রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
চন্দ্র-সূর্যের পর এবার মিশন মহাশূন্যের পথে ইসরো।
অনলাইন প্রতিনিধি :-পরপর সাফল্য এসেছে।চন্দ্রাভিযান হোক বা সূর্যের দেশে পাড়ি
দুটি মিশনেই সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।ইসরোর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এবার মহাশূন্যের পথে রওনা দেবে ভারতে তৈরি গগনযান। সেই পথেই এবার আরও এক ধাপ এগোল ইসরো।কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক এক জানিয়েছেন,মহাকাশে- অভিযানের রোডম্যাপ তৈরি করা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শূন্যের পথে রওনা হবে গগনযান।চন্দ্রযান-৩ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর পি বীরমুথুভেল একটি ভাষণ দেওয়ার সময় জানিয়েছেন, সফট ল্যান্ডিং নিজেই একটি প্রযুক্তি, যে ব্যাপারটা ইতিমধ্যেই আয়ত্ত করেছে ভারতে।তারপরেই মানুষ পাঠিয়ে অনুসন্ধান সম্ভব।আপনারা সকলেই জানেন, গগনযানের কথা, এটি একটি মানব-অনুসন্ধান প্রকল্প, ‘ বলেছেন বীরমুথুভেল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইতিমধ্যেই গগনযান মিশনের অংশ হিসাবে মানব-বিহীন উড়ানের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে।ইসরোর এক্স-হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ইসরো গগনযান মিশনের জন্য মানব- বিহীন উড়ানের পরীক্ষা শুরু করবে খুব শীঘ্রই।’ফ্লাইট টেস্ট ভেহিকেল অ্যার্ট মিশন-১ এর জন্য প্রস্তুতি, যার সাহায্যে ‘ক্রু-এস্কেপ’ সিস্টেমের কার্যকারিতা বোঝা যাবে, তা শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ইসরোর মতে, এই পরীক্ষামূলক উড়ানের সাফল্যের উপর নির্ভর করবে বাকি যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষাগুলি এবং তা মানববিহীন মিশনের মঞ্চ প্রস্তুত করবে। গগনযান টেস্ট ফ্লাইটের প্রথম ক্রু মডিউল সংক্রান্ত একটি বিবৃতিতে ভেহিকলের (টিভি-ডি১) প্রস্তুতি এই মুহূর্তে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।গগনযানের রকেটটি অন্য জায়গায় তৈরি করা হলেও এই মহাকাশযানের জন্য সমস্ত অভ্যন্তরীণ সিস্টেম আহমেদাবাদে তৈরি করা হবে।সেখানেই তৈরি হবে কেবিন সিস্টেম এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা।কেবিনে মহাকাশচারীদের জন্য তিনটি আসন থাকবে, সঙ্গে থাকবে একটি আলোর ব্যবস্থা। কেবিনের ভিতরে বিভিন্ন জিনিস নিরীক্ষণের জন্য দুটি ডিসপ্লে স্ক্রিন থাকবে। গগনযান ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশযান মিশন। এই প্রজেক্টে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে একটি কক্ষপথে তিনজন নভোচারীকে পাঠানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে ইসরো। তার আগে মহাশূন্যে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরোর।