চন্দ্রযান – ৩ সফল উৎক্ষেপণ।

 চন্দ্রযান – ৩ সফল উৎক্ষেপণ।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

ভারতের বহু প্রতীক্ষিত সাধের চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হলো শুক্রবার।এদিন নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরেই চন্দ্রযান-৩ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ আগষ্ট চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩ স্থাপিত হবার কথা। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ শুক্রবার চন্দ্রায়ন-৩-এর সফল উৎক্ষেপণের পর সাংবাদিকদের একথা জানান। এর আগে চন্দ্রযান-২ ২০১৯-এ পাড়ি দিয়েছিলো চাঁদের উদ্দেশে। কিন্তু একবারে শেষ লগ্নে এসে ভারতের মিশন মুন-২ সফল হতে পারেনি।এ জন্য চন্দ্ৰায়ন – ৩ মিশন নিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা একটু বেশি উদ্বিগ্ন এবং চিহ্নিত ছিলেন। এজন্য কিছুটা দেরিতেই সম্পন্ন হলো এর চাঁদের দেশে পাড়ি দেবার মুহূর্ত।এ দিন অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি জমায় ভারতের বহু সাধের চন্দ্রায়ন – ৩। এদিন ইসরো চেয়ারম্যান সোমনাথ আরও জানান, আমরা আশা করছি আগামী ১ আগষ্ট চন্দ্রযান-৩ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে শুরু করবে। এরপর আরও ২/৩ সপ্তাহ সময় লাগবে এর ল্যাণ্ডার মডিউল এবং সামনের দিকে চালনা অর্থাৎ যাকে কিনা বলা হয় প্রপালসন মিডিয়া – এর পৃথকীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার এবং তা হতে সময় লাগতে পারে ১৭ আগষ্ট পর্যন্ত। তবে সবকিছু যদি শেষপর্যন্ত ঠিক থাকে তাহলে আগামী ২৩ আগষ্ট সন্ধ্যা ৫.২৭ নাগাদ তা চাঁদের বুকে স্থাপিত হতে পারে।এর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২-এর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিলো। কিন্তু একেবারে শেষ সময় চাঁদের বুকে ল্যাণ্ডিং এর সময় চন্দ্রযান – ২-তে বিপত্তি ধরা পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত চাঁদের কক্ষপথে তা স্থাপিত হতে পারেনি। এরপর বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা চালায় প্রায় এক বছর কেন চন্দ্রযান-২ সফল হতে পারেনি তা নিয়ে। এদিকে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে জানান, ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্র সম্পর্কে যতদূর জানা যায়, সেই প্রেক্ষিতে ১৪ জুলাই চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে খোদিত হয়ে থাকবে। চন্দ্রায়ন – ৩ আমাদের তৃতীয় চন্দ্র অভিযান, সে তার যাত্রা আরম্ভ করলো। এই উল্লেখযোগ্য অভিযান আমাদের দেশের আশা ও স্বপ্নাকে বহন করে নিয়ে যাবে।চন্দ্রায়ন-৩ কক্ষপথের সীমা অতিক্রম করে চাঁদের মূল গতিপথে প্রবেশ করবে। ৩০০,০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এটা পরবর্তী আগত সপ্তাহগুলিতে চাঁদে গিয়ে পৌঁছবে।যে সব বৈজ্ঞানিক যন্ত্র সমাহার বহন করে নিয়ে যাচ্ছে তা চন্দ্রপৃষ্ঠকে পরীক্ষা করবে এবং আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে।তিনি বলেন, আমাদের বৈজ্ঞানিকদের ধন্যবাদ জানাই। মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের এক অতি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।চন্দ্রায়ন-১ বৈশ্বিক চন্দ্র অভিযান সমূহের মধ্যে নতুন পথ সৃষ্টিকারী রূপে বিবেচিত হয়, কেন না এটা চাঁদের মাটিতে জলের অণুর উপস্থিতি সুনিশ্চিত করেছিল।
একইভাবে চন্দ্রায়ন – ২ ও নতুন পথের দিশারী কারণ এর সঙ্গে সম্পর্কিত কক্ষপথের থাকে দূরানুভূতি বা রিমোট সেন্সিং-এর মাধ্যমে ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গাজিন ও সোডিয়ামের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছিল।চন্দ্রায়ন-৩-এর জন্য শুভ কামনা। আমি আপনাদের সকলের প্রতি এই অভিযান এবং মহাকাশ, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনার ক্ষেত্রে আমরা যে সব পদক্ষেপ দিয়েছি সেসব সম্পর্কে আরও বেশি করে জানতে আহ্বান রাখছি। এটা আপনাদের সবাইকে অত্যন্ত গৌরবান্বিত করবে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.