চলাচলের জন্য প্রস্তুত রেলরুট।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- প্রথমবারের মতো আখাউড়া- আগরতলা রেলরুটে চলেছে ট্রেন। রেল ইঞ্জিনে একাধিক পণ্যবহন বগি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রেনটি যাত্রা করে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে। শেষ বগিতে থাকা ট্রেনের গার্ড (পরিচালক) সবুজ পতাকা নাড়তেই লোকোমাস্টার (চালক) বোতাম চাপেন হুইসেলের। শুরু হয় ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকানো ওয়াগন নিয়ে ট্রেন চলাচল।রেলওয়ের প্রকৌশলীরা বলেছেন, রেলওয়ের ইঞ্জিনসহ ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে এই রেলরুটের সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে। যদিও এর আগে একাধিকবার গ্যাংকার চলেছে। ট্রেন চলাচলের পর প্রকৌশলীরা বলেছেন, রেলরুটটি পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। চল্লিশ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলেছে। আরও বেশি গতিতেও ট্রেন চলাতে পারবে এই রুটে বলেছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর বাংলাদেশ প্রধান শরৎ শর্মা।রেলওয়ে ইঞ্জিন ও তার সাথে যুক্ত কয়েকটি পণ্যবহনকারী হলদে রঙের ওয়াগন। হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন চলছে একেবারে নতুন রেলরুটে। গ্রামের ভেতর দিয়ে সবুজ মাঠ পেরিয়ে ট্রেনটি আগরতলার নিচিন্তপুর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গিয়ে থামে। সেখানে বিএসএফ সদস্যরা লাল পতাকা উড়িয়ে জানান দিয়েছে এখনই এর আগে ট্রেন চালানোর অনুমতি নেই। যদিও নিশ্চিন্তপুর এলাকায় রেলরুট বসানো আছে। প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার গতিতে চলেছে ট্রেন। এতে সময় লেগেছে প্রায় আট মিনিট। প্রথমবারের মতো এই রেলরুটে ট্রেন দেখে স্থানীয় লোকজনও ছিলো উৎফুল্ল। সীমান্তের জিরো লাইনে এসেই ভি চিহ্ন দেখিয়ে উল্লাস করেছেন এই রেলরুট নির্মাণের সঙ্গে জড়িত প্রকৌশলীরা।প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতের টেক্সমেকো রেল অ্যাণ্ড ইঞ্জিনীয়ারিং লিমিটেডের বাংলাদেশ প্রধান শরৎ শর্মা বলেছেন, আমরা আনন্দিত। ট্রায়াল হয়েছে। এই রেলরুট সব ধরনের ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। আজ ট্রেন চলাচলের পর আমরা তা নিশ্চিত করেই বলতে পারছি। এখন সময়ের অপেক্ষা। দুই দেশের সরকার ঘোষণা দিলেই এই রেলরুটে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন হবে।
প্রথমবার এই রুটে ট্রেন চালিয়েছেন চট্টগ্রামের লোকোমাস্টার সাজু কুমার দাস। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, এটা ঐতিহাসিক। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলরুটে তিনি ট্রেন চালান। তখন গঙ্গাসাগরে আখাউড়া-আগরতলা রেলরুট নির্মাণ কাজ দেখেছেন। তিনিই এই রুটে ট্রেন চালাবেন কখনও ভাবেননি। ট্রেন চালাতে পেরে তিনি খুশি।এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) আবু জাফর মিয়া বলেছেন, সরকারের পক্ষে ঘোষণা দিলেই উদ্বোধন হবে আখাউড়া-আগরতলা রেলরুটে ট্রেন চলাচল।এই রেলরুট উদ্বোধন হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ শুরু হবে। এতে সম্প্রসারিত হবে বাণিজ্য।পূর্বোত্তরের মানুষ ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতে কম সময়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে।তবে সবকিছুর জন্য প্রয়োজন আরও সময়। বলেছেন, রেলওয়ের আধিকারিকরা।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মৃত্যু ঢাকুরিয়ার যাত্রীর!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-হাওড়া থেকে পুরী যাচ্ছিলেন ঢাকুরিয়ার হিমাদ্রি ভৌমিক (বয়স ৫৭)। পথেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে…

16 hours ago

পাকিস্তানে ৪৮ ঘণ্টায় ২০ বার ভূকম্প!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রবিবার রাত থেকে কুড়িবার কেঁপে উঠে পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচি। রিখটার স্কেলে কম্পনের…

16 hours ago

ভয়াবহ বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু অসমে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বন্যায় ভয়াবহ অবস্থা উত্তর-পূর্ব ভারতে। টানা বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত অসম। সূত্রে খবর, ভয়াবহ…

17 hours ago

কুম্ভে মৃ*ত্যু হয়েছিল ৫০–৬০ জনের’ পদপিষ্টে ১১ জনের মৃ*ত্যুর পর সিদ্দারামাইয়ার বক্তব্য!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পদপিষ্টে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনাতে কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারের দিকে তোপ দেগে দিয়েছেন বিজেপি।…

19 hours ago

পদপিষ্টে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ্যের আর্থিক সাহায্য!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বুধবার বেঙ্গালুরুতে আরসিবি টিমের বিজয়োৎসব চলছিল স্টেডিয়ামের ভেতরে। সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আরসিবি…

19 hours ago

আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নে লন্ডনে মৌ স্বাক্ষর: প্রদ্যোত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের উপজাতি জনসমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। দেশের সরকারের নির্দেশিত…

19 hours ago