চাকরি কেলেঙ্কারি, ইন্টারভিউর পর বাতিল হলো চাকরি প্রক্রিয়া!!

 চাকরি কেলেঙ্কারি, ইন্টারভিউর পর বাতিল হলো চাকরি প্রক্রিয়া!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-আবারও চাকরি কেলেঙ্কারিতে জড়ালো রাজ্য সরকার। চাকরি দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই ইন্টারভিউ নেওয়ার তিন বছর পর সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে বাধ্য হলো বেকারদরদি সরকার।

রাজ্য সরকারের অগ্নিনির্বাপক দপ্তর বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকাশ্যে চাকরি প্রক্রিয়া বাতিলের ঘোষণা করে দিলো।ফায়ারম্যান এবং ড্রাইভার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যব্যাপী বেকারদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে যে বেকার বিক্ষোভের ভয়ে শাসকদলের বেহাল দশা।
রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে খোদ রাজ্য সরকার বলছে ফায়ারম্যান এবং ড্রাইভার পদের গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। যা একপ্রকার নজিরবিহীন ঘটনা। ফলে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপন থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের অধীনে ফায়ারম্যান এবং ড্রাইভার পদের নিয়োগে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কেলেঙ্কারি হয়েছে।
অবাক করার বিষয় হলো ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ১৩৬২টি ফায়ারম্যান এবং ২৪৮টি ড্রাইভার পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল রাজ্য সরকার, অগ্নিনির্বাপক দপ্তর।এই বিজ্ঞাপন মূলে ফায়ারম্যান পদ এবং ড্রাইভার পদ মিলিয়ে প্রায় বারো হাজার বেকার আবেদন করেন।এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আগরতলা, বিশ্রামগঞ্জ, খোয়াই, উদয়পুর, আমবাসা,কৈলাসহর,
বিলোনীয়া, ধর্মনগরে ফায়ারম্যান এবং ড্রাইভার পদে লিখিত পরীক্ষা হয়।এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল।এরপর সব কিছু থমকে যায়। যদিও ফায়ারম্যান এবং ড্রাইভার পদের চাকরিপ্রার্থী বেকারের চাপে পড়ে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে আরক্ষা দপ্তর। তবে প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়নি। উল্টো সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া রাজ্য সরকারের দায়সারা মনোভাবের জন্য বর্তমানে বিশবাঁও জলে।
বেকারের অভিযোগ তিন বছর রাজ্যের মেধাবান যুবকদের সাথে প্রতারণা হয়েছে। একটি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ তিন বছরেও করতে পারলো না রাজ্য সরকার, অগ্নিনির্বাপক দপ্তর। এখন বলছে এই পরীক্ষা গ্রহণ ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে হয়েছে। যা গত তিন বছরে ধরা পড়লো না। অথচ এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে ২০২৩ সালে আবার সরকার পুনর্গঠিত হলো। এখন ক্ষমতায় বসে বেকারের সাথে করা প্রতিশ্রুতি গায়েব হয়ে গিয়েছে। এভাবেই রাজ্যে বেকার ঠকানো হচ্ছে সরকারী চাকরির নামে। প্রথমে চাকরির শূন্যপদ সৃষ্টি ও বিজ্ঞাপন প্রকাশের নামে মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন। এরপর বিজ্ঞাপন প্রকাশ, আবেদন সংগ্রহ, পরীক্ষা গ্রহণ, চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ এবং অফার বন্টনের নামে বেকারের চাকরিজীবন থেকে ছয় বছর গায়েব হচ্ছে।
এর মধ্যে আবার অনেক নিয়োগ প্রক্রিয়া যাচ্ছে আদালতে। আবার মাঝপথেও বন্ধ হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবার ফায়ারম্যান ও ড্রাইভার পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার একই পরিণতি হলো। এখন নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ থেকে অফার বন্টন পর্যন্ত আবার ন্যূনতম ছয় বছর লাগবে। এর মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন হয়ে যাবে। ফায়ারম্যান এবং ড্রাইভার পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার নামেও রাজ্যের বেকারের চাকরিজীবন থেকে ন্যূনতম আট বছর গায়েব হবে।
এভাবেই সরকারী চাকরির নামে রাজ্যের বেকারের সাথে ছেলেখেলা করছে রাজ্য সরকার। একমাত্র বেকার বিক্ষোভের চাপে পড়ে চাকরি প্রদানে বাধ্য হচ্ছে সরকার। এর অন্যতম নিদর্শন হলো শিক্ষক, কনস্টেবল, জেআরবিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.