চন্দ্রযানের সাথে ফের যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা শুরু ইসরোর।
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদে ভোরের প্রথম আলো ফুটতে শুরু করেছে। শীঘ্রই দেখা মিলবে সকালের। এদিকে পৃথিবীতে ইসরোর বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের মনেও নতুন করে আশার আলো সঞ্চার হতে শুরু করেছে। হয়তো আবার কাজ করতে শুরু করবে সৌরশক্তি চালিত ল্যাণ্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। তাই ইসরোর বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-৩-এর সাথে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা শুরু করেছেন যাতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। চলতি মাসের দুই এবং চার সেপ্টেম্বর রোভার এবং ল্যাণ্ডার দুটিকে স্লিপ মোডে পাঠানো করা হয়।
চাঁদে রাতের আঁধার নেমে আসার আগেই এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়।এবার সূর্য উঠলে ইসরো যদি এই দুটি পেলোডকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয় তবে এটি হবে একটি বোনাস। তাদের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং ফের কাজ করার সক্ষমতা পরীক্ষার লক্ষ্যে চেষ্টা শুরু করেছে ইসরো। সংস্থাটির স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টার ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই বলেন, আমরা ল্যাণ্ডার এবং রোভার দুটিকেই স্লিপ মোডে পাঠাই, কারণ চাঁদে রাতের বেলা তাপমাত্রা মাইনাস ১২০-২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। এই সময় যন্ত্রগুলোর নষ্ট কিংবা অকেজো হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদে সূর্যোদয় হতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৌর প্যানেল এবং অন্য যন্ত্রাংশগুলো সম্পূর্ণরূপে চার্জড হয়ে যাবে। আমাদের ভাগ্য ভালো হলে আমরা ল্যাণ্ডার এবং রোভার দুটিকেই পুনরায় সক্রিয় করতে পারব। চাঁদের অবতরণের পরপরই ল্যাণ্ডার রোভার এবং অন্য পেলোডগুলো ১৪ পৃথিবীদিবসের (এক চন্দ্রদিবস) মধ্যে বেশকিছু পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ শেষ করেছে। চাঁদের নিকষ কালো অন্ধকার সবকিছুকে গ্রাস করার আগেই পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করা হয়। পৃথিবীর ১৪ দিন অর্থাৎ চন্দ্রের একদিন সময়কালের জন্য কাজ করতে সক্ষম এই ল্যাণ্ডার ও রোভার।