চন্দ্রের প্রত্যাবর্তন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশে লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে,ততই দেশের জাতীয় রাজনীতিক সমীকরণে নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।প্রতিদিনই নানা ঘটনা জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে ঘটে চলেছে।আর এতে জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন জল্পনার।উস্কে দিচ্ছে নানা সম্ভাবনার দিকগুলি।শাসক- বিরোধী উভয় শিবিরেই এই ধরনের ঘটনার ঘনঘটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।এরই মধ্যে বুধবার রাত থেকে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন এক জল্পনা শুরু হয়েছে।আর এই জল্পনার প্রধান কুশীলব হচ্ছেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী,তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু।তাকে ঘিরেই ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে।ফের কি জাতীয় রাজনীতিতে উত্থান হতে চলেছে,দক্ষিণের এই নেতার? এই সম্ভাবনা ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে।খবরে প্রকাশ, পুরনো সম্পর্ক মেরামত করে ফের শক্তি বৃদ্ধির ছক কষছেন তেলুগু দেশম সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু।
ছয় বছর পর ফের প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র হাতে ধরে এনডিএ জোটে ফিরতে পারেন অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার রাতে দিল্লীতে গেরুয়া শিবিরের ‘চাণক্য’ বলে পরিচিত অমিত শাহ’র সাথে সাক্ষাৎ করেন চন্দ্রবাবু।এরপরই জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।
খবরে প্রকাশ,এনডিএতে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।২০১৮ সালে অন্ধ্রকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে তৈরি হওয়া বিরোধের জেরে এনডিএ ছেড়ে দিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু।খবরে প্রকাশ,সেই পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগাতে উদ্যোগী হয়েছে দুই পক্ষই।চন্দ্রবাবু ফের এনডিএ শিবিরে ফিরলে,নিঃসন্দেহে চাপে পড়বেন বিজেপির সাথে সখ্যতা রেখে চলা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। সেক্ষেত্রে জগণমোহন কী কৌশল নেন,সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।এবারও অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভার সাথে বিধানসভা নির্বাচন হবে।
সেই ভোটকে সামনে রেখে পদ্মশিবির কী দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে নয়া কৌশল নিতে চলেছে?এই নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। চন্দ্রবাবুর সাথে অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বৈঠকের পরই,এই নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।
অন্ধ্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেস দলের সুপ্রিমো জগনমোহন রেড্ডি, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর শরিক নয়।কিন্তু শরিক না হয়েও বিজেপির সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের মতো জগনমোহন রেড্ডি, নানা ইস্যুতে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছেন।নবীন পট্টনায়কের দলও এনডিএর শরিক নয়।আবার বিরোধী জোটেও নেই।একই অবস্থান জগন মোহন রেড্ডিরও।ফলে খেলা ফের জমে উঠেছে।চন্দ্রবাবু নাইডু ছিলেন এনডিএর অন্যতম স্থপতি।২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনিই জোটের আহ্বায়ক ছিলেন।তিনি ফের অন্ধ্রে ক্ষমতায় ফিরতে উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছেয়।দুর্ণীতি মামলা চন্দ্রবাবুকে জেলে ঢুকিয়েছিলেন জগনমোহন।জামিনে মুক্তি পেয়ে চন্দ্রবাবু প্রথমেই রামমন্দিরের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে জল্পনা দানা বাঁধতে থাকে।খবরে প্রকাশ, চন্দ্রবাবু অনেক আগে থেকেই শাহ-নাড্ডাদের সাথে তলে তলে যোগাযোগ রেখে চলছিলেনমএখন সেটা প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।রাজনীতির হাল হকিকত নিয়ে যারা খোঁজখবর রাখেন তারা খুব ভালো করেই জানেন,দেশের উত্তর,পশ্চিম এবং পূর্ব ভারতে গেরুয়া শিবির তাদের শিকড় মজবুত করে নিতে পারলেও,দক্ষিণ ভারতে এখনো সেই ভাবে দলের শক্ত ভীতি তৈরি করতে পারেনি।তাই পদ্মশিবির দক্ষিণ ভারত বিজয়ে শরিকের সন্ধানে আছে।কর্ণাটকে জনতা দল সেকুলারের সাথ জোট করলেও, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তেলেঙ্গানায় তেমন কাউকে এখনও বন্ধু হিসাবে পায়নি।তেলুগু দেশম এবং চন্দ্রবাবু পুরনো সঙ্গী।তাই চন্দ্রবাবুকে ফের একবার এনডিএতে শামিল করে দক্ষিণ ভারতের আরেক রাজ্য জয়ের অঙ্ক যে পদ্মশিবির করছে,তাতে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।শুধু তাই নয়,এনডিএতে শামিল হয়ে চন্দ্রবাবু নাইডু যে ফের একবার রাজনীতিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাইছেন, সেটাও অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।এখন শুধু অপেক্ষা,কখন আনুষ্ঠানিকভাবে মালা বদল হবে।