চাঁদে ঘাঁটি বানাতে শক্তির উৎস তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা।

 চাঁদে ঘাঁটি বানাতে শক্তির উৎস তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসাবে ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় করে এসেছে। ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের প্রচুর ছবি 3 তথ্য পাঠিয়েছে।এদিকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বাধীন ‘আর্টেমিস প্রোগ্রাম’-এ দাবি করা হচ্ছে,২০৩০ সালের মধ্যেই মার্কিন নভশ্চরেরা চাঁদে ঘাঁটি তৈরি করবে। কিন্তু তা কি আদৌ সম্ভব? ওয়েলসের ব্যাঙ্গর ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা শুরু করে দিয়েছেন গবেষণা। বিজ্ঞানীরা চাঁদে, দীর্ঘস্থায়ী ভাবে মানুষের বসতি কায়েম করতে শক্তির উৎস তৈরির চেষ্টা করছেন। ব্যাঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদের বুকে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে ইতিমধ্যে পারমাণবিক জ্বালানি কোষের নকশা তৈরি করে ফেলেছে। এগুলির আকার হবে খুবই ছোট, পোস্তদানার মতো। ব্যাঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইমন মিডলবার্গ (ছবিতে ডান দিকে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলছেন, “আমাদের কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে বেশ মজারও ছিল। চাঁদকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশ মঙ্গলগ্রহের প্রবেশপথ হিসেবে দেখেন আধুনিক প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অনেক মূল্যবান খনিজ সম্পদ রয়েছে চাঁদে।আশা করা হচ্ছে যে, দূরের অন্যান্য গ্রহে পৌঁছানোর জন্য চাঁদকে আগামী দিনে একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ব্যাঙ্গর ইউনিভার্সিটির নিউক্লিয়ার ফিউচারস ইনস্টিটিউটের গবেষণাগারের কাজ দেখার জন্য বিশেষভাবে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে।তারা জানিয়েছে, ব্যাঙ্গরের গবেষক দলটি জ্বালানি সংক্রান্ত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃস্থানীয়। তারা রোলস রয়েস, ইউকে স্পেস এজেন্সি এবং যুক্তরাষ্ট্রে নাসা ও লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। অধ্যাপক মিডলবার্গ জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তারা পারমাণবিক জ্বালানির পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা চালানোর আশা করছেন। চাঁদে, বিশেষত দক্ষিণ মেরুর কিছু অংশে তাপমাত্রা বিস্ময়কর পর্যায়ের নিচে নেমে আসে, মাইনাস ২৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। কারণ চাঁদের পৃষ্ঠকে উষ্ণ রাখার মতো সেখানে বায়ুমণ্ডল নেই। ব্যাঙ্গরের বিজ্ঞানীদের কাজ হল, চাঁদের বুকে জীবনধারণের জন্য জ্বালানি ও তাপ উৎপাদনের নতুন উপায় আবিষ্কার করা।
গবেষকরা ‘ট্রাইসোফুয়েল’ নামের ক্ষুদ্র পারমাণবিক জ্বালানি কোষ পরীক্ষার জন্য তাদের অংশীদারদের কাছে পাঠিয়েছেন। এই ট্রাইসোফুয়েল সেল রোলস য়েসের তৈরি একটি মাইক্রো নিউক্লিয়ার জেনারেটর চালানোর জন্য ব্যবহার রা হতে পারে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.