চার দিন পর কবর থেকে উঠে এসে সারমেয় এখন ‘দেবী’!”
অনলাইন প্রতিনিধি :-ট্রাকের ধাক্কায় হোসুন নামে প্রিয় পোষ্যের মৃত্যু হয়েছিল ভেবে মাটি খুঁড়ে তাকে কবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘মৃত’ সারমেয়টি নাকি চার দিন পর অলৌকিকভাবে সেই কবর থেকে উঠে এসেছে। শুনতে আদিদৈবিক মনে হলেও, হোসুন এখন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়েংচিউন শহরের উপকণ্ঠের একটি গ্রামে এক চলমান মিথ।গ্রামবাসীর কাছে এই কুকুর এখন ‘দেবী’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল সাত বছর আগে।দক্ষিণ কোরিয়ার এক টিভিতে ‘হোয়াট অন আর্থ’ অনুষ্ঠানে হোসুন নামের এই কুকুরের অলৌকিকভাবে বেঁচে ওঠার কাহিনি উঠে এসেছে সম্প্রতি হোসুনের মনিবের বর্ণনায়।ওই গ্রামের প্রায় সমস্ত মানুষ বিশ্বাস করেন, কুকুরটি নিজেই সমাধির মাটি সরিয়ে বেরিয়ে এসেছে।এর মাধ্যমে হোসুনের পুনর্জন্ম হয়েছে।তাই সে নিছক একটি রক্তমাংসের সারমেয় নয়, আদতে ‘দেবী’। হোসুনের মনিব কিমের কথায়,রক্তমাংসের শরীরে হোসুন ‘ সাক্ষাৎ দেবী। কবর থেকে উঠে আসার পর থেকেই ও যেন এক ঐশ্বরিক সত্তা।’ শুধু কিম একা নন, গোটা গ্রামের মানুষও বিশ্বাস করে, হোসুনের মৃত্যু হয়েছিল এবং সে অলৌকিক ক্ষমতায় বেঁচে উঠেছে।
টিভি শোতে কিম দাবি করেন, তার প্রার্থনা কাজে এসেছে। কুকুরটিকে সমাধিস্থ করার চার দিন পর তিনি হোসুনের গোঙানির শব্দ শুনতে পান। সময় নষ্ট না করে তার স্বামী শব্দের উৎস খোঁজা শুরু করেন।তিনি দেখতে পান, কুকুরটি একটি গর্তে পড়ে আছে। তার পুরো দেহ কাদায় আবৃত।
কিমের স্বামী ওই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘হোসুনকে এ অবস্থায় দেখে আমার শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায়।কারণ,আমি জানি,সে মারা গেছে।এটা সত্যিই এক রহস্য।
ট্রাকের ধাক্কায় কুকুরটির দেহের বেশ কয়েকটি হাঁড় ভেঙে গিয়েছিল বা মারাত্মক আঘাত পেয়েছিল।ফলে সে হাঁটতে বা ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারছিল না।তারা দ্রুত কুকুরটিকে জল খাওয়ান ও পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।কিছুটা সমস্যা থাকলেও কুকুরটি এখন মোটামুটি সুস্থ।
কিম ও তার স্বামী কুকুরটিকে তাদের সন্তানের মতো যত্ন করেন।তাকে সব ধরনের খাবার দেন।তাকে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়া ছাড়া বাকি সময় বেঁধে রাখেন, যাতে সে আবার ব্যথা না পায় বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত না হয়।