চরম হয়রানির শিকার যাত্রীরা, সীমান্তে আটক আগরতলা-ঢাকা যাত্রীবাস, উদ্ধার পাচার সামগ্রী।।।
অনলাইন প্রতিনিধি || বেআইনিভাবে যাত্রীবাহী বাসের নীচে গোপন জায়গা তৈরি করে তার মধ্যে সামগ্রী পাচারকালে রবিবার আখাউড়া সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক হলো আগরতলা-ঢাকা যাত্রীবাহী বাস। গাড়িটি ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ নিগমের হলেও,পিপিপি মডেল চুক্তি অনুযায়ী এই বাস পরিচালনা করে কলকাতার ‘রয়েল ট্রাভল’ নামে একটি পরিবহণ এজেন্সি।গাড়িটির নম্বর TR01C- 1299।সেই সাথে আটক করা হয়েছে গাড়ির চালক ও সহ চালককে।এদের নাম মহঃ বাদল এবং মহঃ সহেল।যাত্রীবাহী বাসের গোপন কুঠুরি থেকে পাঁচশটি দামি মোবাইল সেট এবং সত্তরটি দামি শাড়ি সহ আরও বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে।এই ঘটনায় চরম হয়রানির মধ্যে পড়েন বাসের যাত্রীরা।এরা শেষ পর্যন্ত গাড়ি থেকে নেমে পুনরায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে,মালপত্র নিয়ে সীমান্ত পার হয়ে শেষে নানাভাবে বাংলাদেশে যান।এতে যাত্রীদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।
উল্লেখ্য,ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণের
সাথে কলকাতার ওই ট্র্যাভেল এজেন্সির চুক্তি হয়।সেই চুক্তি মোতাবেক আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা বাস পরিষেবা চালায় ওই ট্র্যাভেল এজেন্সি।রবিবার দুপুরে কৃষ্ণনগর টিআরটিসি ডিপো থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয় ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ নিগমের ওই বাসটি। আখাউড়া সীমান্তে যাওয়ার পর বিএসএফ গাড়িতে যথারীতি তল্লাশি চালায়। তখনই বাসের নীচে তৈরি করা গোপন কুঠুরি থেকে এই মূল্যবান সামগ্রীগুলি উদ্ধার করে। এরপরই বিএসএফ গাড়িটিকে আটক করে একই সাথে গাড়ির চালক ও সহ চালককেও আটক করে। কিন্তু মালপত্র নিয়ে প্রচণ্ড গরমে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে বাসের যাত্রীরা। তাদের চরম হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বহু কষ্ট করে ওপার থেকে কেউ রিকশা, কেউ টমটম, কেউ মাইক্রো গাড়িতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
খবর নিয়ে জানা গেছে, এই একই ট্র্যাভেল এজেন্সির একটি গাড়ি পেট্রোপোল সীমান্তে পনেরো কেজি সোনা সহ ধরা পড়েছিলো।প্রশ্ন উঠেছে, এমন একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির সাথে রাজ্য সড়ক পরিবহণ নিগম চুক্তি করলো কী করে? যাদের ট্র্যাক রেকর্ড সুবিধাজনক নয়।এদিকে, এই বিষয়ে ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দেবকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,বিষয়টি তার নজরেও এসেছে। আজ ছুটির দিন থাকায় তিনি এই ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে পারেননি। তবে ঘটনায় তিনি নিজেও বিস্মিত।এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।