চাঁদের বুকে ১৬০ কিমি গর্তের খোঁজ দিল প্রজ্ঞান!!

 চাঁদের বুকে ১৬০ কিমি গর্তের খোঁজ দিল প্রজ্ঞান!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ইসরোর তৃতীয় চন্দ্রযান মিশনের সাফল্যর মুকুটে যোগ হল নয়াপালক।জেগে উঠেছে চন্দ্রযানের রোভার প্রজ্ঞান। এক গুরুত্বপূর্ণ খোঁজ দিয়েছে প্রজ্ঞান।চাঁদের মাটিতে ১৬০ কিমি চওড়া গর্ত আবিষ্কার করেছে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই বিশাল প্রাচীন গর্তের হদিশ মিলেছে। ল্যান্ডিং স্থলের কাছেই ১৬০ কিমি চওড়া গর্তের খোঁজ পেয়েছে রোভার প্রজ্ঞান।
প্রজ্ঞানের এই সাফল্যর খবর আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা সায়েন্স ডিরেক্ট জার্নালের সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশ করেছে।প্রজ্ঞান রোভার দ্বারা পৃথিবীতে পাঠানো তথ্যর মাধ্যমে এই গর্তের খোঁজ করা হয়েছে, যা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবস্থিত।রোভার প্রজ্ঞানের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যর ভিত্তিতে নতুন স্থানটি আবিষ্কৃত হয়েছে।চাঁদের পৃষ্ঠের সবচেয়ে বড়ো ও প্রাচীন বেসিন হিসাবে পরিচিত এটকেন বেসিনের চারপাশের নতুন স্তরের ধুলো ও পাথর চাঁদের প্রাথমিক ভূতাত্ত্বিক বিবর্তন বুঝতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রোভার প্রজ্ঞান যখন দক্ষিণ মেরুর এটকেন বেসিন থেকে প্রায় ৩৫০ কিমি দূরে একটি উচ্চভূমি অঞ্চলে ঘোরাফেরা করার সময় এই বিশাল গর্তের খোঁজ পায়।চাঁদে অনুসন্ধান অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চল। এই স্থানটি অতীতের আঘাত থেকে সঞ্চিত পদার্থে সমৃদ্ধ। এটকেন বেসিনে প্রায় ১,৪০০ মিটার বর্জ্য মিলেছে। বেসিনের চারপাশে বিভিন্ন ছোটো গর্তে আরো ভূতাত্ত্বিক উপাদান রয়েছে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের অনুসন্ধানের লক্ষ্য নিয়ে ভারতের এই চন্দ্রযান অভিযান।চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলটি বিজ্ঞানীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আগে চাঁদের মাটি থেকে সেভাবে কিছুই মেলেনি।কিন্তু চাঁদের মাটিতে ঘোরাঘুরি করে এখন রোভার প্রজ্ঞান জল ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের খোঁজ করছে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই ১৬০কিমি চওড়া গর্তের খোঁজ বিজ্ঞানীদের চাঁদের ভূগর্ভস্থের গঠন আরো ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে।এই আবিষ্কার শুধু ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর জন্য গর্বের বিষয় নয়, বরং এটি গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবে। এই আবিষ্কার চাঁদে ভবিষ্যতের সমস্ত অভিযানের জন্য একের পর এক নতুন দিকনির্দেশনা আসতে পারে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.