদ্যান আরও রঙিন হয়ে উঠবে। তবে এবার আগের পদ্ধতিতে না গিয়ে ‘ফরেস্ট সোসাইটি অফ কনজারভেশন’-এর মাধ্যমে এই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দরপত্র আহ্বান করেছেন চণ্ডীগড়ের সহ মুখ্য বনপাল। মোট ১২ টি প্রজাতির পাখি নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বন ও বন্যপ্রাণী দপ্তরের তরফে। এর মধ্যে রয়েছে ২০ টি রেনবো লরিকিটস, ৬ টি ডিউকপস ককেটুস, গোল্ডেন ফেজেন্টস, সিলভার ফেজেন্টস, গিণিফাউসলস, অস্ট্রিচেস এবং এমুস। এছাড়া চারটি ক্রেস্টেড ক্রেনস এবং ব্ল্যাস সোয়ানস পাখিও নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরের এক পক্ষীপ্রেমি জানিয়েছেন, এই পাখিগুলির মধ্যে সবচেয়ে দামি পাখি আমব্রেলা ককেটুস এবং কে ক্ষমা ডিউকর্পস ককেটুস। এগুলির দাম তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষের মধ্যে। আবার সাদা ও কালো সোয়ানের দাম লে সেগুলির টাইপের ওপর নির্ভর করে,অনেক সময়ে জোড়া পাখির দাম এক লক্ষ টাকারও বেশি হয়। রেনবো লরিকেটস এবং গোল্ডেন ফেজেন্টস এর দাম ৩০ হাজার টাকার বেশি। সিলভার ফেজেন্টের দাম ২০ হাজার টাকা এবং গিণিফাউলের দাম ২ হাজার টাকা প্রতি জোড়া। গত বছরের নভেম্বর মাসে নগর ভান এলাকায় এই পক্ষী উদ্যানটি তৈরি করে বন দপ্তর। য়ে তারপর থেকেই এই উদ্যানকে আরও বং সাজিয়ে তোলার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ৬.৫ একর জমির ওপর তৈরি এই উদ্যানটি সুকনা লেকের ঠিক পেছনে অবস্থিত। পাখিরা এখানে ৫৮ ফিট পর্যন্ত উড়তে পারবে। এখানে বর্তমানে 250 জোড়া পাখি রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ টি প্রজাতি এবং উপ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এখানকার মূল আকর্ষণ হল পাঠানো আফ্রিকান লাভ বার্ডস, বাগেরিগারস, হোয়াইট সোয়ান, ব্ল্যাক সোয়ান, উড ডাক, গোল্ডেন ফেজেন্ট, ইয়োলো মেলানিস্টিক ফেজেন্ট, দেবে এই গোল্ডেন , সবুজ পাখাওয়ালা ম্যাকাও, স্পষ্ট সান কনুরেস, আফ্রিকান গ্রে প্যারট এবং ফিনচেস। এবার আরও নতুন প্রজাতির পাখি চলে এলে এই পক্ষী উদ্যানের আকর্ষণ এক ধাক্কায় আরও বেড়ে যাবে বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। শীতের সময়ে এমনিতেই পক্ষী উদ্যানে মানুষের ভিড় বাড়ে। আর এই সময়ে যদি পাখির সংখ্যা বাড়ে তাহলে মানুষের ভিড়ও আগের থেকে আরও বেড়ে যাবে। ফলে উদ্যানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পাখি নিয়ে আসার বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেকেন্ড ইনিংস’ অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি নাগরিক সমিতির সভাপতি অবস্থিত। আর কে গর্গ বলেন, ‘অডিট না করেই এভাবে জণগনের টাকা গোপনে যাতে ব্যবহার করা না হয় সেজন্য এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকের কাছে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে। সোসাইটির মাধ্যমে দরপত্র ছাড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য বনপাল স্টিক দেবেন্দ্র দলাই। পাশাপাশি তিনি এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সরকারের তহবিল থেকে একটি পয়সাও যদি কোনও প্রকল্পে খরচ করা হয় তাহলেও সরকার তার পুঙ্খানুপুঙ্খ অডিট করে।