চার চাকার চার ইঞ্জিন, দৈত্যাকার গাড়ি চালিয়েশখ মেটান ধনকুবের।
ধনী মাত্রই গাড়ি বিলাস থাকবে, বলেছিলেন বার্নার্ড শ। বাস্তবেও দেখা যায়, যত বেশি ধনী, তিনি তত বড় গাড়িতে চড়তে পছন্দ করেন। তাই বলে এমন গাড়ি?এ গাড়িকে পথের দৈত্য বললেও কম বলা হবে। এ গাড়ির পোশাকি নাম ‘হামার এইচ-১ এক্স থ্রি এসইউভি’। গাড়ির দৈর্ঘ্য ১৮৪.৫ ইঞ্চি। মাটি থেকে উচ্চতায় ৭৭ ইঞ্চি। আর বহরে বা চওড়ায় ৮৬.৫ ইঞ্চি।হামার ব্র্যান্ডের গাড়ি এমনতেই বিশাল। কিন্তু এইচ-১ এসইউভি মডেলের এই গাড়িকে দেখে বলতে ইচ্ছা করে, এমন গাড়ি কোথাও খুঁজে পাবেনাকো তুমি! দুবাইয়ের একজন শেখের গাড়ি-বিলাসের নবতম সংযোজন এই দৈত্যাকার গাড়িটি। ধনকুবেরের নাম শেখ হামাদ বিন হামদান আল নাহান।তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্ষমতাসীন রাজ পরিবারের সদস্য। দুবাইয়ের ধনীমহলে তিনি অত্যন্ত শৌখিন বলে পরিচিত। রসে-বসে থাকতে ভালবাসেন।সেই কারণে দুবাইয়ে সকলে তাকে বলে ‘রেনবো শেখ’।রামধনুর মতোই বর্ণময় জীবন কাটাতে পছন্দ করেন। রেনবো শেখ সম্প্রতি দুবাইয়ের রাস্তায় এই নিয়ে বেরিয়েছিলেন।শেখের কোনও সুহৃদ সেই দৃশ্যের ভিডিয়ো তুলে টুইট করেন। দ্রুত সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এমন গাড়ি দেখে ভির্মি খাওয়ার অবস্থা লোকজনের। এমনকী গাড়ি দেখে ঘাবড়ে যান স্বয়ং ট্রাফিক কর্তারাও। গাড়ির সামনে কয়েক জন পুলিশকর্মীকে ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। দৈত্যাকার গাড়িটির সামনে লোকজনকে মনে হচ্ছে যেন লিলিপুট।এ গাড়ির চারটি চাকা আকারে এতটাই বিশাল যে, প্রতিটি ঢাকার জন্য রয়েছে পৃথক ইঞ্জিন। অর্থাৎ এই গাড়ি প্রকৃত অর্থেই ‘ফোর হুইলার’।ডিজেল পুড়িয়ে পথে দাপিয়ে বেড়ায় দোতলা বাড়ির সমান এই গাড়ি। মাইলেজ কত তা জানা যায়নি।জানা গিয়েছে, বিশেষ বরাত দিয়ে এই গাড়িটিকে তৈরি করিয়েছেন ২ হাজার কোটি ডলার সম্পত্তির মালিক রেনবো শেখ। স্থানীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গাড়ির ভিতরে রয়েছে দোতলা ব্যবস্থা। শোওয়ার ঘর, শৌচালয়, স্টিয়ারিং কেবিন— সব মিলিয়ে বাড়ি না গাড়ি, বোঝা দুষ্কর। দুবাইয়ের এই শেখের গাড়িবিলাস নিয়ে বহু কাহিনিও আছে। তার নিজের সংগ্রহে রয়েছে ৩ হাজার গাড়ি। কোনওটিই সাধারণ নয়। বরং সব ক’টিই কোনও না কোনও রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। শেখ গাড়িগুলিকে রেখে দেন নিজের তৈরি করা মিউজিয়ামে। দুবাই ছাড়াও মরক্কো-সহ একাধিক দেশে রয়েছে সেগুলি।