চম্পাইর পরীক্ষা!!

 চম্পাইর পরীক্ষা!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ঝাড়খণ্ডে চম্পাই সরকারের পরীক্ষা রাত পোহালেই।শাসক সরকার রাজ্যে কিনা অপারেশন লোটাস জয় হয়ে যায়। অতএব শাসক শিবিরের ভরসা সুদূর হায়দ্রাবাদে দলীয় বিধায়কদের ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া।গত কয়বছরে কেন্দ্রের শাসক এই ক্ষেত্রে বিশেষ পটু হয়ে ওঠেছে। অপারেশন লেটাস।মধ্যপ্রদেশ কিংবা গত বছর মহারাষ্ট্র – একবারে নিখুঁত ভাবে লোটাস অপারেশন সফল।সম্প্রতি ইডি জালে তোলেছে মুখ্যমন্ত্রী (অতি সম্প্রতি প্রাক্তন হয়েছেন)হেমন্ত সোরেনকে। হেমন্ত সোরেন গত কিছুদিন ধরেই আঁচ করতে পারছিলেন যে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। সেজন্য তিনি ২/৩ দিন স্বেচ্ছায় অন্তর্ধান থাকার পর ৩০ জানুয়ারী বিকালে রাঁচিতে এসে হাজির হন।তিনি মনে মনে আশঙ্কা করছিলেন যে এ যাত্রায় হয়তো আর রেহাই মিলছে না।সেজন্য ৩০ জানুয়ারীই তিনি পরিষদীয় দলের বৈঠক করেন।বৈঠকে মোটামুটি ঠিক হয় যে,হেমন্ত সরে গেলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন।প্রথমে ঠিক ছিল হেমন্তর স্ত্রী কল্পনাই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেমন্ত বুঝে যান যে,দলে বিদ্রোহ হতে পারে এ নিয়ে।তাই প্রবীণ জনজাতি নেতা চম্পাইকে এগিয়ে দেন। পরদিন হেমন্ত গ্রেপ্তার হতেই চম্পাই পরিষদীয় দলনেতা হয়ে যান।নয়া সরকারের দাবি জানান চম্পাই।কিন্তু রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিতে ২ দিন দেরি করেন।সম্ভবত কেন্দ্রীয় তরফে সিগন্যাল না আসায় তিনিও সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না।যদিও শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেনই।এরপর পরিষদীয় দল বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা আস্থা ভোেট নেবে ৫ ফেব্রুয়ারী।রাজ্যপাল যদিও তাকে দশ দিনের সময় দিয়েছিলেন।এরই মধ্যে অপারেশন লোটাসের ভয়ে তেলেঙ্গানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৪০ জন জেএমএম-কংগ্রেস বিধায়ক। বর্তমানে ৮১ সদস্যক ঝাড়খণ্ডে জেএমএম জোটের শক্তি ৪৩-এ দাঁড়ায়। অন্যদিকে,এনডিএ’র শক্তি দাঁড়িয়ে ৩৮-এ।এনডিএ যেনতেনপ্রকারেণ চেয়েছিল অপারেশন লোটাস চালিয়ে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাও নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসতে।যদিও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে অপারেশন লোটাসের সম্ভাবনা ক্ষীণই।কেননা শাসক শিবিরের বিধায়করা একজোট রয়েছে এখন পর্যন্ত।তেলেঙ্গনা থেকে আগামীকাল আস্থা ভোটে যোগ দেবার জন্য রবিবার রাতে রাঁচিতে ফিরেছে জেএমএম-কংগ্রেস বিধায়করা।শরিক দলের তরফেও হুইপ জারি করা হয়েছে।ফলে শাসক শিবিরের বিধায়করা এখন পর্যন্ত লোটাসের ফাঁদে পা দেননি। আগামীকাল শেষপর্যন্ত যদি আস্থাভোটে চম্পাই উতরে যান তাহলে বলা যায় অপারেশন লোটাস লোকসভা ভোটের আগে মার খেলো। তবে সবটা নির্ভর করছে আস্থাভোটের উপর। আস্থাভোট না হলে কিছু বলা সম্ভব হয়।তাই বলা যায় চম্পাইর পরীক্ষা আজ। পরীক্ষায় কি উতরাবেন চম্পাই সোরেন!আজ দেখার এটাই।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.