চলন্ত যাত্রীট্রেনে চেন টানায় বাড়ছে বিপদের ঝুঁকি, অভিযান।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || চলন্ত ট্রেনে চেন টানা বিপজ্জনক প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এর ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।চেন টানার ফলে যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় অঘটন।এই আশঙ্কার বাইরে নয় ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিঙ বিভাগের বিভিন্ন এলাকা। কেননা, লামডিঙ বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় অকারণে এবং অবৈধ উপায়ে প্রায় যখন তখন ও যেখানে সেখানে ট্রেনের চেন টানার ঘটনা ঘটছে প্রায় নিয়মিতভাবে। এর ফলে উল্লেখিত ঝুঁকি এবং আশঙ্কার পাশাপাশি বিপদ বাড়ছে নানা দিক থেকে। কমছে ট্রেনের গতি। গন্তব্যে পৌঁছতে অকারণে বাড়তি সময় লাগছে। চেন টানার ফলে যাত্রীট্রেনের গতি মন্থরতার জেরে বহু যাত্রীর পক্ষে পরবর্তী ট্রেন ধরা সম্ভব হচ্ছে না।আর্থিক এবং অন্যদিক থেকে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।এমতাবস্থায় বেআইনিভাবে এবং উপযুক্ত কারণ ছাড়া চেন টানা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে সীমান্ত রেলের লামডিঙ বিভাগ।বিভাগের আওতাধীন ত্রিপুরার সাব্রুম থেকে শুরু করে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত অভিযান চলছে। একই অভিযান চলছে আসামের দক্ষিণাংশের তিলভূম, দুর্লভছড়া, মহিশাসন থেকে শুরু করে কামাখ্যা স্টেশন সংলগ্ন রঙ্গিয়া বিভাগের কাছের ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর ইত্যাদি জেলায়। রাজ্যের ত্রাণ ও রাজস্ব কমিশনার অলক কুমার পাণ্ডে জানান, উপকূলবর্তী এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার মানুষকে আমরা নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়েছি।এছাড়া আরও স্পর্শকাতর এলাকার মানুষজনকে সরানোর প্রক্রিয়া চলছে।যে ২১ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে এদের মধ্যে কচ্ছ জেলায় ৬৫০০ জন, দেবভূমি দ্বারকার ৪০০০ মানুষ, মরবির ২০০০ মানুষ, জামনগরের ১৫০০ মানুষ, পোরবন্দরের ৫৫০ জন এবং জুনাগড়ের ৫০০ জনকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই গুজরাট থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গাছ ভেঙে পড়ায় বাজকোট জেলার যাশধন তালুকায় বর্ষা ভালিয়া নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, আরবসাগরে সৃষ্ট হয়েছে সম্প্রতি এই ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’।এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া এ দিন গুজরাট প্রশাসনের সাথে বৈঠক করেন এবং ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’র বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত হোন। এছাড়া তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তর এবং গুজরাটের স্বাস্থ্য দপ্তরের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সম্পর্ক রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শুধু তাই নয়, পশ্চিম উপকূলের সব রাজ্যের সাথেও কেন্দ্রীয় সরকার যোগাযোগ রাখছে।কোনওরকম এমারজেনি এলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে ঝাপিয়ে পড়া যায় এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতাল,লেডি হার্ডিক হাসপাতাল,সফদরজং হাসপাতাল, এইমস দিল্লী, এইমস যোধপুর, এইমস নাগপুরকে সর্বদা প্রস্তত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।একই সাথে বেঙ্গালুরুর নিমহানগের চিকিৎসকদের তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

গয়নার ল্যাবে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম রুবি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…

4 hours ago

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচাতে পুলিশ প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…

4 hours ago

কাজের বাজারে মন্দা!!

কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…

5 hours ago

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

1 day ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

1 day ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

2 days ago